ইন্ডিয়া মেডিকেল ভিসা আবেদন করবেন যে ভাবে বিস্তারিত দেখুন ২০২৪

ভারতীয় মেডিকেল ভিসার জন্য কিভাবে আবেদন করবেন এবং ভারতীয় মেডিকেল ভিসার মেয়াদ কতদিন থাকে সে বিষয়ে প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। আপনারা হয়তো ভারতীয় মেডিকেল ভিসার জন্য কিভাবে আবেদন করতে হয় তার সঠিক নিয়ম-কানুন সম্পর্কে অবগত নয় 

ইন্ডিয়া মেডিকেল ভিসা আবেদন করবেন যে ভাবে বিস্তারিত দেখুন ২০২৪

আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো যে ভারতীয় মেডিকেল ভিসার সঠিক প্রক্রিয়া অনুযায়ী কী ভাবে আবেদন করতে। তাহলে চলুন দেরি না করে চলুন ভারতীয় মেডিকেল ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো। ভারতীয় মেডিকেল ভিসা সঠিক প্রক্রিয়া জানতে আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পুরোটি পড়ুন।

পেইজ সূচিপত্রঃ ইন্ডিয়া মেডিকেল ভিসা আবেদন জন্য যা যা করণীয় ২০২৪

ভারতীয় মেডিকেল ভিসা পেতে কতদিন লাগে

ভারতীয় মেডিকেল ভিসা পেতে সাধারণত ৩ দিন অর্থাৎ ৭২ ঘন্টা সময় লাগে। তবে বিভিন্ন প্রক্রিয়ার কারণে কিছুটা সময় লাগতে পারে। কিন্তু জরুরী ভিত্তিতে ভারতীয় ইন্ডিয়া ভিসা পাওয়ার জন্য কিছু প্রক্রিয়া করার মাধ্যমে একদিনের মধ্যে পাওয়া যেতে পারে। তবে সেটি রোগীর মারাত্মক অবস্থা হয়ে গেলে এ কার্যকারিতা পাওয়া যায়। অনুরূপভাবে রোগীদের সিরিয়াস অবস্থা না হলে কিছুটা সময়ের ব্যাপার রয়েছে।

বর্তমানে পৃথিবীতে ভারতীয় চিকিৎসার দিক দিয়ে খুবই জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এবং ভারতীয় চিকিৎরা রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার মাধ্যমে রোগী সুস্থভাবে দেশে ফিরতে পারছে। এজন্যই ভারতীয় সরকার চিকিৎসা ভিসা নামে এক বিশেষ ভিসা প্রক্রিয়া চালু করেছে। এই বিশেষ বিষয় শুধুমাত্র যারা অসুস্থ ব্যক্তি শুধু তারাই ভিসায় আবেদন করতে পারবে। এটি শুধু চিকিৎসা গ্রহণকারী ব্যক্তিদের জন্য প্রযোজ্য। এটি ২ ধরনের চালু করা হয়েছে। যথা;

  • মেডিকেল ভিসা
  • মেডিকেল ই'ভিসা ( অনলাইন ভিসা)

এই দুই ধরনের মাধ্যমে ভারতীয় মেডিকেল ভিসা আবেদন করা যায়। আপনি খুবই দ্রুত ভারতীয় মেডিকেল ভিসায় মেডিকেল ই'ভিসা বা অনলাইন ভিসা আবেদন করতে পারেন। অনলাইন ভিসা আবেদন করার ফলে দ্রুত তার সাথে আবেদনটির প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে আবেদন গ্রহণ করা হয়। আপনি ভারতীয় দ্রুত আবাস বাহাই কমিশনার দেখার চেয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করাটাই ভালো। এতে করে খুব কম সময়ের মধ্যে আবেদন হয়ে যায়।

