শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ৫টি ব্যবহার
শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। অনেক খোঁজাখুঁজির পর শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে জানতে পারছেন না। তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
কোথায় আছে "শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড " যে জাতি যত বেশি শিক্ষিত সে জাতি তত উন্নত। একটি জাতিকে উন্নয়ন করার জন্য শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব অপরিসীম। তেমনি শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অপব্যবহার রয়েছে। তাহলে চলুন বিস্তারিত জেনে নেই।
পেইজ সূচিপত্রঃ শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ৫টি ব্যবহার সমূহ
- শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বলতে কি বুঝায়
- শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ৫টি ব্যবহার সম্পর্কে দেখুন
- শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অপব্যবহার
- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ১০টি ব্যবহার
- প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব
- বিভিন্ন ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার
- শেষ কথাঃ শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ৫টি ব্যবহার
শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বলতে কি বুঝায়
শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি গুরুত্ব অপরিসীম অবদান রয়েছে যা বলে বোঝানোর মতো না। তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহার করার ফলে শিক্ষার্থীদের বাস্তবমুখী জ্ঞান ও দক্ষতা প্রদান করে থাকেন। এবং তাদেরকে কর্মজীবনের দক্ষ করে। তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহার করার ফলে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদান করতে অনেক সুবিধা হয়েছে। এতে করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার করার ফলে শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নতি শিখরে পৌঁছাচ্ছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি পূর্ণরূপ। (ICT) information and communication Technolog. বাংলাদেশের সব প্রতিষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার করে শিক্ষাদান দেওয়া হচ্ছে। যেমন স্কুল কলেজ থেকে শুরু করে মাদ্রাসা এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক গুলোতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। আরেকটি ঠিক হচ্ছে শুধু বাংলাদেশে নয় পৃথিবী প্রায় সকল দেশেই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদান করা হচ্ছে।
এ থেকে বোঝা যায় যে শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব অপরিসীম। শুধু শিক্ষা ক্ষেত্রেই নয় তার পাশাপাশি আরো বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। দিন দিন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করার ফলে বাংলাদেশ আরো উন্নতির শিখরে পৌছাবে।
শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ৫টি ব্যবহার সম্পর্কে দেখুন
শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি যে পাঁচটি বিষয় সম্পর্কে আপনারা অনেকেই অবগত নয়। শুধু শিক্ষা ক্ষেত্রেই নয় আমাদের জীবনে প্রায় অধিকাংশ বিষয়গুলোতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকি। তাহলে আপনারা বুঝতে পারছেন যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অবদান কতটুকু। তাহলে চলুন শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির পাঁচটি ব্যাপার সম্পর্কে জেনে নেয়।
আরও পড়ুনঃ
ওয়ালটন ফ্রিজের মূল্য তালিকা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন ২০২৪
- ডিজিটাল ক্লাসরুম।
- ডিজিটাল শিক্ষাদান।
- কমিউনিকেশন ও সহযোগিতা।
- স্ব-শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ।
- অনলাইন অ্যাসাইনমেন্ট।
