বাংলাদেশের ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন পাওয়ার সেরা কার্যকরীতা উপায় ২০২৪
বাংলাদেশের ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন পাওয়ার জন্য সেরা কার্যকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। আপনার ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশনের পাওয়ার জন্য প্রোগ্রামে অংশ নেওয়া আবশ্যক।
এটাতে অংশ নিতে গত ১২ মাসে ১০০০ জন সাবস্ক্রাইবার থাকতে হবে এবং ৪০০০ হাজার ওয়াট ঘন্টা। ইউটিউব চ্যানেলটি মনিটাইজেশন অনুমোদন পেয়ে গেলে ফিউচারগুলোর আওতা এসে যাবে। যেমন পণ্য বিক্রয়, মেম্বারশিপ, বিজ্ঞাপন।
পেইজ সূচিপত্রঃ বাংলাদেশের ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন পাওয়ার কার্যকরীতা দিক
- ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন পাওয়ার সহজ উপায় ২০২৪
- ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন পাওয়ার উল্লেখিত কয়েকটি দিক
- ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন করার নিয়ম
- ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন না পাওয়ার কারণ গুলো দেখুন
- ইউটিউব চ্যানেল সহজে মনিটাইজেশন পাওয়ার ভুল ধারণাগুলো
- শেষ কথাঃ ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন পাওয়ার উপায়
ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন পাওয়ার সহজ উপায় ২০২৪
ইউটিউব চ্যানেল গিয়ে সর্বপ্রথম ধাপ হচ্ছে একাউন্ট সেটিং এ গিয়ে মনিটাইজেশন চালু করা। মনিটাইজেশন চালু করে ভিডিও চলাকালীন ইউটিউবে যে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দেখানো হবে সেই বিজ্ঞাপন থেকে যে অর্থ আসবে তা একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে ইউটিউব চ্যানেলে মালিক পাবে। ইউটিউব চ্যানেলে মনিটাইজেশন পাওয়ার জন্য অনেক ক্যাটাগরি রয়েছে। তার মধ্য উল্লেখযোগ্য ক্যাটাগরি নিয়ে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
ইউটিউব চ্যানেলে মনিটাইজেশন ১০০% পাওয়ার জন্য যেসব ক্যাটাগরি নিয়ে ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করলে মনিটাইজেশন পাওয়া সহজ হয়ে যায়। যেমন বর্তমানে ব্লগিং ভিডিও সবাই দেখতে পছন্দ করে। এবং টেকনিক্যাল বিষয়ে ভিডিও প্রয়োজন পড়ে থাকে। তাহলে চলুন ব্লগিং ভিডিও এবং টেকনিক্যাল ভিডিও সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করি।
ব্লগিংঃ বর্তমানে ব্লগিং ভিডিওগুলা অধিকাংশ মানুষেরে দেখতে পছন্দ করে থাকেন। ব্লগিং ভিডিও করতে একটু খরচ বেশি হয়ে থাকে তবে ব্লগিং ভিডিওগুলা কোয়ালিটি ফুল ভিডিও করলে দ্রুত মনিটাইজেশন পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।যেমন
- মোটরসাইকেল ব্লগিং করা।
- সুন্দর সুন্দর দর্শনীয় স্থানে ব্লগিং করা।
- ফুড ব্লগিং করা
- ট্রাভেল ব্লগিং করা,ইত্যাদি।
টেকনিক্যালঃ টেকনিক্যাল ভিডিও তৈরি করলে তেমন খরচ করতে হয় না। অধিকাংশ মানুষের টেকনিক্যাল ভিডিও দেখে থাকেন। এতে করে ইউটিউব চ্যানেলে মনিটাইজেশন পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই আপনি টেকনিক্যাল ভিডিও তৈরি করতে পারেন। যেমন
- টেকনিক্যাল সমস্যা সমাধান।
