বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়ার উপায়
বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়ার উপায় সম্পর্কে আজকে আমি আপনাদের জানাতে চলেছি। কেননা যারা বিদেশে বিভিন্ন পেশায় যেতে ইচ্ছুক অধিকাংশ মানুষেরাই ইতালিতে যেতে চাই। কারণ ইতালিতে অনেক পরিমাণে কাজের চাহিদা রয়েছে এবং মোটা অংকের টাকা ইনকাম করা যায়। বাংলাদেশ থেকে ইতালিতে যাওয়ার জন্য বর্তমানে অধিকাংশ
মানুষেরাই গুগলের সার্চ করে ইতালি কাজের মানগুলো জানার চেষ্টা করে থাকে। এবং বৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়ার উপায় রয়েছে। তাহলে দেরি না করে চলুন বাংলাদেশ থেকে কিভাবে ইতালিতে যাওয়া যায়। বাংলাদেশ থেকে ইতালিতে যাওয়ার উপায়।
পেইজ সূচিপত্রঃ বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়ার সহজ উপায়
- বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়ার উপায়
- ইতালি ভিসা আবেদন করার নিয়ম
- ইতালি যেতে কত টাকা লাগে
- ইতালি ভিসা কত প্রকার
- ইতালি ভিসার খরচ কত
- ইতালি ভিসা আবেদন করতে যে যে কাগজপত্র প্রয়োজন
- ইতালিতে কাজের বেতন কত
- ইতালির ১ টাকা সমান বাংলাদেশের কত টাকা
- ইতালি ভিসায় যাওয়ার ক্ষেত্রে দালাল চক্র হইতে সাবধান
- শেষ কথাঃ বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়ার সহজ মাধ্যম
বাংলাদেশ থেকে ইতালিতে যাওয়ার উপায়
বাংলাদেশ থেকে ইতালিতে যাবার উপায় সম্পর্কে আজকে আমরা বিস্তারিত জানবো। কেননা বর্তমান সময়ে ইতালিতে যাওয়া খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে। যার জন্য বাংলাদেশ থেকে ইতালিতে যাওয়ার জন্য ভিসা পাওয়া যায় না। তবে সরকারিভাবে ইতালিতে কাজের উদ্দেশ্যে যাওয়া যায়। ইতালিতে কাজের তুলনামূলক শ্রমিক খুব। যার জন্য ইতালি সরকার প্রতিবছরে শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে থাকেন।
বাংলাদেশের অনেক কোম্পানি রয়েছে যারা সরকারিভাবে ইতালিতে কাজের উদ্দেশ্যে ভিসা দিয়ে থাকেন। তবে বৈধ ও অবৈধভাবে ইতালিতে যাওয়া যায়। তবে আপনি বৈধভাবে ইতালিতে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। কেননা বৈধভাবে গেলে কোন রিস্ক থাকবে না। আপনি যদি অবৈধভাবে যেতে চান তাহলে আপনি ভুল সিদ্ধান্ত রয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ ইন্ডিয়া মেডিকেল ভিসা আবেদন করবেন যে ভাবে
সরকারিভাবে ইতালিতে যাওয়ার জন্য ডিজিটাল পাসপোর্ট তৈরি করতে হবে এবং ভিসা আবেদন করার জন্য কাগজপত্র প্রয়োজন। পাসপোর্ট এবং ভিসা আবেদন করার জন্য যা যা কাগজপত্র প্রয়োজন হবে সেই কাগজগুলি দিয়ে আপনি ভিসা এবং পাসপোর্ট তৈরি করে নিবেন। সবকিছু ঠিক থাকলে আপনি সরকারিভাবে ইতালিতে কাজের উদ্দেশ্যে যেতে পারবেন। বাংলাদেশ থেকে ইতালিতে কিভাবে যাওয়া যায় A To Z সম্পর্কে নিম্নে জানতে থাকুন।
ইতালি ভিসা আবেদন করার নিয়ম
