গর্ভাবস্থায় বিচি কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

গর্ভাবস্থায় বিচি কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং বিচি কলা খাওয়ার কার্যকারিতা দিগগুলো নিয়ে আলোচনা করবো। তাছাড়াও বিচি কলা খাওয়ার নিয়ম। এবং কলার মধ্যে অনেক প্রকারভেদ রয়েছে। যেমন বিচি খোলা, সবরী কলা, মানিক কলা,সাগরকলা, আটিয়া কলা, চাপা কলা ইত্যাদি।

গর্ভাবস্থায়-বিচি-কলা-খাওয়ার-উপকারিতা-ও-অপকারিতা

আমরা অনেক রকম কলা খেয়ে থাকি কিন্তু কলার মধ্য থাকা গুনাগুন সম্পর্কে তেমন কিছু জানি না। তাহলে চলুন বিভিন্ন কলার গুনাগুন ও উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। গর্ভাবস্থায় বিচি কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা।

 পেইজ সূচিপত্রঃ গর্ভাবস্থায় বিচি কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

গর্ভাবস্থায় বিচি কলা খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভ অবস্থায় বিচি কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা। তবে বিচি কলার মধ্যে রয়েছে অনেক গুণাবলীতা। যা অনেকটা ঔষধি গুণাবলী সম্পন্ন। অনেক ধরনের কলা রয়েছে যার মধ্য অন্যতম হচ্ছে বিচি কলা। তাহলে দেরি না করে চলুন বিচি কলার মধ্য গুণাবলীতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। গর্ভাবস্থায় বিচি কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা।

গর্ভাবস্থায় বিচি কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত তুলে ধরা হলোঃ

  • মর্নিং সিকনেস দূর করার জন্য সহায়তা করে থাকে।
  • রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ব্যাপক সাহায্য করে।
  • হিমোগ্লোবিনের মাত্রা উন্নয়ন করার জন্য ব্যাপক ভূমিকা রাখে।
  • শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটনার জন্য ব্যাপক গুরুত্ব রয়েছে।
  • গর্ভাবস্থায় বুক জ্বালাপোড়া কমানোর ব্যাপক সহায়তা করে থাকে।
  • সাধারণত অধিকাংশ গর্ভবতী মহিলারা কলা সহ বিভিন্ন রকমের ফল খেতে চাই না। যার কারণ হচ্ছে কলা একটি ঠান্ডা জাতীয় ফলমূল। তবে গর্ভাবস্থায় বিচি কলা খাওয়ার জন্য কিছু নিয়ম মেনে খেতে হবে। নিয়ম মেনে খাওয়ার ফলে আপনাদের শরীরের খুব দ্রুতই উপকৃত উপভোগ করতে পারবেন।
  • বিচি কলাতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও নাইট্রোজেন রয়েছে। যা আমাদের দেহের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এছাড়াও এই উপাদানগুলো আমাদের শরীরের স্বাস্থ্যকর টিস্যু গঠন করার ব্যাপক সহায়তা করে থাকে।
  • গর্ভকালীন সময়ের মহিলাদের বিচি কলা খাওয়া অত্যান্ত প্রয়োজন। কেননা গর্ভাবস্থায় বিচি কলা খাবার ফলে শরীরের সুস্থতা বৃদ্ধি পায় এবং ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। এবং মা ও সন্তানের জন্য সুস্থতা রাখার জন্য বিচি কলার গুরুত্ব অপরিসীম। গর্ভকালীন মহিলাদের পেটে সমস্যা দূর করার জন্য বিচি কলা খাওয়া উচিত। এবং বিচি কলা পেটের গোলমাল দূর করার জন্য ব্যাপক ভূমিকা রাখে।
  • অনেক সময় দেখা যায় যে গর্ভবতী মহিলাদের বমি বমি ভাব হয়ে থাকে সে সময় যদি বিচি কলা খাওয়া যায় তাহলে বমি বমি ভাব থেকে মুক্তিলা পাওয়া যায়। তাছাড়াও গর্ভাবস্থায় মহিলাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিলে বিচি কলা খাওয়ার ফলে গ্যাস্ট্রিক দূর করার ব্যাপক সহায়তা করে থাকে। এবং গ্যাস্ট্রিকের কারণে বুক ধরফর করা থেকে সাহায্য করে থাকে।
  • গর্ভাবস্থায় যেসব মহিলাদের কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা হয়ে থাকে সেসব মহিলাদের জন্য বিচি কলা খাওয়ার অত্যান্ত জরুরী। আপনি যদি নিয়মিত বিচি কলা খেয়ে থাকেন তাহলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য অপরিসীম অবদান রাখে। এছাড়াও শরীরের বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ব্যাপক কার্যকারিতা রয়েছে।
  • এছাড়াও বিচি কলা রান্না করে খাওয়া যেতে পারে তাহলে কলার মধ্যে থাকা অবদানগুলো ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণ করা সহায়তা করে থাকে। এছাড় বিচি কলা খাওয়ার ফলে জ্বর, রক্তক্ষনন, কুষ্ঠ রোগ, ডায়রিয়া রোগ প্রতিরোধ করার জন্য ব্যাপক সহায়তা করে থাকে। এবং বিচি কলা খাওয়ার ফলে যে সকল ছত্রাক জনিত রোগ রয়েছে এগুলো দূর করার জন্য ব্যাপক সাহায্য করে থাকে।