- অনলাইন ইনকাম টিপস।
- অ্যান্ড্রয়েডে টিপস।
- ভিডিও এডিটিং শিখানো।
- সকল সিমের এমবি, মিনিটের ভিডিও।
ইউটিউব চ্যানেলে মনিটাইজেশন পাওয়ার জন্য উপরোক্ত দুইটি সাইটের মধ্যে বেছে নিতে পারেন। আপনি যদি চান ব্যয় ছাড়া ইউটিউব চ্যানেলে মনিটাইজেশন করতে চান। অধিকাংশ ইউটিউবাররা ফেশ না দেখিয়ে youtube ভিডিও রেডি করে। ক্যামেরার সামনে না এসে স্ক্রিন রেকর্ডিং ভিডিও তৈরি করে অনলাইন ইনকামের ক্যাটাগরিটা ভিডিও তৈরি করুন। তাহলে আপনি সহজেই মনিটাইজেশন পেয়ে যাবেন।
ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন পাওয়ার উল্লেখিত কয়েকটি দিক
মনিটাইজেশন চালু করাঃ আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন পাওয়ার জন্য ইউটিউবে সেটিংসে গিয়ে সর্বপ্রথম মনিটাইজেশন চালু করতে হবে। ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন পাওয়ার জন্য যদি সেটিংসে চালু না করেন তাহলে তো মনিটাইজেশন পাবেন না।
ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রাম অংশগ্রহণ করাঃ ইউটিউব মনিটাইজেশন এর জন্য আপনি যোগ্য হতে গেলে অবশ্যই আপনাকে ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রাম এ অংশগ্রহণ করতে হবে। আর ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে হলে গত ১২ মাসে ১০০০ জন সাবস্ক্রাইবার হবে এবং ৪০০০ হাজার ওয়াচ ঘন্টা থাকতে হবে। আপনি ইউটিউব চ্যানেলটি একবার অনুমোদন পেয়ে গেলে মনিটাইজেশন ফিউচারগুলো আওতাল চলে আসবে।
মনিটাইজেশন ফিউচারগুলোর মধ্য রয়েছে বিভিন্ন পণ্য বিক্রয় করা। ইউটিউব চ্যানেল মেম্বারশিপ এবং বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন বা অ্যাড এগুলোর মধ্য আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি মনিটাইজেশন পাওয়ার জন্য ১০০% অবদান রাখে। তাই আপনাকে মনিটাইজেশন পাওয়ার জন্য ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করা আবশ্যক।
থিমস্ঞিয়ামূলক কনটেন্ট তৈরিঃ আপনার দর্শকদেরকে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের প্রতি আকৃষ্ট করার জন্য অবশ্যই প্রাসঙ্গিক এবং ভালো মানের কনটেন্ট তৈরি করা। এবং সহজেই নিজেকে যুক্ত করতে পারে। কোন বিনোদনমূলক কনটেন্ট ভিডিও বা, কোন বিষয়বস্তু বা শিক্ষনীয় কনটেন্ট তৈরি করা।
ভিডিও অপটিমাইজ কারাঃ আপনার ইউটিউব চ্যানেলটিতে অধিকাংশ দর্শকের কাছে উঠে আসে। উপলভ্যতার বুদ্ধির জন্য চ্যানেলে ভিডিওগুলোকে অপটিমাইজ করতে হবে। এমন কি-ওয়ার্ড দিয়ে ভিডিও শিরোনাম বর্ণনা করেছেন এবং টার্গেট করবেন যাইতে করে আপনার ভিডিওতে খুব সহজে লিখে সার্চ করতে পারে। তাহলে সার্চ বেশি করবে এবং ভিউ বেশি হবে।
প্রচারণায় সামাজিক মাধ্যমঃ ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিও নিয়মিত নির্দিষ্ট অডিয়েন্স বা দর্শক ভিউ বৃদ্ধি করার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা instagram, টুইটার এর মতো প্ল্যাটফর্মগুলোতে youtube ভিডিও শেয়ার করবেন। শেয়ার করার ফলে আপনার ইউটিউব চ্যানেলে গিয়ে ভিডিও দেখবে এবং ভিউ বৃদ্ধি পাবে।