ভারতীয় মেডিকেল ভিসা আবেদনের জন্য যোগ্যতা

মেডিকেল ভিসা আবেদনের জন্য যোগ্যতার প্রয়োজন রয়েছে। কেননা ভারতীয় সরকার মেডিকেল ভিসা আসার জন্য এই প্রক্রিয়াটি চালু করেছে। অনুরূপভাবে অন্যান্য দেশে মেডিকেল ভিসা যাওয়ার জন্য কোন যোগ্যতা প্রয়োজন পড়ে না। বাংলাদেশ ব্যাপক হারে এই ভারতীয় মেডিকেল ভিসার জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশের রোগীদের ভারতীয় চিকিৎসা একটি আস্থার জায়গা হয়ে উঠেছে।

বাংলাদেশ থেকে রোগীরা যে চিকিৎসা নিচ্ছে এবং সুস্থ হচ্ছে। সব দিক বিবেক বিবেচনা করে ভারতীয় সরকার ভারতের মেডিকেল ভিসা প্রচলিত হয়ে উঠেছে। এজন্যই ভারতের চিকিৎসা ভিসা আবেদনকারীদের যোগ্যতা মানদণ্ড অনুসরণ করা হচ্ছে। সঠিক তথ্য ও প্রক্রিয়া করার মাধ্যমে ভারতীয় মেডিকেল ভিসা আবেদন মঞ্জুর করছে। তাহলে চলুন কি কি ভারতীয় মেডিকেল ভিসার জন্য যোগ্যতা লাগে সম্পর্কে জেনে নেই।

ভারতের মেডিকেল ভিসা পাওয়ার জন্য যে সব যোগ্যতা থাকা আবশ্যক;

  • আবেদনকার কে অবশ্যই স্থানীয় দেশের চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে চিকিৎসা করানো করা এবং পরামর্শ নেওয়া উচিৎ, ভারতীয় চিকিৎসা আবেদন করার আগে উক্ত চিকিৎসকের সুপারিশক্রমে ভারতীয় চিকিৎসা নিতে পারবে।
  • চিকিৎসা গ্রহণকারী ব্যক্তি কে অবশ্যই প্রমাণ করতে হবে যে ভারতীয় বিশেষ হাসপাতালে বা চিকিৎসা কেন্দ্র তে চিকিৎসা সেবা নিতে আগ্রহী।
  • আবেদনকারী রোগীদের সমালোচনা মূলক চিকিৎসার জন্য আগ্রধিকার দেওয়া হয়ে থাকে। রোগগুলি হচ্ছে যেমন, নিউরোসার্গারি, কার্ডিয়াক, ও অঙ্গ প্রতিস্থাপন ইত্যাদি।

ভারতীয় মেডিকেল ভিসা পাওয়ার জন্য যে সকল পদক্ষেপ অনুসরণ করতে হবে;

  • সর্বপ্রথম অনলাইনে ভিসা আবেদন ফরমটি পূরণ করতে হবে।
  • সঠিক তথ্য এবং নিয়ম-কানুন মেনে অনলাইনে আবেদনটি সাবমিট করে দিয়ে হবে। এবং সেখান থেকে আবেদনটির একটি প্রিন্ট কপি নিতে হবে।
  • প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে সেখান থেকে নথিপত্র সংগ্রহ করতে হবে।
  • আবেদনকারী কে নিজ দেশের ভারতের দূতাবাস অবশ্যই পরিদর্শন করতে হবে।
  • যথাযথ ভাবে আবেদন ফরমটি জামা দিতে হবে।

আবেদনকারীর আবেদন গ্রহণ হওয়ার জন্য ৩ সপ্তাহ অর্থাৎ ২১ দিন অপেক্ষা করতে হবে। তারপর আবেদনটি গ্রহণযোগ্য হয়ে গেলে ভিসা তারিখ উল্লেখ করে দিবে। ভারতীয় চিকিৎসা ভিসা আবেদন করার জন্য উপরোক্ত পদক্ষেপ গুলি অনুসরণ করা জরুরী। কিন্তু আবেদনের ভিসা তারিখ দিতে ৭২ ঘন্টা লাগতে পারে। তবে জরুরী কিছু নিয়ম-কানুনের জন্য ৭২ ঘন্টার কম সময়ের মধ্য হয়ে যেতে পারে।