ডিজিটাল ক্লাসরুমঃ ডিজিটাল ক্লাসরুমে শিক্ষকগণরা তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কে পাঠ দান করিয়া থাকেন। এতে করে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করার সহায়তা করে থাকে। যেমন প্রজেক্টর, মাইক্রোফোন, স্মার্ট বোর্ড,ওয়েবক্যাম,ইন্টারঅ্যাক্টিভ ইত্যাদি।
ডিজিটাল শিক্ষাদানঃ ডিজিটাল শিক্ষাদানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদেরকে ইন্টারনেট ব্যবহার করার মাধ্যমে শিক্ষা দেওয়া হয়। যা শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে ক্লাস করতে পারে এবং শিক্ষা নিতে পারে। এবং শিক্ষকগণের সাথে ভিডিও কলে ক্লাস করে এবং যে কোন প্রশ্ন উত্তর সমাধান পাওয়া যায়। এবং অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন বই পড়া যায়।
কমিউনিকেশন ও সহযোগিতাঃ কমিউনিকেশন ও সহযোগিতা এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা অনলাইন মাধ্যমে শিক্ষক ও সহকর্মীদের সাথে সংযোগ করে বিভিন্ন প্রশ্ন এবং উত্তর সমাধান করতে পারে। এতে করে শিক্ষার্থীদের পাঠ দান করার সুবিধা রয়েছে।
স্বশিক্ষা এবং প্রশিক্ষণঃ সুশিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ দেওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এতে করে শিক্ষার্থীরা নিজ ভাবে পড়াশোনা, এবং নিজে নিজেই শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে। এবং শিক্ষার্থীরা প্রশিক্ষণ নেয়ার জন্য প্রশিক্ষণ বিষয়ের ভিডিও এবং অনলাইন কোর্সের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করে পাঠদান গ্রহণ করতে পারে।
অনলাইন অ্যাসাইনমেন্টঃ অনলাইনে এসাইনমেন্ট এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষামূলক সুযোগ দেওয়া হয়ে থাকে। এতে করে শিক্ষার্থীরা প্রশ্নের উত্তর এবং মডেল টেস্ট পরীক্ষামূলক দিতে পারে। শিক্ষার্থীদের জন্য এটি একটি বড় সুবিধা। কেননা ঘরে বসে পরীক্ষামূলক অংশগ্রহণ করতে পারছে।
শিক্ষাক্ষেত্রে ৪টি ব্যবহৃত প্রযুক্তির নাম
শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় এমন চারটি প্রযুক্তির নাম উল্লেখ করা হলো। যেমন;
- ল্যাপটপ বা কম্পিউটার।
- মোবাইল ফোন বা ট্যাব।
- ইন্টারনেট সংযোগ।
- মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর ইত্যাদি।
শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও প্রযুক্তির অপব্যবহার
শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার গুরুত্ব অপরিসীম। কেননা শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের উচ্চ পাঠদান করানো হয়ে থাকে। এতে করে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা সুবিধা হয়ে থাকে। অনুরূপভাবে শিক্ষাক্ষেত্র তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অপব্যবহারও রয়েছে। এতে করে শিক্ষার্থীদের পাট দান করার মন মানসিকতা নষ্ট হয়ে পড়ছে।
এজন্যই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সঠিকভাবে ব্যবহার করতে এবং জ্ঞান লাভ করতে শিখতে হবে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির আবিষ্কারের অন্যতম মাধ্যমটি হচ্ছে মোবাইল ফোন। বর্তমানে প্রায় অধিকাংশ মানুষের মোবাইল ফোন ব্যবহার করে থাকে। যেমন পাঁচ বছরের শিশু সন্তান থেকে শুরু করে কিশোর কিশোরী, যুবক, বৃদ্ধ প্রায় অধিকাংশ মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে থাকে। ছোট বাচ্চারা কান্নাকাটি করতে লাগলে মোবাইল ফোনে, কাটুন বা গান-
বাজনা দেখিয়ে তাদের কান্না থামাতে হয়। এজন্যই শিশুর মোবাইল ফোনের প্রতি আসক্ত হয়ে যাই। কিশোর কিশোরীরা মোবাইল ফোনে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বন্ধুদের সাথে আড্ডা, ফেসবুকের স্টোরি, ফেসবুকে ছবি, লাইক কমেন্ট, টিক টক, ইত্যাদি। এসব বিষয়ের সাথে লিপ্ত হয়ে পড়াশোনার ক্ষতি করছে। এক্ষেত্রে বর্তমান সময়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিড়ম্বনা সৃষ্টি হচ্ছে।
এছাড়াও কিশোর বয়সের শিক্ষার্থীরা ফ্রী ফায়ার, পাবজি,ক্যাশ অফ ক্ল্যান, লুডো, মিনি মিলিটারি ইত্যাদি রকমের গেমসের মাধ্যমে ইন্টারনেটের অপব্যবহার করে থাকছে। ঠিকমতো স্কুল, কলেজ যাওয়া থেকে বিরত থাকছে। ফলে বর্তমান দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের মুখে পড়ছে। বর্তমান দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা অন্য তো লাভের জন্য এবং যুবসমাজ বাঁচানোর জন্য এসব কর্মকাণ্ড থেকে বিরোধ রাখার জন্য। রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মিলিত হয়ে একটি কার্যকারী পদক্ষেপ নিতে হবে।