ইতালির ভিসা আবেদন করার নিয়ম। বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়ার উপায়। আপনি যদি সার্কুলার অনুযায়ী ইতালি ভিসার আবেদন করতে চান তাহলে আপনি ঘরে বসে ইতালি ভিসার আবেদন করতে পারবেন। এবং ইতালি ভিসা আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকতে হবে। আপনি যদি মনে করেন যে ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে ইতালি ভিসার আবেদন করবো তাহলে অনলাইনের মাধ্যমেও আবেদন করতে পারবেন।তাহলে আপনাকে "Italy Visa Application" লিখে গুগলে সার্চ করে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে যাবতীয় তথ্য প্রদান করে ফর্ম পূরণ করতে হবে।
এবং পূরণ করা হয়ে গেলে সাবমিট করে দিলেই হবে। তবে অবশ্যই আপনার ডিজিটাল পাসপোর্ট থাকতে হবে। এবং ডিজিটাল পাসপোর্ট এর কমপক্ষে ৬ মাস মেয়াদ থাকা আবশ্যক। এবং আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে ইফতারিতে যাওয়ার জন্য কোন এজেন্সির মাধ্যমে যেতে চান তাহলে এজেন্সি কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করতে হবে। এজেন্সি কোম্পানি আপনার পাসপোর্ট এবং ভিসা করিয়ে দিবে।
তবে আপনাকে প্রয়োজনে কাগজপত্র জমা দিতে হবে। তারপর ভিসা আবেদন হয়ে গেলে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স প্রয়োজন পড়বে। এবং আপনার যোগ্যতা, মেডিকেল টেস্ট, যাবতীয় কাজগুলো এজেন্সি কোম্পানি মাধ্যমে করতে পারবেন। তবে একটি বিষয় খেয়াল রাখবেন দালাল হইতে সাবধান। দালাল চক্করের খপ্পরে পড়ে আপনি বিপদগ্রস্ত হতে পারেন। তাই যেকোনো এজেন্সি কোম্পানির ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করে নিবেন।
আরও পড়ুনঃ মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম
ইতালি যেতে কত টাকা লাগে
ইতালি যেতে কত টাকা লাগে এবং কত টাকা প্রয়োজন পড়বে তা নিয়ে আপনাদেরকে বিস্তারিত জানাবো। বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়ার উপায়। বর্তমান সময়ে ইতালিতে যাওয়া খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে। কেননা ইতালি যাওয়ার খুবই চাহিদা রয়েছে। যার জন্য ইতালি ভিসা তুলনামূলক খরচ বেড়েছে। তবে বিভিন্ন ক্যাটাগরি অনুযায়ী ইতালি ভিসা খরচ নির্ভর করে থাকে।
বর্তমান সময়ে অনেকেই পড়াশোনা বা ভ্রমণ করার উদ্দেশ্যে ইতালিতে টুরিস্ট বা স্টুডেন্ট ভিসা করে যাচ্ছে। কারণ টুরিস্ট ভিসা এবং স্টুডেন্ট ভিসা খরচ কম রয়েছে। যার ফলে অসংখ্য মানুষেরাই এই দুটি পথ অবলম্বন করছে। তবে ইতালি ভিসা সাধারণত ২ প্রকার হয়ে থাকে। যেমন সিজোনাল ভিসা এবং নন সিজনাল ভিসা। সিজনাল ভিসা দিয়ে কিছু সময়ের জন্য যেতে চান অর্থাৎ দুই থেকে তিন মাসের জন্য।
এই ভিসা করতে গেলে আপনার খরচ পড়বে মোটামুটি ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা। এবং আপনি যদি কোন কাজের উদ্দেশ্যে বেশ কয়েক বছর থাকার জন্য ভিসা করতে চান তাহলে আপনি নন সিজনাল ভিসা করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আপনার খরচ হতে পারে ৮ থেকে ১৫ লাক টাকা। তবে বৈধভাবেই ইতালি ভিসার আবেদন করবেন। তাহলে কোন বিপদগ্রস্ত হতে হবে না।
ইতালির ভিসা কত প্রকার