ইউটিউবারদের সঙ্গে সংযুক্তি রাখাঃ অন্য ইউটিউবারদের সাথে সংযুক্তি রাখার ফলে সাবস্ক্রাইবার বৃদ্ধির ব্যাপক সম্ভাবনা হয়ে থাকে। ভিডিও তৈরি করার ক্ষেত্রে ইউটিউবারদের হাতে একসাথে ভিডিও করা। যেমন কোন পণ্যের রিভিউ, কোন প্রশ্ন উত্তর, হাসি ঠাট্টা বিনোদন চ্যালেঞ্জ এগুলোর মধ্য দিয়ে ভিডিও তৈরি করা।এতে করে জনপ্রিয়তা পাওয়া সম্ভাবনা বেশি থাকে।
চ্যানেল মেম্বারশিপের প্রস্তাবঃ ৩০ হাজার সাবস্ক্রাইবার হয়ে গেলে ভিউয়ার্সদের চ্যানেল মেম্বারশিপের প্রস্তাব দেওয়া যায়। এতে করে প্রতিমাসে নির্দিষ্ট মূল্য পরিশোধকারি চ্যানেলের সদস্যরা বিভিন্ন কনটেন্ট, এক্সক্লুসিভ বিষয়, বা সময়ের আগেই ভিডিও দেখার সুযোগ হয়ে যায় এবং পণ্য ক এর ক্ষেত্রে মূল্য তালিকা থেকে পম্পার সুবিধা থাকে।
পণ্য বিক্রয়ঃ ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজ পাওয়ার সবচেয়ে ভালো একটি দিক শার্ট, প্যান্ট, টি শার্ট,মগ, টুপি ইত্যাদি ধরনের পণ্য বিক্রয় করা। আপনি চাইলে এসব পণ্যের ডিজাইন নিজেই করতে পারবেন। এবং আপনি চাইলে অন্য কোন প্রতিষ্ঠান থেকে ডিজাইন করে নিতে পারেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংঃ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং টি হলো নির্দিষ্ট একটি পণ্য অনলাইনের মাধ্যমে মার্কেটিং করে বিক্রয় করার মাধ্যমে যে নির্দিষ্ট মূল্য পাওয়া যায় তাকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলে।পণ্য মার্কেটিং করার ফলে মার্কেটিং করার ফলে আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি ভিই আসতেছে এবং পণ্য বিক্রয় করার মাধ্যমে নির্দিষ্ট একটি অর্থভোজন করতে পারছেন।
আরও পড়ুনঃ প্রতি মাসে ঘরে বসে আয় ১৫০০০-২০০০০ টাকা? বাংলাদেশি অ্যাপ দিয়ে
স্পন্সারশিপ গ্রহণ করাঃ ইউটিউব চ্যানেল জনপ্রিয়তা করার জন্য বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বা প্রতিষ্ঠানের স্পন্সারশি নিয়ে প্রচার করো। ভিডিও বা কনটেন্ট এরমধ্য ওই ব্যান্ডের বা প্রতিষ্ঠানের স্পনচার পচার প্রচারণা করতে হবে। ব্র্যান্ডের বা প্রতিষ্ঠানের স্পন্সরের মাধ্যমে টাকা ইনকাম হচ্ছে এবং আপনার চ্যানেলটি ভিউ হচ্ছে।
সুপার চ্যাট ব্যবহার করাঃ সুপার চ্যাট ব্যবহার করা বলতে ইউটিউব চ্যানেলের ফিউচারগুলো ব্যবহার করা। যেমন বিভিন্ন বিষয়ে লাইভ চ্যাটে ভিউয়ারসের মন্তব্য বা যে কমেন্টগুলি করবে সেগুলো হাইলাইটস করা। অনুরূপ দিকে স্টিকার ব্যবহার করা যা কিনা ভিউয়ার্স লাইভ চলাকালীন সে পণ্যগুলো কিনতে পারে। তবে নির্দিষ্ট পরিমানে চ্যানেলের মালিকপক্ষ পেয়ে যাবে।
বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়াঃ চ্যানেলের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া বিভিন্ন ইউটিউবারদের সাথে ব্র্যান্ডের নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি করা এটি একটি ভালো দিক। তে করে পরিচয়তা বেশি হয়ে থাকে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার ফলে পরবর্তীতে সময়ে একসাথে কাজের অফার আসতে পারে। ছাড়াও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া ফলে চ্যানেল মেম্বারশিপে অন্য বিক্রয় করা যাই।