ভারতীয় মেডিকেল ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সমূহ

ভারতের মেডিকেল চিকিৎসার জন্য যেতে চাইলে অবশ্যই প্রয়োজনে কিছু ডকুমেন্ট প্রয়োজন পড়ে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে চিকিৎসা সেবা দিক দিয়ে ভারত উন্নত। বিশেষ করে বাংলাদেশীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই ভারতীয় মেডিকেল ভিসা। কেননা ভারতীয় চিকিৎসা সেবার জন্য প্রায় ৪৭০ লাখ মানুষ নিয়ত প্রাপ্ত আছে। যা ভারতীয় সর্বোচ্চ নিয়োগ কারী হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছে।

ভারতীয় মেডিকেল ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সমূহ

ভারতীয় চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন দেশ থেকে চিকিৎসা নিতে আসেন। দেশটিতে প্রায় ৯৭ হাজার ৩০০ জন মানুষ চিকিৎসার জন্য এদেশে আসেন। সারা পৃথিবী জুড়ে মেডিকেল ট্যুরিজম এসোসিয়েশন এর মধ্যে ১০ নম্বর স্থানে অবস্থান করছে ভারত। বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ ভারতে পাড় জমাচ্ছে উন্নত চিকিৎসার জন্য। তাই ভারতীয় চিকিৎসার জন্য যা আবেদনের কিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট প্রয়োজন। তাহলে চলুন কি কি কাগজপত্র প্রয়োজনীয় তা সম্পর্কে জানবো।

ভারতীয় চিকিৎসা ভিসা প্রসেসিং এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সমূহ;

আবেদনপত্রঃ ভিসা আবেদনের ফর্ম প্রিন্ট কপি।

ছবিঃ পাসপোর্ট ভিসা সাইজের দুই কপি ছবি। ছবির মাপ হতে হবে ২"/২" এবং অবশ্যই ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা কালার হতে হবে।

আইডি কার্ড/ জন্ম সনদ ফটোকপিঃ যাদের আইডি কার্ড রয়েছে তার ফটোকপি এবং যাদের আইডি কার্ড নেই তাদের জন্য জন্ম সনদ ফটোকপি।

বর্তমান ঠিকানা প্রমানঃ বর্তমান অবস্থিত স্থায়ী ঠিকানা প্রমাণ স্বরপ গ্যাস বিল, বিদ্যুৎ বিল, পানি বিল, টেলিফোন বিল, বাড়ির ট্যাক্স, ইত্যাদি। যেকোনো একটি প্রমাণস্বরূপ যুক্ত করতে হবে।

পাসপোর্টের ফটোকপিঃ পাসপোর্টের কপি। অবশ্যই ৬ মাসের বৈধতা নিশ্চিত থাকতে হবে। এবং পাসপোর্ট এর সর্বনিম্ন দুই পৃষ্ঠা ফাঁকা থাকতে হবে।

স্টুডেন্ট আইডি ফটোকপিঃ ভিসা আবেদনকারী যদি স্টুডেন্ট হয়ে থাকে তাহলে ওই প্রতিষ্ঠানের স্টুডেন্ট আইডি কার্ড এর ফটোকপি জমা দিতে হবে।

চিকিৎসার নথিপত্রঃ নিজ দেশ হইতে চিকিৎসা নথি পত্র এবং নিজ দেশের চিকিৎসকের সুপারিশ।

রোগী পরিচালকের পাসপোর্ট কপিঃ রোগীর সাথে যে পরিচালক যাবেন তার পাসপোর্ট ফটোকপি ( মেডিকেল অ্যাডভেন্টেন্ট ভিসার জন্য)

