কিভাবে ফেসবুকে প্রতিদিন ৫০০ টাকা আয় করা যায়

দৈনন্দিন জীবনযাপনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার

আপনি কি জানেন কি ভাবে ফেসবুক থেকে প্রতিদিন ৫০০ টাকা ইনকাম করা যায়। আপনি যদি না জানেন তাহলে আমাদের সাথেই থাকুন। কারণ আজকে আমি আপনাদের সাথে এমন কিছু বিষয় শেয়ার করতে চলেছি,  সেগুলোর মধ্য থেকে আপনি ফেসবুক থেকে প্রতিদিন ঘরে বসেই ৫০০ টাকা আয় করতে পারবেন। তাহলে চলুন ফেসবুক থেকে প্রতিদিন ৫০০ টাকা ইনকাম করা যায়

বর্তমান প্রজন্মের ফেসবুক একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।পুরো পৃথিবীজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন তার নাম হলো ফেসবুক। বর্তমান সময়ে ফেসবুক থেকে সবাই ইনকাম করছে তাহলে আপনি কেন পারবেন না। তাহলে আপনিও সঠিক উপায় জেনে চেষ্টা করুন। তাহলে চলুন ফেসবুক থেকে প্রতিদিন কি ভাবে ৫০০ টাকা ইনকাম করা যায় বিস্তারিত আলোচনা করি।

পেইজ সূচিপত্র: কিভাবে ফেসবুকে প্রতিদিন ৫০০ আয় করা যায়

• কিভাবে ফেসবুক থেকে প্রতিদিন ৫০০ টাকা আয় করা যায়
• ফেসবুকে পেজ থেকে টাকা আয় করুন 
• আপনি ফেসবুক মার্কেটিং কেন করবেন
• ফেসবুক থেকে ইনকাম করার উপায় জেনে নিন
• এফিলিয়েট বিজ্ঞাপন বা মার্কেটিং কি
• অ্যাফিলিয়েট এডভার্টাইজিং করার জন্য আপনাকে যা করতে হবে
• এফিলিয়েট এডভারটাইজিং কী
• এফিলেট মার্কেটিং কি
• অনলাইন ও ফেসবুক বিজনেস কি
• শেষ কথা    

কিভাবে ফেসবুক থেকে প্রতিদিন ৫০০ টাকা আয় করা যায়:

• বর্তমানে ফেসবুক হইলো একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। যারা ফেসবুক ব্যবহারকারী আছেন তারা প্রায় দিনে একবার হলেও ফেসবুকে ভিজিট করে। এবং ২.৩২ বিলিয়ন মানুষ তাদের ফেসবুক একাউন্টে ফ্রিডের মাধ্যমে ক্রোল করে। এবং বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়- স্বজনদের সাথে চ্যাটিং করে পোস্ট করে, রিয়েক্ট করে, শেয়ার করে, 
• কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা যে ফেসবুকের পোস্ট কর, কমেন্ট করা, ভিডিও শেয়ার করা, ফেসবুক অ্যাড দিয়ে, ফেসবুক পেজ দিয়ে, ফেসবুক গ্রুপ করে, অনলাইন শপিং এর গ্রুপ, সঠিক পদ্ধতি শিখে আপনিও ফেসবুক থেকে আয় করতে পারবেন।

 ফেসবুক পেজ থেকে টাকা আয় করুন:

• আপনি যদি ফেসবুক পেজ থেকে টাকা আয় করতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমে একটা ফেসবুক একাউন্ট খুলতে হবে। অতঃপর আপনাকে ফেসবুক একাউন্ট থেকে পেজ ক্রিয়েট করতে হবে। আপনার পেজটি কে সুন্দর ভাবে কাস্টমাইজেশন করতে হবে এবং পেজ ক্রিয়েট করতে হবে। 
• আপনার ফ্যান ফলোয়ার আকৃষ্ট হয়। তারপরে আপনি ভিডিও, কন্টেন্ট , বা ফানি ভিডিও আপলোড করবেন। নিয়মিত ১টা বা ২ টা আপনার পেজে ফানি ভিডিও, কনটেন্ট আপলোড করবেন। তারপরে আপনার ফেসবুক পেজ মনিটাইজেশনের রিকুয়ারমেন্ট পূরণ করার চেষ্টা করবেন। এবং আপনার পেজ মনিটাইজেশন এর জন্য আবেদন করবেন 
• আপনার পেজের মনিটাইজেশন হয়ে গেলে ফেসবুকের এড গুলো আপনার ফানি ভিডিও বা কনটেন্ট সংযুক্ত করে আপলোড করবেন। আপনার পেজের মনিটাইজেশন করার পরে ব্যাংক একাউন্টের প্রেমেন্ট এড্রেস সংযুক্ত করবেন। তারপর থেকে আপনার ফেসবুক পেজের ফানি ভিডিও বা কনটেন্ট দ্বারা ভিউয়ারসের মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন।

