চিয়া সিড এর উপকারিতা ও অপকারিতা
চিয়া সিড সেবনের ফলে কি কি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আপনি সঠিক জায়গাতে এসেছেন। কেননা বর্তমানে অধিকাংশ মানুষেরই স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা বাড়ছে। এবং তার সাথে প্রতিদিনের খাবারেও পুষ্টিগুণ নিয়ে মানুষের সচেতনতা বেড়েই চলেছে। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন
খাবারে পাশাপাশি চিয়া সিড তালিকাতেও রাখছে। কারণ চিয়া সিডে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন। চিয়া সিড খাবার ফলে শরীরের বিভিন্ন রকমের উপকারিতা রয়েছে। তাহলে দেরি না করে চলুন চিয়া সিড এর উপকারিতা ও অপকারীতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
পেইজ সূচিপত্রঃ চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারীতা
- চিয়া সিড কী
- চিয়া সিডের পুষ্টিগুণমান
- চিয়া সিড খাওয়ার উপকারীতা
- চিয়া সিড খাওয়ার অপকারীতা
- চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম
- সকালে খালি পেটে চিয়া সিড খেলে কি হয়
- চিয়া সিড কী পরিমাণ খাওয়া উচিত
- শেষ কথাঃ চিয়া সিড সেবনের উপকারিতা ও অপকারীতা
চিয়া সিড কী
চিয়া সিড কে সুপার ফুড বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। চিয়া সিড মূলত একটি গাছের বীজ যা শস্য জাতীয় উদ্ভিদ মরুভূমিতে জন্মানো সালভিয়া উদ্ভিদের বীজ। তবে এটি উদ্ভিদ শস্যের তালিকায় পড়লেও এটি এক ধরনের ভেষজ বলা হয়ে থাকে। চিয়া সিড কে তিলের দানার মতোও দেখতে লাগে। চিয়া সিড আমেরিকায় এবং মেক্সিকোতে চিয়া নামে এক ধরনের গাছ রয়েছে। এই গাছের বীজকে চিয়া সিড বলা হয়ে থাকে।
চিয়া সিড বর্তমান সময়ে অধিকাংশ মানুষেরাই সেবন করে থাকেন। চিয়া সিডে থাকা ক্যালসিয়াম এবং প্রোটিন মানুষের শরীরের বিভিন্ন উপকারিতা করার জন্য ব্যাপক হারে সহায়তা করে থাকে। যার কারণে প্রতিদিন খাবার তালিকা পাশাপাশি এই চিয়া সিডকে তালিকায় রাখছে।
চিয়া সিডের পুষ্টিগুণমান
উপরোক্ত থেকে আমরা জেনে আসলাম চিয়া সিড কি এবং এখন আমরা জানবো চিয়া সিড এর পুষ্টি গুণমান। চিয়া সিড অন্যান্য পুষ্টিকর খাবার করার মধ্য এটি অন্যতম একটি পুষ্টিকর খাবার। চিয়া সিডকে প্রাচীনকালে অ্যাজটেক জাতিরা প্রধান খাবার মনে করতো। কেননা চিয়া সিড খাবার ফলে চিয়া সিডে থাকা পুষ্টিকর উপকরণগুলো শরীরের বিভিন্ন উপকার করার ব্যাপক সহায়তা করে থাকে।
আরও পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা
চিয়া সিডের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিকর উপকরণ। যেমন ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, আয়রন,ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড, কেম্পফেরল,কোয়েরসেটিন ইত্যাদি। এগুলো পুষ্টিগুন থাকার ফলে শরীরের বিভিন্ন প্রকার উপকার করার সহায়তা করে থাকে। আপনি চাইলে নিয়মিত চিয়া সিড খেতে পারেন। আপনার শরীরে দুর্বলতা নিরাময় করার জন্য ব্যবহারে সহায়তা করবে।
তাছাড়াও শরীরের বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করা থেকে বিরত করার জন্য অবদান রাখে। তাই আপনি প্রতিদিনের বিভিন্ন পুষ্টিকর খাবারের তালিকার পাশাপাশি চিয়া সিড কে যুক্ত করতে পারেন। চিয়া সিড একটি অতুলনীয় একটু পুষ্টিকর খাবার।
চিয়া সিড খাওয়ার উপকারীতা
উপরোক্ত থেকে জেনে আসলাম চিয়া সিড কি এবং চিয়া সিড এর পুষ্টিগুণ।এখন আমাদের জানতে হবে যে চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। কারন চিয়া সিডে থাকা পুষ্টিগুণ গুলো শরীরের কি কি উপকার বয়ে আনতে পারে সেগুলো জানা অত্যন্ত জরুরি। তাহলে চলুন দেরি না করে চিয়া সিড এর উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। চিয়া সিড এর উপকারিতা।