লাইভ স্ট্রিম বা সরাসরি অনুষ্ঠান প্রচার করাঃ লাইভ চলাকালীন বিভিন্ন সুপার চ্যাট বা স্টিকার ব্যবহার করার পাশাপাশি অর্থ প্রদানকারী দর্শকদের বিশেষ সুবিধা দেওয়া যায়। লাইভ চলাকালীন সরাসরি দর্শকের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পাওয়া যে থাকে। এতে করে চ্যানেলের বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধি পেয়ে থাকে।
যন্ত্রপাতি বা সফটওয়্যার বিনিয়োগঃ ভালো মানের সফটওয়্যার বা যন্ত্রপাতি বিনিয়োগ করার ফলে অর্থ ব্যয় হয়ে যায়। কিন্তু এতে করে ভিডিও নির্মাণের মান বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। তাই দর্শক অভিজ্ঞাপনদাতাদের মনোযোগ আকর্ষণ আকর্ষণ করা যায়। ভিডিও তৈরি করার জন্য সম্মত একটি ক্যামেরা, মাইক্রোফোন, আলোকিত সরঞ্জাম, ভিডিও তৈরি করার ভালো একটি সফটওয়্যার দরকার পড়ে থাকে।
ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন করার নিয়ম
ইউটিউব চ্যানেলে নিয়মিত কনটেন্ট ভিডিও তৈরি করে আপলোড করলেই হবে না তার সাথে সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জানতে হবে। আপনি যদি সঠিক নিয়ম সম্পর্কে না জানেন তাহলে ইউটিউব মনিটাইজেশন পাওয়া সম্ভব হবে না। তাই চলুন ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো
বর্তমানে ইউটিউব চ্যানেল থেকে ইনকাম করা খুব একটা সহজ ব্যাপার হয়ে উঠেছে। বর্তমানে ইউটিউবাররা একই ক্যাটাগরিতে ভিডিও তৈরি করেন না। তারা বিভিন্ন ধরনের ক্যাটাগরি নিয়ে বা কনটেন্ট ভিডিও তৈরি করে থাকেন। ভিডিও তৈরি করা কয়েকশ ক্যাটাগরি আছে। তার মধ্য থেকে আপনার যেটা পছন্দ হবে সেই ক্যাটাগরি নিয়ে ভিডিও তৈরি করবেন।
ভিডিও তৈরি করার সময় নিজস্ব ভিডিও হতে হবে। অন্য কোন ইউটিউবারদের ভিডিও ক্লিপ বা ব্যাকগ্রাউন্ড থিম বা কোন কিছু ব্যবহার করা যাবে না। ভিডিওর কোয়ালিটি মানসম্মত হতে হবে। এবং যারা নতুন ইউটিউবার আছেন তাদের ভিডিও কোয়ালিটি একটা ভালো করতে পারেন না তবে তাদেরকে আস্তে আস্তে ভিডিও কোয়ালিটি মানসম্মত করতে হবে। তাহলে ইউটিউব চ্যানেলে মনিটাইজেশন পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
ইউটিউব মনিটাইজেশন পাওয়ার জন্য ধৈর্য ধরে আপনাকে নিজস্ব ভিডিও তৈরি করতে হবে বা কনটেন্ট তৈরি করতে হবে। তাহলে বুঝতেই পারছেন অন্যের চুরি করা কনটেন্ট বা ভিডিও নিজের ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করলে সেটা একটু কৃত্রিপক্ষ মনিটাইজেশন দেয় না। তাই আপনি নিজস্ব ভিডিও তৈরি করে মনিটেশন করার জন্য আবেদন করবেন।
আরও পড়ুনঃ ছাত্র জীবনে অনলাইনে উপার্জন করার উপায়? সেরা ২০টি টিপিস
ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন না পাওয়ার কারণ গুলো দেখুন
ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন না পাওয়ার কারণগুলো সে বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত নিচে আলোচনা করবো। আপনি যদি আপনার ইউটিউব চ্যানেলে মনিটাইজেশন পাইতে চান তাহলে নিম্নবিত্ত কাজগুলো কখনোই করবেন না। তাহলে আপনি ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। তাহলে চলুন সে বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানি।
- অন্যর ভিডিও ক্লিপ ব্যবহার করা।
- অন্যর থামলাইনে ব্যবহার করা।
- অন্যের ভিডিও কপি পোস্ট করা।
- একই ভিডিও বারবার আপলোড করা।