আপনি ফেসবুক মার্কেটিং কেন করবেন:

• মানুষ এতটাই আধুনিকতাই খুঁজছে যে তারা তাদের সবকিছুতেই শর্টকাট খুঁজছে, এবং তারা যেন ঘরে বসেই তাদের সেবাগুলো পেতে পারে এবং পাচ্ছে। এখন অধিকাংশ মানুষেরাই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমের উপর নির্ভরশীল হচ্ছে। এবং নিজেকে তাদের কাছে মূল্যবান করার জন্য প্রমাণ করার জন্য সুযোগ এসেছে। 
• আপনি ঘরে বসেই ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার পণ্যটি মার্কেটিং করে তাদের কাছে পৌঁছাতে পারবেন। এবং তারা আপনার পণ্যটি সম্পর্কে জানতে পারবে। আপনি চাইলে ঘরে বসে আপনার পণ্য বিক্রয় করতে পারবেন। আপনার পণ্য ফেসবুকে মার্কেটিং করার জন্য নিচের তিনটি দিক বজায় রাখা উচিত। আর এই তিনটি দিক হলঃ

ফেসবুক পেইজঃ আপনার পণ্যটি মার্কেটিং এর কাজ সম্পন্ন করার জন্য পণ্য সম্পর্কিত একটি অফিসিয়াল পেজ থাকতে হবে। সেই পেজ আপনার বিজনেস পেজ হিসেবে রাখতে হবে। আপনার অফিসিয়াল পেজ দ্বারা আপনার পণ্যটি সঠিক অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারবে এবং প্লাটফর্ম সম্পর্কে জানতে পারবে। আপনার পণ্যের উপর নির্ভর থাকবে। 

ফেসবুক গ্রুপঃ ফেসবুক গ্রুপে, অনেক মানুষেরাই নিজের মনমত করে মন্তব্য করেন, এবং তাদের ব্যবহারকৃত পণ্য সম্পর্কে বলে থাকে এবং ফিডব্যাক দেয় । এজন্য আপনার পূর্ণ সম্পর্কে একটি গ্রুপ খুলবেন। এবং তাদের মতামত গুলো ফলো করে পণ্য সরবরাহ করতে পারবেন, পরামর্শ গ্রহণ করতে পারবেন। ইহা আপনার জন্য লাভজনক হতে পারে। 

ফেসবুক অ্যাডঃ ফেসবুক অ্যাড এর মাধ্যমে, আপনি খুব তাড়াতাড়ি পণ্যটির গ্রাহক খুঁজে পাবেন। আপনি কেমন ধরনের গ্রাহক চান, তাদের বয়স কত হতে পারে, তারা কোন শহরে বসবাস করে, তারা কোন দেশ থেকে আসছে, আপনার পণ্যগুলো কিনতে ইচ্ছুক কিনা সহ সকল ধরনের কাস্টমাইজেশন করে আপনি আপনার পণ্যটির সঙ্গে বিজ্ঞাপন সংযুক্ত করতে পারবেন। 

উপরোক্ত তিনটি দিকগুলোর মধ্যে একটিও অনুপস্থিত থাকলে চলবে না। এই তিনটিতে কোন অনুপস্থিত থাকলে আপনি আপনার কাঙ্খিত ফলাফল নাও পেতে পারেন। অবশ্যই এই তিনটি দিক গুলি ভালোভাবে খেয়াল রেখে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে। আপনি তাহলে ফেসবুক মার্কেটিং কেন করবেন না, বলুন?