ইতালি ভিসা কত প্রকার ইতালি ভিসা দুই প্রকার সেটি হচ্ছে সিজনাল ভিসা ও নন সিজনাল ভিসা। তবে এর মধ্যে ইতালি ভিসার বিভিন্ন প্রকার হয়ে থাকে। তা জানতে নিম্নের অংশটুকু পড়তে থাকুন।
ইতালি ভিসা কত প্রকার ও কি কি তা নিচে আলোচনা করা হলোঃ
- ইতালি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা।
- ইতালি স্টুডেন্ট ভিসা।
- ইতালি টুরিস্ট ভিসা।
- ইতালি কৃষি ভিসা।
- ইতালি কনস্ট্রাকশন ভিসা।
- ইতালি স্পন্সর ভিসা।
সাধারণত অধিকাংশ মানুষেরাই উপরোক্ত ভিসার মাধ্যমে ইতালি যেয়ে থাকেন। তবে এর বাহিরে ও বিভিন্ন ভিসার মাধ্যমেও অধিকাংশ মানুষ যেয়ে থাকে। আপনি যে কাজের উদ্দেশ্যে ইতালিতে যেতে ইচ্ছুক সে কাজের ভিসা করবেন।
ইতালি ভিসার খরচ কত
ইতালি যেতে ভিসা খরচ কত লাগবে তা নিয়ে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করবো। বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়ার উপায়। বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়ার জন্য ভিসার খরচ পড়বে বিভিন্ন ক্যাটাগরির উপর নির্ভর করে। আপনি কোন ক্যাটাগরি ওপর ভিসা করবেন এবং কোন ক্যাটাগরি ভিসার খরচ কত তা জানতে নিচে পড়তে থাকুন।
- ইতালি ভিসা খরচ কত তা নিয়ে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ
- ইতালি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা খরচ পড়বে সর্বনিম্ন ৮ থেকে সর্বোচ্চ ১৫ লাক টাকা পর্যন্ত।
- ইতালি স্টুডেন্ট ভিসার খরচ পড়বে সর্বনিম্ন ৫ থেকে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত।
- ইতালি টুরিস্ট ভিসার খরচ পড়বে সর্বনিম্ন ৩ থেকে সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত।
- ইতালি কৃষি ভিসার খরচ পড়বে সর্বনিম্ন ৭ থেকে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত।
- ইতালি কনস্ট্রাকশন ভিসার খরচ পড়বে সর্বনিম্ন ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত।
- ইতালি স্পনসর ভিসার খরচ পড়বে আনুমানিক সর্বনিম্ন ৮ থেকে সর্বোচ্চ ১৩ লাখ টাকা পর্যন্ত।
বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়ার জন্য উপরোক্ত ভিসা খরচ পড়তে পারে। এক্ষেত্রে দালাল চক্রের যোগাযোগ করলে কম না বেশি লাগতেও পারে। তবে একটি বিষয় খেয়াল রাখবেন যে যে এজেন্সি কোম্পানি বা মানুষের দ্বারা ইতালি ভিসা করবেন সে দালাল কিনা সত্যতা যাচাই বাছাই করে নিবেন।
আরও পড়ুনঃ প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট
ইতালি ভিসা আবেদন করতে যে যে কাগজপত্র প্রয়োজন
ইতালি ভিসা আবেদন করতে যে যে কাগজপত্র প্রয়োজন তা নিয়ে আমরা আজকে বিস্তারিত আলোচনা করবো। বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়ার উপায়। ইতালি ভিসা করতে অনেক রকমের কাগজপত্র প্রয়োজন হয়ে থাকে। কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন তা নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ
ইতালি ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে জাযাক কাগজপত্র প্রয়োজন তা হলোঃ
- ডিজিটাল পাসপোর্ট।
- পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি(রঙিল)