আরও পড়ুনঃ ভিডিও দেখে টাকা ইনকাম real পেমেন্ট বিকাশে
রাষ্ট্রীয়ভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার পরে এটি বাস্তবায়ন করতে হবে। তাহলে যুবসমাজ এবং শিক্ষার্থীদের এসব কর্মকাণ্ড থেকে বাঁচানো সম্ভব। তাহলেই আমাদের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নতির শিখরে পৌঁছাবে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ১০টি ব্যবহার
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির দশটি ব্যবহার সম্পর্কে অনেকেই জানতে চেয়েছেন। তবে অনেকেই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির দশটি ব্যবহার সম্পর্কে জানেনা। আমাদের জীবনে কোন না কোন ভাবেই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হয়। তাহলে চলুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির দশটি ব্যবহার সম্পর্কে জানব।
আরও পড়ুনঃ
বাংলাদেশী অ্যাপ প্রতিদিন 1000 টাকা আয় পেমেন্ট বিকাশ
দৈননিন্দ জীবন যাপনের জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির দশটি ব্যবহার নিম্নে উল্লেখ করা হলো।যথা:
- কম্পিউটার
- শিক্ষা ক্ষেত্রে
- চিকিৎসা সেবা
- কৃষি শিক্ষা
- ইন্টারনেট
- টেলিভিশন
- যোগাযোগ ব্যবস্থা
- মহাকাশ গবেষণা
- ব্যবসায়
- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
কম্পিউটারঃ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির আবিষ্কারের অন্যতম মাধ্যমটি হচ্ছে কম্পিউটার। বর্তমানে সারা বিশ্বে মানদণ্ড পরিবর্তন করে দিয়েছে এই কম্পিউটার। কম্পিউটারে হাজার হাজার তথ্য ও উপাত্ত গুলো সংরক্ষণ করে রাখা যায়। এবং শুধু কম্পিউটার তথ্য ও উপাত্ত গুলো এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় হস্তান্তর করতে পারবেন।
শিক্ষাক্ষেত্রেঃ শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব অপরিসীম। কেননা সারা বিশ্বে শিক্ষার মানদণ্ড উন্নত করার জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকে। এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে শিক্ষার্থীরা তাদের পড়াশোনা উন্নত শিখরে পৌঁছাচ্ছে।
চিকিৎসা সেবাঃ চিকিৎসা সেবা ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যাপক অবদান রয়েছে। তথ্য ও প্রযুক্তি আসার আগে অধিকাংশ মানুষ উন্নত চিকিৎসার ওভাবে মারা যেত। কিন্তু এখন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে জরুরী কোন রোগের চিকিৎসা অনায়াসে ঘরে বসে পাচ্ছে। এবং বিভিন্ন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে পারছে এবং চিকিৎসা নিচ্ছে।
কৃষি শিক্ষাঃ কৃষি শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রযুক্তি অনেকটাই পরিবর্তন এনেছে। কৃষি ক্ষেত্রে প্রযুক্তি ব্যবহার করার ফলে কৃষি বিশেষজ্ঞরা উন্নত মানের সার কীটনাশক ও বিজ উৎপাদন করতে সক্ষম হচ্ছে। এসব উৎপাদিত পণ্যগুলো কৃষকরা ব্যবহার করছে এবং অনেকটা লাভবান হচ্ছে। ফলে আগের তুলনায় উৎপাদনের ক্ষেত্রে অনেকটা কম খরচ হচ্ছে। এজন্যে কৃষি উৎপাদন আরো বেড়েই চলছে।
ইন্টারনেটঃ বর্তমান প্রজন্মে ইন্টারনেট ছাড়া প্রযুক্তি অচলই বলা যায়। কেননা বর্তমানে পৃথিবীতে যেকোনো তথ্য বা বিভিন্ন কিছু সম্পর্কে জানতে আমাদের ইন্টারনেটের ব্যবহার প্রয়োজন হয়ে পড়ে। আমাদের জীবন যাত্রা সহজ করার জন্য ইন্টারনেট অনেকটা অবদান রাখে।
টেলিভিশনঃ বর্তমানে টেলিভিশনের মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন দেশের খবরা-খবর পেয়ে থাকি। এবং বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান বা বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান উপভোগ করে থাকি। এজন্যই টেলিভিশনটি হচ্ছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অন্যতম আবিষ্কার।
যোগাযোগ ব্যবস্থাঃ বর্তমান পৃথিবীতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করার মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেকটা সহজ হয়ে গেছে। পৃথিবীর এক স্থান থেকে অন্য স্থানে কথা বলা যাচ্ছে। এবং লেনদেন করা যাচ্ছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার ফলে ঘরে বসে বাসের টিকিট, ট্রেনের টিকিট ইত্যাদি ধরনের টিকিট সংগ্রহ করতে পারছি।