ফেসবুক থেকে ইনকাম করার উপায় জেনে নিন

• বর্তমানে পৃথিবীর মধ্য সবচেয়ে জনপ্রিয় সোশ্যাল মাধ্যম হচ্ছে ফেসবুক প্রতি সেকেন্ডে পাঁচটি করে নতুন নতুন অ্যাকাউন্ট তৈরি হচ্ছে। তাই ফেসবুকের চেয়ে আর কোন বড় প্ল্যাটফর্ম নেই। তাই ফেসবুক থেকে কোন ইনভেস্টমেন্ট ছাড়াই টাকা আয় করার সুযোগ পাচ্ছেন। 
• আর এখান থেকে ফ্যান ফলোয়ার থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এর জন্য আপনাকে যেটা করতে হবে বিভিন্ন কনটেন্ট দিয়ে আনন্দ দিতে হবে। কিন্তু আপনার কনটেন্ট গুলো আপনার ফ্যান ফলোয়ার পজিটিব নেয়। এবং এছাড়াও কিভাবে ফেসবুক থেকে টাকা আয় করা যায়, তা নিয়ে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। 

এফিলিয়েট বিজ্ঞাপন বা মার্কেটিং কিঃ

• আপনারা অ্যাফিলিয়েট বিজ্ঞাপন এর কথা শুনেছেন, আবার অ্যাফিলিয়েট বিজ্ঞাপনটি সবার কাছে নতুন শব্দ মনে হতে পারে। এতে আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে অ্যাফিলিয়েট বিজ্ঞাপন কি,অ্যাফিলিয়েট বিজ্ঞাপন এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এই দুটিই একই জিনিস।
• বিজ্ঞাপনটি হল আমরা যখন ফেসবুকে নিউজফিডে নিচের দিকে নেমে আশার সময় যে বিজ্ঞাপনটি দেখতে পাই ,এই অ্যাড বা বিজ্ঞাপনটি নিচে স্পন্সারেট 'Sponsored' থাকে সেটাই এফিলিয়েট এডভেটাইজিং বলা হয়। 

এফিলিয়েট এডভারটাইজিং করার জন্য আপনাকে যা করতে হবেঃ 

• প্রথমত আপনাকে এফিলিয়েট বিজ্ঞাপন টি অনুসন্ধান করতে হবে। তারপর সেখানে সাইন আপ করবেন। সাইন আপ করার আপনি একটি ইউনিক আইডি পাবেন। আপনি বিজ্ঞাপন সম্পর্কিত সহ অন্য একটা আইডি পাবেন। এবং বিভিন্ন জন ব্যবহার করলে আপনার একাউন্টে টাকা পাবেন।

অ্যাফিলিয়েট অ্যাডভার্টাইজিং কীঃ

• প্রোগ্রামের জন্য আপনি আলাদা আইডি খুলতে ভুলবেন না যেনো,কারণ প্রত্যেক এডের জন্য আলাদা আলাদা আইডির প্রয়োজন  সেজন্য আপনার আয়ের কাজটি দ্রুত সম্পন্ন হবে। আপনার ফ্যান ফলোয়াররা সুবিধামতো বিজ্ঞাপন খুঁজে নিতে পারবে।
• আপনার এড মানুষ যতবারই দেখবে ততবারই আপনার হবে। এইজন্য আপনাকে এ বিষয়কে প্রাধান্য বেশি দিতে হবে। আপনার অ্যাড কৃত পোস্টে প্রবেশ করলেই আর অ্যাফিলিয়েট এর কোন কিছু কিনলেই আপনার আয় শুরু হয়ে যাবে।

এফিলেট মার্কেটিং কিঃ

• এটি একটি এক ধরনের বিজ্ঞাপন পদ্ধতি, এরকম পদ্ধতিতে বিভিন্ন কোম্পানি গুলো তাদের পণ্য প্রচার প্রচারণার এবং বিক্রয় করার জন্য, সেলিব্রেটি, ব্লগার এবং বিভিন্ন মানুষদের দ্বারা নিয়োগ করে। এবং তারা গ্রাহকদের কাছে তাদের পণ্যগুলো প্রচার প্রচারণা করে। এবং পণ্যগুলো কিনার জন্য সাজেস্ট করে।
• এতে করে যে পণ্যগুলো গ্রাহক ক্রয় করেন, সেলিব্রেটি, ব্লগাররা তাদের কোম্পানির কাছ থেকে পণ্যের দাম অনুযায়ী কমিশন পাই। ফেসবুকে মার্কেটিং করে আয় করার জন্য কয়েকটি অ্যাপ্লিয়ার প্রোগ্রামের নাম নিম্নে দেওয়া হল। 