ট্রেড লাইসেন্স ফটোকপিঃ যদি কোন ব্যবসায়ী ভিসা করতে চাই তাহলে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ট্রেড লাইসেন্সের ফটোকপি।

রোগী পরিচালকের প্রমাণ নথিঃ রোগীর সাথে যে ব্যক্তি যাবে রোগীর কি সম্পর্ক তার একটি প্রমান সহ প্রত্যয়ন পত্র জমা দিতে হবে। অবশ্যই রোগীর রক্তের সম্পর্কের হতে হবে।

দেশীয় মেডিকেল রিপোর্টঃ রোগী যে মেডিকেল হইতে চিকিৎসা নিয়েছে সেই মেডিকেল ডাক্তার হইতে একটি রিপোর্ট।

আরও পড়ুনঃ  প্রতিদিন সকালে কিসমিস ও খেজুর খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

ইন্ডিয়া মেডিকেল ভিসার জন্য করা সচরাচর জিজ্ঞাসিত কিছু প্রশ্ন ও উত্তর দেখে নিন

প্রশ্নঃ মেডিকেল ভিসা কী?

উত্তরঃ মেডিকেল ভিসা হলো সেসব ব্যাক্তির জন্য আবেদন গ্রহন করা হয় ঐ ব্যাক্তি ইন্ডিয়ায় চিকিৎসার উদেশ্য জাবে।

প্রশ্নঃ পাসপোর্ট কিভাবে দেখবো?

উত্তরঃ পাসপোর্ট দেখার জাতীয় কল সেন্টারে যোগাযোগ করুন। আপনাকে একটি ভয়েস সঙ্গে যুক্ত করা হবে। আপনার ফাইল নাম্বার দিতে হবে। তারপর আপনার পাসপোর্ট আবেদন সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

প্রশ্নঃ ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসা আবেদন কয় ধরনের হয়?

উত্তরঃ ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসা আবেদন দুই ধরনের হয়ে থাকে। যথা; (১) মেডিকেল ভিসা (২) eMedical Visa( অনলাইন ভিসা)

প্রশ্নঃ ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসায় কত দিন ভারতে থাকা যায়?

উত্তরঃ ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসা মেয়াদ প্রাথমিক সময়কালে ৬ থেকে ১ বছর হয়ে থাকে। আবার চিকিৎসার জন্য যে সময় প্রয়োজন সে সময় প্রর্যন্ত।

প্রশ্নঃ ইন্ডিয়া মেডিকেল ভিসার জন্য কি কি লাগে?

উত্তরঃ পাসপোর্ট এর ফটোকপি। ৬ মাসের জন্য বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে। এবং তার সাথে ২ পৃষ্ঠা ফাঁকা থাকা অবশ্যক।

প্রশ্নঃ ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসা পেতে কত টাকা লাগে?

উত্তরঃ বাংলাদেশের যারা ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসা আবেদন করে তাদের কোনে আবেদন ফ্রি লাগে না। তবে ভিসা প্রসেসিং করতে ৮০০ টাকা খরচ হয়ে থাকে।

প্রশ্নঃ ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসায় কয়জনকে অনুমতি দেওয়া হয়?

উত্তরঃ রোগী সাথে এক বা দুজন ব্যাক্তিকে অনুমতি দিয়ে থাকেন।

ইন্ডিয়ার মেডিকেল ভিসার খরচ ২০২৪

ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসা আবেদন করতে কত খরচ হয় তা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসা আবেদন জন্য কত খরচ হয় তা সবারই জানা জরুরী। কেননা ইন্ডিয়াতে চিকিৎসা সেবা নিতে গেলে অনেক টাকার প্রয়োজন হয়। কত টাকা খরচ হতে পারে সেই সম্পর্কে জেনে তারপর সে অনুযায়ী টাকা নিয়ে যাইতে হবে। নয়তো বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হওয়া লাগতে পারে।