গর্ভাবস্থায় বিচি কলা খাওয়ার অপকারিতা

এতক্ষণ আমরা জেনে আসলাম গর্ব অবস্থায় বিচি কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে এখন আমাদের জানতে হবে যে গর্ভাবস্থায় বিচি কলা খাওয়ার অপকারিতা। গর্ভাবস্থায় বিচি কলা খাওয়ার ব্যাপক উপকারিতা রয়েছে। কিন্তু গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত মাত্রায় বিচি কলা খাওয়ার ফলে উপকার হওয়ার থেকে অপকার হওয়ার ব্যাপক সম্ভাবনা হয়ে থাকে। যার জন্য গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে হবে। তাহলে চলুন গর্ভাবস্থায় বিচি কলা খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

গর্ভাবস্থায়-বিচি-কলা-খাওয়ার-উপকারিতা-ও-অপকারিতা

গর্ভাবস্থায় বিচি কলা খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ

গর্ভাবস্থায় অধিকাংশ মহিলারাই বিভিন্ন খাবার খেতে পারেন না। তবে একটি বিষয় খেয়াল রাখবেন যে যে খাবার খেয়ে আপনি সহ্য করতে পারবেন না সে খাবার আপনি কখনোই খাবেন না। এতে করে আপনার ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনার হার বৃদ্ধি পাবে। এবং গর্ভাবস্থায় আপনি যদি বিচি কলা খেতে না পারেন তাহলে আপনার বিচি কলা না খাওয়াই উত্তম।

গর্ভাবস্থায় মর্নিং সিকনেস হয়ে থাকে তাহলে আপনি বিচি কলা নাও খাইতে পারেন। যেমন মনে করুন মর্নিং সিকনেস হলে কলা খাওয়ার ফলে বমি বমি ভাব হতে পারে ক্ষেত্রে আপনার কলা খাওয়া উচিত হবে না। এছাড়াও কলাতে প্রচুর পড়ে মানে মিষ্টি থাকার ফলে কলা খেলে ব্লাড সুগার বাড়তেও পারে। সে ক্ষেত্রে আপনি কলা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

আরও পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় জাফরান খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

গর্ভাবস্থায় মহিলাদের যদি জেস্টেশনাল ডায়াবেটিকস হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে আপনার অতিরিক্ত মাত্রায় কলা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আপনার জেস্টেশনাল ডায়াবেটিকস এর হাত থেকে রক্ষা পাবেন। এবং গর্ভাবস্থায় মহিলাদের এলার্জি থেকে থাকে তাহলে গর্ভকালীন মহিলাদের কলা না খাওয়াই ভালো।

গর্ভাবস্থায় মহিলাদের যেকোনো খাবার খাওয়ার আগে তা নিয়মমাফিক খাবার খেতে হবে। যাতে করে গর্ভাবস্থায় শরীরের কোন প্রভাব না পরে। এতে করে আপনি গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন ১/২টি কলা খেতে পারেন। তবে অতিরিক্ত মাত্রায় কলা সেবন করবেন না।