- জাতীয় পরিচয় পত্রে ফটোকপি।
- ভিসা আবেদন ফরম।
- মেডিকেল সার্টিফিকেট।
- এনআইডি কার্ডের ফটোকপি।
- জন্ম নিবন্ধনে ফটোকপি।
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
- চেয়ারম্যান সনদপত্র।
- শিক্ষাগত যোগ্যতা সনদপত্র।
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদপত্র।
- কৃষি কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণ স্বরূপ সনদপত্র।
- Ielts স্কোর ও সনদপত্র।
ইতালি ওয়ার্ক পারমিট ভিসার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো হলোঃ
- বৈধ পাসপোর্ট।
- জন্ম নিবন্ধনে ফটোকপি।
- পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি।
- জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি।
- মেডিকেল রিপোর্ট সনদপত্র।
- ভিসা আবেদনের ফরম।
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স।
- কোম্পানি থেকে পাওয়া স্পন্সরের সার্টিফিকেট।
উপরোক্ত কাগজপত্র মাধ্যমে ইতালি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা তৈরি করে থাকে। তাছাড়াও বিভিন্ন ভিসার জন্য বিভিন্ন কাগজপত্র প্রয়োজন হয়ে থাকে। তবে সাধারণত উপরোক্ত কাগজপত্র মাধ্যমে ইতালি work পারমিট ভিসায় ভ্রমন করে থাকে।
ইতালিতে কাজের বেতন কত
ইতালিতে কাজের বেতন নির্ভর করে নির্ভর করে একান্তই আপনি কোন ধরনের কাজ করছেন এবং কেমন পরিশ্রম করছেন। ইতালিতে যত পরিশ্রম করবেন আপনি পরিশ্রমের ফালত তো ভালো পাবেন। এবং খুবই ভালো পরিমানে টাকা উপার্জন করতে সক্ষম হবেন। আপনি যদি অলস ব্যক্তি মত বসে থেকে ভালো পরিমাণে টাকার আশা করবেন তাহলে তো হবে না।
আপনি যত পরিশ্রম করবেন তত বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ইতালিতে সাধারণত যেই কাজ করেন না কেন সর্বনিম্ন প্রতিমাসে ৬০ থেকে ৩,৪ লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। তবে আপনার কাজের দক্ষতা এবং পরিশ্রমই নির্ভর করে আপনি প্রতিমাসে কত টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
তবে আরেকটি বিষয় খেয়াল রাখবেন যে অতিরিক্ত পরিশ্রম করার ফলে অসুস্থতা করবেন না। তাহলে তো আপনি কাজ করতে পারবেন না। শরীর স্বাস্থ্য ঠিক রেখে পরিশ্রম করুন। পরিশ্রমিক সাফল্য চাবিকাঠি। আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে ইতালিতে কাজের বেতন কত।
আরও পড়ুনঃ ফেসবুক রিলস থেকে আয়ের সেরা উপায়
ইতালির ১ টাকা সমান বাংলাদেশের কত টাকা
ইতালির ১ ইউরো সমান বাংলাদেশের ১৩২ টাকা। বাংলাদেশী টাকার মান কমে যাওয়ার জন্য ইতালি টাকার মান দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিছুদিন আগে ইতালির এক ইউরো সমান বাংলাদেশের ১২০ টাকা মত ছিল। তা এখন বর্তমান সময়ে ইতালির এক ইউরো সমান বাংলাদেশের ১৩০ থেকে ৩২ টাকা পর্যন্ত হয়ে গিয়েছে।
ইতালি একটি উন্নত রাষ্ট্র যার কারণে দিন দিন ইতালি ইউরোর মান বাড়ছে। বাংলাদেশের প্রায় অধিকাংশ মানুষেরই স্বপ্ন থাকে যে ইতালি যাওয়ার। কারণ ইতালি ইউরো মান বেশি। ইতালি কাজের চাহিদা অনুযায়ী শ্রমিক খুবই কম। শুধু বাংলাদেশে নাই পৃথিবীর অধিকাংশ শ্রমিকেরাই ইতালিতে কাজের উদ্দেশ্যে যেয়ে থাকেন।