ইন্ডিয়ায় মেডিকেল ভিসা আবেদন জন্য কোনো ফ্রি প্রদান করা লাগে না। কিন্তু আবেদন ভিসা প্রসেসিং করতে কিছু টাকা খরচ হয়। ভিসা প্রসেসিং করতে ৮০০ টাকা সচারাচর প্রয়োজন পড়ে থাকে। আপনি চাইলে অনলাইনের মাধ্যমে ইন্ডিয়ার মেডিকেল ভিসা জন্য আবেদন করতে পারবেন। অনলাইন প্রক্রিয়ায় আবেদন করতে আপনার নিকটস্থ কম্পিউটার দোকানে আবেদন করতে পারবেন। অর্থাৎ নিকস্থ কম্পিউটার দোকানে অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের আবেদন করে।

আরও পড়ুনঃ  ছাত্র জীবনে অনলাইনে উপার্জন করার উপায়? সেরা ২০টি টিপিস

সেসব দোকানে আবেদন করার জন্য গেলে কি কি কাগজপত্রের প্রয়োজন পড়ে তাদের কাছে থেকেই সব ধরনের খবরাখবর জানতে পারবেন। এবং আবেদনকারীগন সঠিক নিয়মে আবেদন করে দিবেন। এবং ভিসা আবেদন জন্য আবেদনকারীর ছবি তুলে নিতে পারবেন। কিন্তু কম্পিউটার দোকানে অনলাইনের আবেদন করার মাধ্যমে অনলাইন আবেদন ফ্রি প্রদান করিতে হইবে। কম্পিউটার দোকানে অনলাইনের করলেই আপনার সময় অপচয় কম হবে।

ভিসা আবেদন প্রসেসিং ক্ষেত্রে দালাল চক্র হইতে সাবধান

ভিসা আবেদন প্রসেসিং করতে দালাল চক্র হইতে সাবধান হতে হবে। কেননা ভিসা আবেদন প্রসেসিং ক্ষেত্রে বাংলাদেশে ব্যাপক হারে কিছু অসাধু দালাল চক্রের বেড়েই চলেছে। ভিসা আবেদন করার নাম বলে অর্থ লুটপাট কার্যকাম করছে। এবং একই সাথে কিছু কোম্পানি ভিসা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অর্থ লুটপাট করছে। এই সব দালাল চক্র হইতে সাবধান হতে হবে। এবং বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ এই দালাল চক্রের খপ্পরে পরে অর্থ হারাচ্ছে।

ভিসা আবেদন প্রসেসিং ক্ষেত্রে দালাল চক্র হইতে সাবধান

বাংলাদেশের যেসব গরিব দুঃখি মানুষ, গ্রামের বসবাস পড়াশোনা করে নাই, সরল সাদা মানুষ এদের কে টার্গেট করছে। গ্রামের অধিকাংশ মানুষ ভিসা আবেদন সম্পর্কে তেমন কিছু জানে না। এখন ভিসা আবেদন জন্য অধিকাংশ মানুষ দালালের খপ্পরে পড়ছে। এবং যাঁরা ইন্ডিয়া মেডিকেল ভিসা জন্য আবেদন করছে তারা দালালে খপ্পরে পড়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।

এ জন্য ভিসা আবেদন করার জন্য অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করা সবচেয়ে নিরাপদ। কেননা অনলাইনে আবেদন করলে দালালের খপ্পরে পড়তে হবে না। নিকটস্থ কম্পিউটার দোকানে গিয়ে সঠিক নিয়মে আবেদন করা যাচ্ছে। আপনি চাইলে অনলাইনের মাধ্যমে ইন্ডিয়ার মেডিকেল ভিসা জন্য আবেদন করতে পারবেন। এতে করে আপনার সময় অপচয় হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাবেন।