আরও পড়ুনঃ
ইউটিউব মনিটাইজেশন পলিসি ২০২৪
মহাকাশ গবেষণাঃ বিশ্বের অধিকাংশ দেশগুলোতে প্রযুক্তি ব্যবহার করে মহাকাশে স্যাটেলাইট পাঠিয়ে মহাকাশের তথ্য সংগ্রহ করতে পারছে। এছাড়াও বিশ্বের অনেক দেশগুলো প্রযুক্তির সাহায্যে চাঁদে পা রাখছে। এবং সেখান থেকে বিভিন্ন তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করেছে। প্রযুক্তি ব্যবহার করে গবেষণা ক্ষেত্রে বিভিন্ন তথ্য ও উপাত্ত অনাসে পেয়ে যাচ্ছে।
ব্যবসা ক্ষেত্রেঃ ব্যবসা ক্ষেত্রে প্রযুক্তি ব্যবহার করে অধিকাংশ ব্যবসায়িকরা উন্নত শিখরে পৌছাচ্ছে। কেননা তাদের নির্দিষ্ট একটি প্রোডাক্ট প্রযুক্তি ব্যবহার করে ইন্টারনেটের মাধ্যমে সমস্ত পৃথিবী ছড়িয়ে দিতে পারছে। এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করে পণ্য গুলির এড বা বিজ্ঞাপন দেখিয়ে সহজে বিক্রি করতে পারছে। এবং যাদের পণ্যগুলি পছন্দ হচ্ছে তারা সহজে ক্রয় করে নিতে পারছে। এজন্যই ব্যবসায় ক্ষেত্রে প্রযুক্তি অবদান অনেক রয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমঃ আগে যুগের মানুষেরা আত্মীয়-স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য চিঠি পাঠিয়ে যোগাযোগ করত। কিন্তু বর্তমানে যোগাযোগ ব্যবস্থা কারণে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে অনায়াসে যোগাযোগ করতে পারছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যোগাযোগ করার মূল অবদানটি প্রযুক্তির। কেননা প্রযুক্তি আবিষ্কার না হইলে আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা অচল হয়ে পড়তো।
মূল কথা হচ্ছে পৃথিবীর মানুষ কোন না কোনভাবেই যোগাযোগ ও প্রযুক্তির মাধ্যমে সংযুক্ত রয়েছে। কেননা প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমরা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকি। এতে করে আমাদের অনেক সুবিধা রয়েছে। খুব অল্প সময়ে কাজটি সম্পন্ন করতে পারি।
প্রাথমিক শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব কি
প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব অপরিসীম। একটি জাতিকে উন্নত শিখরে পৌঁছানোর জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদেরকে পড়াশোনা করানো হয়। শিক্ষা জীবনের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা। একজন শিক্ষার্থীকে থেকে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে শিক্ষা দিতে হবে। কেননা প্রাথমিক শিক্ষা থেকে একজন শিক্ষার্থীকে গড়ে তুলতে হবে।
বর্তমান পৃথিবীকে গ্লোবাল ভিলেজ হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে। একজন প্রাথমিক শিক্ষার্থীকে গোড়া থেকে শুরু করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে পাঠদান করাতে হবে। তাহলেই প্রাথমিক শিক্ষার্থীরা চাপ প্রয়োগ থেকে বেরিয়ে আসবে। তাদেরকে বোঝানোর জন্য এবং আনন্দের ছলে শিক্ষাদান করাতে হবে। এবং তার পাশাপাশি হাতে কলমে প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রদান করাতে হবে।
প্রাথমিক শিক্ষার্থীদেরকে শিক্ষাদানের পাশাপাশি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব সম্পর্কে ধারণা দিতে হবে। তাহলে তারা আস্তে আস্তে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে পারবে। এভাবে আস্তে আস্তে শিক্ষার্থীদের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে শিক্ষা লাভের কার্যক্রম সঠিক ভাবে পরিচালনা করতে পারবে।
আরও পড়ুনঃ
প্রতি মাসে ঘরে বসে আয় ১৫০০০-২০০০০ টাকা? বাংলাদেশি অ্যাপ দিয়ে
একটি জাতিকে সুশিক্ষা শিক্ষিত করার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা থেকেই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে শিক্ষা দান করাতে হবে। আস্তে আস্তে শ্রেণী ভিত্তিক শিক্ষা অর্জন এর পাশাপাশি তাদের মেধাবিকাশ ঘটবে। এভাবে একটি জাতি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে উঠবে।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে
বর্তমান পৃথিবীতে অধিকাংশ মানুষের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকে। বর্তমানে পৃথিবীতে প্রযুক্তির ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে। যতদিন চাচ্ছে ততোই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহারের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। কিন্তু এই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি কেউ কেউ ভালো কাজে ব্যবহার করছে আবার অধিক অধিকাংশ মানুষেরাই খারাপ কাজে ব্যবহার করে থাকছে। তাহলে চলেন নিম্নে প্রযুক্তি ব্যবহারের ভালো দিক সম্পর্কে জানব।
- বিভিন্ন ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের কয়েকটি দিক উল্লেখ করা হলো। যথা;
- অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসে খাবার অর্ডার করা হয়।
- মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পৃথিবীর এই প্রান্ত থেকে পৃথিবীর অন্য প্রান্ত যোগাযোগ করা যায়।
- অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা সেবা নেওয়া যাই।
- ইন্টারনেট ব্যবহার করার ফলে বিভিন্ন ধরনের নিউজ পড়া যায়।
- ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে বাস, ট্রেন ও বিমানের টিকিট কাটা যায়।
- প্রযুক্তি ব্যবহার করার ফলে কৃষি ক্ষেত্রে উন্নত কীটনাশক ও সার উৎপাদন করা হয়ে থাকে।
- পৃথিবীর যেকোনোই এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সহজেই মোবাইলের মাধ্যমে টাকা পাঠানো যায়।
- বাড়িতে ঘরে বসে থেকেই বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, পানি বিল দেওয়া যায়।
- ইন্টারনেট ব্যবহার করে অনলাইনের মাধ্যমে পৃথিবীর যেকোনো লাইব্রেরী থেকে উন্নত মানের বই সংগ্রহ করে পড়া যায়।
- শিক্ষা ক্ষেত্রে ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে যেকোনো তথ্য উপাত্ত সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়।
- ব্যবসা ক্ষেত্রে ঘরে বসে ইন্টারনেট ব্যবহার করার মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
- যেকোনো তথ্য সংগ্রহ করার জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করে গুগলে সার্চ করে জানা যায়।
- পড়াশোনার ক্ষেত্রে শিক্ষকদের সাথে সহকর্মীদের সাথে যোগাযোগ করে প্রশ্ন এবং উত্তর সমাধান করা যায়।
- ইন্টারনেট ব্যবহার করে অনলাইনের মাধ্যমে ভিডিও কলে দূর দূরান্ত আত্মীয়-স্বজনের সাথে যোগাযোগ করা যায় এবং দেখা যায়।
- ইন্টারনেট ব্যবহার করে বিভিন্ন সাইটে অডিও, ভিডিও, গান শোনা ছবি দেখা ইত্যাদি।
মূল কথা হচ্ছে আমাদের দৈনিন্দ্য জীবন যাপনের জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব অপরিসীম। কেননা আমরা প্রতিটা ক্ষেত্রেই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকি। তাই আমাদের উন্নত জীবনযাপনের জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অবদান অনেক যা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না।
শেষ কথাঃ শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ৫টি ব্যবহার
শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহারে অনেক অবদান রয়েছে। এক্ষেত্রে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নতি শেখরে পৌঁছাচ্ছে। কিন্তু অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অপব্যবহারও করছে। এতে করে শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের মুখে পড়ছে। তাই আমাদের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে জানতে হবে এবং তা বাস্তবায়ন করতে হবে।
প্রিয় পাঠক, আমি আশা করছি যে আজকে আমাদের আর্টিকেলের মাধ্যমে শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। আমাদের এই ওয়েবসাইটটি সঠিক তথ্য প্রদান করে থাকে। তাই আপনারও যদি কোন বিষয়ে সঠিক তথ্য পেতে চান তাহলে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন। এবং আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে জাতীয় উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই শেয়ার করবেন। এতক্ষণ আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ......!!!
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url