চিয় সিড খাওয়ার ফলে শরীরের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে নিরাময় করার জন্য সহায়তা করে থাকে তা নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
- চিয়া সিডে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রচুর পরিমাণে রয়েছে যার কারণে শরীরকে শক্তিশালী করার জন্য সাহায্য করে থাকে।
- চিয়া সিড খাবার ফলে ব্লাড সুগার এর মাত্রা স্বাভাবিক রাখার জন্য অপরিসীম ভূমিকা পালন করে থাকে।
- চিয়া সিড সে বনের ফলে ডায়াবেটিকস এর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সহায়তা করে থাকে।
- চিয়া সিডে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও ফাইবার যার কারণে অতিরিক্ত মাত্রায় স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সাহায্য করে থাকে।
- অধিক পরিমাণে ক্ষুধা লাগলে ক্ষুধা মেটানোর জন্য সাহায্য করে থাকে এই চিয়া সিড। এবং ক্ষুধা আগ্রহ কমিয়ে দেওয়ার জন্য সহায়তা করে।
- আপনার অতিরিক্ত মাত্রায় ওজন বৃদ্ধি হয়ে থাকে তাহলে চিয়া সিড আপনার ওজন কমানোর জন্য সাহায্য করবে।
- চিয়া সিড প্রতিদিন নিয়মিত খাবার ফলে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য সহায়তা করে থাকবে। কারণ চিয়া সিডে রয়েছে প্রোটিন, ফাইবার এবং কার্বোহাইড্রেট যার কারণে শরীরের শক্তি উৎপাদন করার জন্য সাহায্য করে থাকে।
- শরীরের পেশি শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য অপরিসীম ভূমিকা পালন করে এই চিয়া সিড। তাই প্রতিদিন নিয়মিত চিয়া সিড সেবন করুন।
- আপনার যদি শরীরের ক্লান্ত হয়ে পড়ে তাহলে প্রতিদিন নিয়মিত চিয়া সিড সেবন করতে পারেন। যার ফলে আপনার শরীরের ক্লান্তি ভাব করার জন্য সহায়তা করবে।
- কোলন ক্যান্সারের সমস্যা হতে সমাধান পাওয়ার জন্য প্রতিদিন নিয়মিত করে চিয়া সিড সেবন করতে পারেন। তাহলে আপনার কোলম ক্যান্সারের সমস্যা হতে মুক্তি পাবেন।
- আপনার যদি হজম শক্তি সমস্যাই পড়ে থাকেন তাহলে প্রতিদিন নিয়মিত করে চিয়া সিড সেবন করুন। তাহলে আপনার হজম শক্তি সঠিকভাবে প্রক্রিয়া করতে সাহায্য করবে।
- চিয়া সিড খাওয়ার ফলে মানব শরীরের মস্তিষ্কে বিকাশ ঘটানোর জন্য ব্যাপক হারে সাহায্য করে থাকে। তাই প্রতিদিন নিয়মিত করে চিয়া সিড সেবন করুন।
- নিয়মিত চিয়া সিড খাবার ফলে দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করার জন্য সাহায্য করে থাকে এবং কোন কাজের মনোযোগ বাড়ানোর জন্য সাহায্য করে।
- হৃদয় রোগের মত মারাত্মক রোগ নিরাময় করার জন্য চিয়া সিডের ভূমিকা অপরিসীম। তাই হৃদয় রোগ হতে মুক্তি পাওয়ার জন্য প্রতিদিন নিয়মিত করে চিয়া সিড সেবন করবেন।
- মুরগির ডিম থেকে তিনগুণ বেশি পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে এই চিয়া সিডে। যার কারণে শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
- গরুর দুধের চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি ক্যালরি পাওয়া যায় এই চিয়া সিডে। যা মানব শরীরের জন্য হাড় মজবুত করার ব্যাপক সহায়তা করে থাকে এবং স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য অপরিসীম ভূমিকা পালন করে থাকে।
- আপনার যদি হাটু ও জয়েন্টের ব্যাথা হয়ে থাকে তাহলে আপনি প্রতিদিন নিয়মিত করে চিয়া সিড সেবন করুন। তাহলে আপনি হাটু ব্যথা থেকে নিরাময় পাবেন।
- আপনার যদি ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দেখা যায় তাহলে নিয়মিত করে চিয়া সিড সেবন করুন। তাহলে আপনি ত্বকের সমস্যা হতে সমাধান পাবেন।
উপরোক্ত বর্ণনা যে আমরা জানতে পারলাম যে চিয়া সিড সেবন করলে শরীরের কি কি উপকার পাওয়া যায়। অতএব আপনার যদি এইসব সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আপনিও প্রতিদিন নিয়মিত করে চিয়া সিড সেবন করুন। তাহলে বিভিন্ন সমস্যা হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাবেন।