- অন্যর ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ব্যবহার করা।
- নাটক বা মুভি রিভিউ করা।
- অন্যের ভিডিও থেকে ছোট ক্লিপ নিয়ে একটি ভিডিও তৈরি করা।
- অন্যের ভিডিও সামনে রেখে রোস্টিং করা।
- Sub 4 Sub করে 1000 সাবস্ক্রাইবার পূরণ করা।
- AI দিয়ে ভিডিও তৈরি করা।
- ফেক বুষ্টিং করা।
- নিজে নিজে বা নিজের মোবাইল, ল্যাপটপ, বা কম্পিউটার দিয়ে নিজের ভিডিও দেখে ওয়াচ টাইম পূরণ করা।
আপনি যদি উপরোক্ত বিষয়গুলো করে থাকেন তাহলে আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলের মনিটাইজেশন পাবেন না। কারো কনটেন্ট বাপ ভিডিও বিভিন্ন ধরনের কোন কিছু চুরি করে নিজের ভিডিওতে তৈরি করে আপলোড দিলে জীবনেও কাস্টমাইজেশন পাবেন না। এগুলো কাজ থেকে বিরত থাকুন। তিনি নিজে নিজে কন্টেন্ট বা ভিডিও তৈরি করে ইউটিউবে আপলোড দেন।
ইউটিউব চ্যানেল সহজে মনিটাইজেশন পাওয়ার ভুল ধারণাগুলো
অনেক ইউটিউবাররা বলে থাকেন যে কপি পেস্ট করেও বা কপি কনটেন্ট ভিডিও করে ইউটিউব মনিটাইজেশন পাওয়া যায়। এটি একটি সম্পূর্ণ ভুল কথা এবং ভুল ধারণা। কোনদিনও অন্যের চুরি করা কন্টেন্ট বা ভিডিও কপি করে নিজের চ্যানেলে করলে মনিটাইজেশন পাওয়া যায় না। তাই অন্যের কন্টেন্ট বা ভিডিও কপি পোস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।
আপনি ভেবে দেখুন যে ইউটিউবাররা কখনোই টিপস দিয়েছেন বা দিচ্ছে যে অন্যের কনটেন্ট বা ভিডিও করে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করতে। কখনোই না, অন্যের ভিডিও বা কনটেন্ট চুরি করার ফলে কপিরাইট আইন চালু আছে। সত্যি করে আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে থাকবে। তে করে ইউটিউব মনিটাইজেশন পাওয়া যায় না।
যেসব ইউটিউবাররা বলে থাকেন যে অন্যের কনটেন্ট বা ভিডিও নিজের ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করলে মনিটাইজেশন পাওয়া যায় তারা কি কখনো প্রমাণ দেখাতে পারছে,পারে নাই। তাই অন্যের কথা বাদ দিয়ে নিজস্ব কন্টেন্ট বা ভিডিও তৈরি করে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করতে হবে। এতে করে আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলের কাস্টমাইজেশন পাবেন।
শেষ কথাঃ ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন পাওয়ার উপায়
ইউটিউব চ্যানেল কিভাবে মনিটাইজেশন পাওয়া যায় সে বিষয় সম্পর্কে আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আলোচনা করেছি। এবং কিভাবে মনিটাইজেশন পাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আর কি কি বিষয় ভিডিও বা কনটেন্ট তৈরি করলে মনিটাইজেশন পাওয়া যায়। এবং মনিটাইজেশন পাওয়ার কয়েকটি ভুল ধারণা তুলে ধরেছি।
প্রিয় পাঠক, আজকে আমরা আমাদের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আলোচনা করেছি যে কিভাবে youtube চ্যানেলে মনিটাইজেশন পাওয়া যায়। আপনি আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হয়ে থাকলে অন্যদেরকে শেয়ার করে সঠিক তথ্য জানার জন্য উৎসাহিত করবেন। এবং আমাদের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আমাদের সাথে থাকার জন্য, ধন্যবাদ.......!!!!
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url