ইন্ডিয়া টুরিস্ট ভিসা করতে কত টাকা লাগে

ইন্ডিয়া টুরিস্ট ভিসা আবেদন করতে কত টাকার প্রয়োজন পড়ে সে বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। এক দেশ হতে অন্য দেশে যাতায়াতের জন্য সর্বপ্রথম দুটি জিনিসের প্রয়োজন পড়ে প্রথমটি হলে পাসপোর্ট এবং দ্বিতীয়টি হলো ভিসা। পাসপোর্ট বিভিন্ন ধরনের হয়না কিন্তু ভিসা বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে৷ আপনি কোন কারনে বিদেশ জাবেন তার উপর নির্ভর করে ভিসা আবেদন প্রসেসিং করতে হয়।

টুরিস্ট ভিসায় বিভিন্ন দেশ হইতে বিভিন্ন দেশে যাওয়া যায়। আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে ইন্ডিয়ায় টুরিস্ট ভিসায় যেতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যয় টুরিস্ট ভিসা উল্লেখ করে আবেদন করতে হবে। ইন্ডিয়া টুরিস্ট ভিসা আবেদন করতে মাত্র কয়েক হাজার টাকা প্রয়োজন। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে অন্যান দেশে টুরিস্ট ভিসা আবেদন করলে ইন্ডিয়া টুরিস্ট ভিসার চেয়ে বেশি টাকা প্রয়োজন হবে।

আরও পড়ুনঃ  প্রতি মাসে ঘরে বসে আয় ১৫০০০-২০০০০ টাকা? বাংলাদেশি অ্যাপ দিয়ে

কেননা ভিন্ন ভিন্ন দেশের টুরিস্ট ভিসা আবেদন করলে ৩ লাখ থেকে ৮ লাখ টাকা লাগতে পারে। কিন্ত বাংলাদেশের পাশাপাশি দেশ ইন্ডিয়া তাই ইন্ডিয়া টুরিস্ট ভিসা আবেদন জন্য কম খরচে ভিসা আবেদন করা যায়। কিন্তু ইন্ডিয়া টুরিস্ট ভিসা কম খরচ হলে ইন্ডিয়া যাতায়াতের জন্য একই খরচ হবে না। কারন আকাশ পথ আর স্থলপথ দুইটা ভিন্ন ভিন্ন খচর হবে।

ইন্ডিয়া টুরিস্ট ভিসা করতে কী কী প্রয়োজন

ইন্ডিয়া টুরিস্ট ভিসা আবেদন করতে কী কী কাগজপত্রের প্রয়োজন আছে সে বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। যেহেতু আপনি এক দেশ হইতে বিভিন্ন দেশে জাবেন সেহেতু প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্রের দরকার। এসব নিয়ম-নীতি মেনে পাসপোর্ট এবং ভিসা আবেদন করতে পারবেন। তাহলে চলুন কী কী প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের প্রয়োজন দেখে নেয়া যাক।

ছবিঃ ভিসা আবেদন করার জন্য আবেদনকারীর এক কপি ছবি এবং সেটা ক্যাম সাইজের হতে হবে। অবশ্যয় ছবিটি রঙ্গিন ছবি হতে হবে।

পাসপোর্টঃ আপনার টুরিস্ট ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য অবশ্যয় আপনার পাসপোর্ট থাকতে হবে। এবং পাসপোর্টের ফটোকপি থাকতে হবে।

ভোটার আইডি/ জন্ম সনদঃ আবেদনকারী যে কাগজ পত্র দ্বারা আবেদন করছে সে কাগজ পত্রের ফটোকপি জমা দেওয়া। কিন্তু বর্তমানে স্মার্ট কার্ড থাকার ফলেও ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন প্রয়োজন পড়ছে।

স্থানীয় প্রমানপত্রঃ আবেদনকারী দেশিও স্থানীয় সেটা প্রমান করার জন্য বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, পানি বিল, অথবা বাড়ির ট্যাক্স বিলের ফটোকপি জমা দিতে হবে।