• Impact Affiliates
• Amazon Associates
• Ebay partner Network
• ClickBank
• Fiverr Affiliate platfrom

অনলাইন ও ফেসবুক বিজনেস কীঃ

• আপনি ফেসবুকেও অনলাইন শপ প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন। আপনার শপটিতে নিত্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের মালামাল রাখতে পারবেন। যেমনঃ ঘড়ি,ব্যাগ, কসমেটিক, জুয়েলারি, কাপড়, জুতা, ঘর সাজানো আসবাবপত্র ইত্যাদি। এটা কিন্তু আপনার পেজ বা গ্রুপ খুলতে হবে। এই পেজ বা গ্রুপের মাধ্যমে আপনার ফ্যান ফলোয়াররা জানতে পারবে। 
• এবং প্রতিদিন আপনাকে আপনার পণ্যগুলো মান সম্পর্কিত ছবিসহ(details)  আপনার আইডি বা পেজ অথবা গ্রুপে আপলোড করতে হবে। এজন্য আপনার ফ্যান ফলোয়াররা উৎসাহিত হবে। আপনি পেমেন্টের জন্য অনলাইন প্রেমেন্ট অথবা ক্যাশ অন পেমেন্ট করে রাখতে পারেন। 
• আপনি যদি মনে করেন যে আপনার ফেসবুকে অনলাইন শপের ডেলিভারি ম্যান রাখতে পারবেন। বিভিন্ন কোম্পানি ফেসবুকের মাধ্যমে তাদের পণ্য সেল করে থাকে। পণ্য ডেলিভারি ম্যান থাকলে গ্রাহকরা পণ্য কিনতে উৎসাহিত হবে। এতে করে আপনার ব্যবসার লাভজনক হয়ে উঠবে।
• ফেসবুক অ্যাপঃ ফেসবুক অ্যাপটি ওয়েব ডিজাইনার, প্রোগ্রামার, এবং গেম ডেভেলপারদের জন্য সম্ভাবনাদের দুয়ার খুলে দিয়েছেন। ফেসবুকের জন্য আপনি বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ তৈরি করলে সেটা ব্যবহার করলে আপনার আয় হবে।

একাউন্ট ফর সেলঃ বর্তমান সময়ে যারা ফেসবুকে নতুন ব্যবসা শুরু করতে চাই তারা আগের জনপ্রিয় পুরাতন একাউন্ট কিনার জন্য আগ্রহ থাকে। এতে করে খুব সহজে গ্রাহকের কাছে তার বর্ণগুলি প্রচার হবে।

যদি আপনার একাউন্টে অথবা ফেসবুক পেজ অথবা গ্রুপে জনপ্রিয়তা এবং ফেন ফলোয়ার বেশি থাকে তাহলে আপনিও আপনার ফেসবুক আইডি, পেজ বা গ্রুপ আয় করার উদ্দেশ্যে বিক্রি করতে পারেন।

ক্রয় ও বিক্রয়ঃ আপনার বাসায় পুরাতন ফোন নস্ট হয়ে গিয়েছে ঔ নস্ট ফোন মেরামত করতে বিরক্ত লাগছে। আপনি যদি মনে করেন আপনার নস্ট ফোন বিক্রি করবেন তাহলে পুরাতন ক্রয় বিক্রয় করার পেজ বা গ্রুপে আপনার ফোনের ডিটেইলস দিয়ে দিবেন। আপনার পুরাতন ফোন কোনো গ্রাহকের পছন্দ হয়ে থাকলে আপনর সাথে যোগাযোগ করে লেনদেন কাজ করতে পারবেন।

শেষ কথাঃ কি ভাবে ফেসবুক থেকে ৫০০ টাকা ইনকাম করা যায়?   আমি আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আমি আশা করছি যে আমাদের এই পোস্ট পরে উপক্রিত হয়েছেন। এবং আপনি আজ থেকে কি ভাবে ঘরে বসে ইনকম করতে পারবেন আশা করছি বুঝতে পেরেছেন। আমাদের এই পোস্ট পড়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন, আসসালামু আলাইকুম,