চিয়া সিড খাওয়ার অপকারীতা
ইতিপূর্বে আমরা জেনে আসলাম চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। এখন আমাদের জানা অত্যন্ত জরুরী চিয়া সিড খাওয়ার অপকারীতা সম্পর্কে। কেননা অতিরিক্ত মাত্রায় চিয়া সিড খাওয়ার ফলে মানব শরীরের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। চিয়া সিড খাওয়া শরীরের জন্য খুব উপকারী। কিন্তু অতিরিক্ত মাত্রায় খাওয়ার ফলে যে সকল অপকারীতা শরীরের জন্য সমস্যা হতে পারে সেগুলো আমাদের জানা অত্যন্ত জরুরি। তাহলে দেরি না করে চলুন কি কি অপকারিতা হতে পারে তা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিব।
প্রতিটি খাবারের ফলে উপকারিতা পাওয়া যায় কিন্তু অনুরূপভাবে অতিরিক্ত মাত্রায় খাবার ফলে শরীরের জন্য অপকারিতা ও বয়ে আনে। তেমনি চিয়া সিড এর ক্ষেত্রেও অপকারিতা রয়েছে যেমন অতিরিক্ত মাত্রায় চিয়া সিড খাওয়ার ফলে প্রোটেস্ট ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি হয়ে থাকে। এবং তার পাশাপাশি স্তন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই প্রতিদিন নিয়মিত করে পরিমাণ মাফিক খাওয়াই উচিত।
আরও পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় বিচি কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
তাছাড়াও অতিরিক্ত মাত্রায় চিয়া সিড খাওয়ার ফলে পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারি। কারণ চিয়া সিডে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যার কারণে পেট ব্যথা সমস্যা হতে পারে। যদি চিয়া সিড খাওয়ার ফলে পেটের সমস্যা দেখা দেয় তাহলে চিয়া সিড খাওয়া উচিত হবে না। এবং এ ছাড়াও অতিরিক্ত মাত্রায় চিয়া সিড খাওয়ার ফলে শরীরের ওজন কমে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে থাকে।
তাছাড়াও অতিরিক্ত মাত্রায় চিয়া সিড সেবনের ফলে মানব শরীরের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে রক্তচাপ কমায়। তাই অতিরিক্ত পরিমাণে সেবানের ফলে অস্বাভাবিকভাবে রক্তচাপ কমে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। কোন কিছু খাওয়ার জন্য তা নিয়মিত খেতে হবে। তা না হলে শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে সবচেয়ে ভালো পরামর্শটি হল ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করা। তাহলে স্বাস্থ্য ঝুঁকির সম্ভাবনা নেই।
চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম
চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম-চিয়া সিড কি ভাবে খাওয়া উচিত এসব প্রশ্ন আমাদের মনে থাকতে পারে। তাহলে কোন ব্যাপার না এখন আপনাদের জানাতে চলেছি চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বা চিয়া সিড কি ভাবে খাওয়া উচিত এসব সম্পর্কে। কোন কিছু খাওয়ার আগে তার নিয়ম সম্পর্কে জানতে হবে। তাহলে চলুন কথা আর না বাড়িয়ে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।
সাধারণত চিয়া সিডের নিজস্ব কোন স্বাদ পাওয়া যায় না। তাই আপনি চাইলে সালাদ, স্মুদি বা কাস্টার্ড এরকম যে কোন খাবারের সাথে মিশ্রিত করে খাওয়া যেতে পারে। এবং আপনি যদি কোন খাবারের সাথে মিশ্রিত করে না খেতে চান তাহলে শুধু চিয়া সিড খেতে পারেন। তবে শুধু চিয়া সিড খাওয়ার জন্য চিয়া সিড খাওয়ার আগে অন্তত ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখবেন। আর ভিজিয়ে রেখে খাওয়ার ফলে শরীরের বিভিন্ন সমস্যা হতে সমাধান পাওয়া যায়।
আরও পড়ুনঃ নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