পেশায় কাগজপত্রঃ আবেদনকারী কি ধরনের কাজে রয়েছে তা প্রমান করার জন্য আবেদনকারীর ঐ পেশায় নিযুক্তরত ফটোকপি জমা দিতে হবে।

ব্যাক স্টেটমেন্টঃ ভিসা আবেদন করার জন্য আবেদনকারীর ব্যাক স্টেটমেন্ট প্রয়োজন রয়েছে।

পূর্ববতী ভিসার বিবরণঃ আবেদনকারীর পূর্ববতী কোন যদি ভিসা থেকে থাকে তাহলে তার ফটোকপি জমা দিতে হবে। আর যদি আবেদনকারীর পাসপোর্ট হারিয়ে যায় তাহলে থানা জিডি করে তার ফটোকপি জমা দিতে হবে।

ইন্ডিয়া টুরিস্ট ভিসার মেয়াদ কতদিন থাকে

ইন্ডিয়া টুরিস্ট ভিসার মেয়াদ কতদিন থাকে তা নিচে বিস্তারিত আলোচনা করবো। ইন্ডিয়া টুরিস্ট ভিসা মেয়াদ বিভিন্ন স্তরের রয়েছে। আপনি কোন কাজের নিয়জিত আছেন সেই কাজের উপর নির্ভর করে আপনার ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসা মেয়াদ উল্লেখ করা থাকবে। এজন্য টুরিস্ট ভিসার মেয়াদ বিভিন্ন স্তরের উল্লেখ করেছি।

ইন্ডিয়া টুরিস্ট ভিসার মেয়াদঃ ইন্ডিয়া টুরিস্ট ভিসার মেয়াদ সাধারণত ৩০ দিনের, ৯০ দিনের, এবং ১ বছর পর্যন্ত ইন্ডিয়া টুরিস্ট ভিসার মেয়াদ হয়ে থাকে।

কিন্তু এছাড়াও ইন্ডিয়া টুরিস্ট ভিসার মেয়াদ উল্লেখ্য করা রয়েছে;

স্টুডেন্ট ভিসাঃ সাধারণত ইন্ডিয়া স্টুডেন্ট টুরিস্ট ভিসার মেয়াদকাল থাকে এক, দুই বা পাচঁ বছর হয়ে থাকে।

মেডিকেল ভিসাঃ সাধারণত ইন্ডিয়া মেডিকেল ভিসা মেয়াদ ১ মাস, ৩ মাস, অথবা ১ বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে।

ব্যবসায়িক ভিসাঃ সাধারণত ইন্ডিয়া ব্যবসায়িক ভিসার মেয়াদ কাল ১ মাস, ৩ মাস, অথব ১ বছর হয়ে থাকে।

শেষ কথাঃ ভারতীয় মেডিকেল ভিসা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য ২০২৪

আজকে আপনাদের সাথে ভারতীয় মেডিকেল ভিসা আবেদন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এবং আপনার ভারতীয় মেডিকেল ভিসা করার জন্য কি কি কাগজপত্রের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে সকল তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। একই সাথে ইন্ডিয়া টুরিস্ট ভিসা এবং আবেদন কি ভাবে করতে হয় সে বিষয় সম্পর্কে বলেছি।

প্রিয় পাঠক আমি আশা করছি যে আামাদের এই পোস্ট এর মাধ্যমে আপনারা জানতে পেরেছেন যে ইন্ডিয়া মেডিকেল ভিসা আবেদন জন্য কি কি করতে হয় এবং ইন্ডিয়া টুরিস্ট ভিসা এবং আবেদন কি ভাবে করতে পারবেন সে সব বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আমাদের এই পোস্টটি পড়ে যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অন্যদের সাথে শেয়ার করবেন ধন্যবাদ.........!!!!! 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url