বর্তমান ইতালি টাকার মান সবচেয়ে বেশি। বাংলাদেশ থেকেও বিভিন্ন পেশায় ইতালিতে অধিকাংশ মানুষেরাই পাড়ি জমাচ্ছেন। আমি আশা করছি যে আপনি বুঝতে পেরেছেন যে ইতালির এক টাকা সমান বাংলাদেশের কত টাকা।
আরও পড়ুনঃ ব্লগিং করে কি ভাবে প্রতিমাসে ২০-৩০ হাজার টাকা ইনকাম করবেন
ইতালি ভিসার ক্ষেত্রে দালাল চক্র হইতে সাবধান
ইতালি ভিসায় যাবার ক্ষেত্রে দালাল চক্র হইতে সাবধান কথাটি কেন বললাম সেটি আপনাকে বুঝিয়ে বলছি। আপনি যদি ইতালিতে কৃষি ভিসা বা অন্যান্য কোন ভিসা করে থাকেন। দালাল চক্র আপনাকে সেই ভিসা কাজে নিয়ে যাবে বলে অন্য কাজে লাগিয়ে দেয়। সেক্ষেত্রে আপনি বিপদগ্রস্ত হতে পারেন। আমাদের বাংলাদেশে প্রায় এসব ঘটনা ঘটছে।
সে ক্ষেত্রে আপনি ইতালি ভিসা করার জন্য কোন এজেন্সি কোম্পানি বা মানুষের মাধ্যমে যেতে চান। তাহলে সে এজেন্সি কোম্পানি বা মানুষকে ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করে নিবেন। এসব দালাল চক্রের খপ্পরে পড়ে আপনি নিজের জীবনকে ঝুঁকিপূর্ণ করবেন না। তার সাথে আপনি ভিসা ব্যবদ যে খরচগুলো হচ্ছে সেগুলো আর ফেরত পাবেন না।
তাতে আপনি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাবেন। এখন মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে শুরু করে বিভিন্ন পরিবার সন্তানরা বিদেশ ভ্রমণ করছেন। বেকারত্বতা দূর করার জন্য বিদেশে পাড়ি দিচ্ছেন। সেক্ষেত্রে যদি দালাল চক্রের খপ্পরে পড়ে তার জীবনকে ঝুঁকিপূর্ণ মধ্যে ফেলে এবং হেনস্থার শিকার হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে হাজারো মধ্যবিত্ত পরিবারের বেকারত্ব দূর করার স্বপ্ন বঙ্গ হয়ে পড়ছে। তাই দালালচক্র হইতে সাবধান।
শেষ কথাঃ বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়ার সহজ মাধ্যম
বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়ার সহজ মাধ্যম। আপনি যদি ইতালি যেতে চান তাহলে উপরোক্ত মাধ্যম অবলম্বন করে আপনি ইতালিতে পাড়ি জমাতে পারবেন। ইতালিতে আবেদন করার নিয়ম। ইতালি যাওয়ার উপায়। ইতালি যেতে কত টাকা খরচ হইতে পারে। ইতালি ভিসার প্রকারভেদ। ইতালি কোন ভিসা কত টাকা খরচ পড়বে। ইতালি যাওয়ার জন্য কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন পড়বে। সেসব বিষয় বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
প্রিয় পাঠকগণ, আমি আশা করছি যে আমাদের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি জানতে পেরেছেন যে বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়ার সহজ মাধ্যম। এবং আপনার যদি আমাদের আর্টিকেলটি পরে উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে কমেন্ট বক্সে একটি কমেন্ট করতে ভুলবেন না। কেননা আপনার কমেন্ট আমাদের ইতালি বিষয় আর্টিকেল লিখতে অনুপ্রাণিত করবে। এতক্ষন আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ.....!!!! 🥰
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url