শরীরের বিভিন্ন উপকার করার জন্য ব্যাপক সাহায্য করে থাকে। এবং আপনার যদি অতিরিক্ত মাত্রায় ওজন বৃদ্ধি পাচ্ছি সে ক্ষেত্রে আপনি চাইলে প্রতিদিন সকালে বা রাতে ঘুমানোর আগে প্রতিদিন নিয়মিত করে চিয়া সিড সেবন করতে পারেন। চিয়া সিড খাওয়ার জন্য ১ গ্লাস পানিতে ২ চা চামচ চিয়া সিড এবং ২ চা চামচ লেবুর রস মিশ্রিত করে খাওয়ার ফলে বেশ উপকারী রয়েছে।
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে চিয়া সিড খেল কি হয়
প্রতিদিন নিয়মিত করে সকালে খালি পেটে চিয়া সিড খাওয়ার ফলে শরীরের বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা রয়েছে। এবং বিভিন্ন ধরনের রোগ হতে নিরাময় পাওয়া যায়। এজন্য প্রতিদিন সকালে খালি পেটে চিয়া সিড সেবন করা উচিত। এছাড়াও প্রতিদিন সকালে খালি পেটে চিয়া সিড খাওয়ার ফলে হজমি শক্তি বাড়ানোর জন্য ব্যাপক সাহায্য করে থাকে।
তাছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য অপরিসীম ভূমিকা পালন করে থাকে। শুধু তাই নয় প্রতিদিন সকালে খালি পেটে চিয়া সিড খাওয়ার ফলে শরীরের শক্তি শক্তিশালী করার জন্য সহায়তা করে থাকে। এবং আপনার যদি শরীরের দুর্বলতা সমস্যা দেখা দেয় তাহল আপনি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে চিয়া সিড সেবন করুন। তাহলে দেখবেন আপনার শরীরের দুর্বলতা ভাব দুর হয়ে গেছে।
আরও পড়ুনঃ প্রতিদিন ২ কোয়া রসুন খাওয়ার উপকারিতা জেনে নিন
চিয় সিড খাওয়ার ফলে শরীরের অতিরিক্ত পরিমানে ওজন কমাতে সাহায্য করে থাকে। আপনার যদি অতিরিক্ত পরিমানে ওজন বাড়ে থাকে তাহলে আপনি নিয়মিত করে চিয়া সিড সেবন করুন। এবং অধিকাংশ মানুষ আছে যাদের ওজন অনেক কম থাকে। তাহলে তাদের জন্য চিয়া সিড খাওয়া উচিত।
চিয়া সিড কি পরিমাণ খাওয়া উচিত
চিয়া সিড কি পরিমাণ আমাদের খাওয়া উচিত সেটা জানা আমাদের জরুরী। কেননা চিয়া সিড পরিমাণের বেশি সেবন করা উচিত নয়। চিয়া সিড পরিমাণের বেশি সেবন করার ফলে শরীরের অতিরিক্ত সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই আমাদের পরিমাণ অনুযায়ী চিয়া সিড সেবন করা উচিত।
চিয়া সিড খাওয়ার জন্য চিয়া সিড ১ থেকে ২ টেবিল চামচ পরিমাণ পানিতে ১০/১৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখবেন। এবং পানি সহ চিয়া সিড খাওয়ার ফলে শরীরের বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা পাওয়া যায়। আপনি চাইলে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে বা রাতে ঘুমানোর আগে চিয়া সিড পানিতে ভিজিয়ে রেখে খেতে পারেন। তাহলে আপনার শরীরের অতিরিক্ত শক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি ক্লান্তি ভাব দুর করার জন্য সাহায্য করবে।
শেষ কথাঃ চিয়া সিড সেবনের উপকারিতা ও অপকারীতা
চিয়া সিড এর উপকারিতা ও অপকারীতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছ। চিয়া সিড খাওয়ার ফলে শরীরের বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা পাওয়া যায়। তাছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য অপরিসীম ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়াও চিয়া সিড খাওয়ার ফলে শরীরের বিভিন্ন সমস্যা হতে নিরাময় পাওয়া যায়।
প্রিয় পাঠক, আজকে আপনাদের এই পোস্টের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন যে চিয়া সিড খাওয়ার ফলে শরীরের কি কি উপকারীতা হতে পারে। এবং সেই সাথে চিয়া সিড খাওয়ার অপকারীতা সম্পর্কে। চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম ও চিয়া সিড সকালে খালি পেটে খেলে কি হয়। এবং চিয়া সিড প্রতিদিন কি পরিমাণ খাওয়া উচিত। এতক্ষণ মনোযোগ সহকারে আমাদের এই পোস্টটি পড়ে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ.......!!!
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url