গর্ভাবস্থায় বিচি কলা খাওয়ার নিয়ম

গর্ভাবস্থায় বিচি কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমরা জেনে এসেছি। এখন আমরা জানবো যে গর্ভাবস্থায় বিচি কলা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। গর্ভাবস্থায় অধিকাংশ মহিলাদের কিছু না কিছু সমস্যা সম্মুখীন হতে হয়। যেমন গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা, ঘন ঘন বমি বমি ভাব হাওয়া ইত্যাদি। তবে গর্ভাবস্থায় নিয়মিত বা নিয়মমাফিক বিচি কলা খাওয়ার ফলে এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। তাহলে চলেন গর্ভাবস্থায় বিচি কলা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেই। গর্ভাবস্থায় বিচি কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা।

গর্ভাবস্থায় বিচি কলা খাবার হলে শরীরের বেশ উপকারিতা রয়েছে।গর্ভাবস্থায় বিচি কলা খাওয়ার ফলে মা ও সন্তানের জন্য খুবই ভালো। গর্ভাবস্থায় বিচি কলা ১/২টি করে খেতে পারেন প্রতিদিন সকাল বা সন্ধ্যায় আপনি চাইলে খেতে পারেন। তবে আরেকটু ভালো হয় আপনি যদি নিকটস্থ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে পারেন। তাহলে বিচি কলা খাওয়ার ফলে গর্ভাবস্থায় শরীরের কোন প্রভাব পড়বেনা।

আরও পড়ুনঃ প্রতিদিন সকালে কিসমিস ও খেজুর খাওয়ার উপকারিতা

বিচি কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন। যার ফলে আপনি নিয়মিত নিয়ম অবলম্বন করার মাধ্যমে বিচি কলা খেতে পারলে শরীরের বেশ উপকারিতা রয়েছে। তবে গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত পরিমাণে বিচি কলা খাওয়া উচিত নয়। অতিরিক্ত পরিমাণে বিচি কলা খাওয়ার ফলে শরীরে বিভিন্ন রোগের প্রভাব করতে পারে এবং খাওয়ার প্রতি অরুচি হতে পারে।

অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে গর্ভাবস্থায় অধিকাংশ মহিলাদের খাবারের প্রতি রুচি কমে যায়। সেক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার ফলে খাবারের প্রতি রুচি ফিরে আসে। তবে এর আগে নিকটস্থ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করবেন। কারণ গর্ভাবস্থায় মা ও সন্তানের জন্য সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। যাতে করে মা ও সন্তানের কোন ক্ষতি সম্মুখীন হতে না হয়। আশা করছি এতক্ষণ বুঝতে পেরেছেন গর্ভাবস্থায় বিচি কলা খাওয়ার নিয়ম।

কলার কয়েকটি জাতের নাম সমূহ

কলার মত অনেক প্রকারভেদ রয়েছে। কলা আমাদের শরীরের জন্য অত্যান্ত পুষ্টিকর উপাদান। কলা খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার সহায়তা করে থাকে। আমরা অনেক রকমের কলা খেয়ে থাকি। কিন্তু কোন কলার কি নাম তার সম্পর্কে আমরা অবগত নাই। কলা বিভিন্ন জাতের রয়েছে। তাহলে চলুন কলা বিভিন্ন জাতের নাম সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই। গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা।

কলার কয়েকটি জাতের নাম সম্পর্কে নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ

  • বিচি কলা।
  • আটিয়া কলা। 
  • সবরি কলা। 
  • সাগর কলা। 
  • চাপা কলা। 
  • চিনি কলা। 
  • কবরী চন্দন কলা। 
  • দুধসর কলা।
  • কবরী কাটালি কলা ইত্যাদি।

আমাদের বাংলাদেশে অনেক ধরনের কলা রয়েছে। উপরোক্ত বর্ণনা অনুযায়ী আপনারা বুঝতে পারছেন। তবে একই কলা একেক জায়গায় ভিন্ন ভিন্ন নামে পরিচিত। আমাদের শরীর স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য কলা খাওয়ার কোন বিকল্প নেই। কলা খাওয়ার ফলে শরীরের ক্লান্তি ভাব দূর হয়ে যায়। কলা খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য বেশি উপকারী তবে একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে যে অতিরিক্ত পরিমাণে কলা খাওয়ার ফলে অপকারিতা বয়ে আনতে পারে। তাই নিয়মিত পরিমাণ মতো কলা খাওয়া উচিত।

সাগর কলা খাওয়ার উপকারিতা

সাগর কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে এখন আমরা জানবো। কলা খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য বেশি উপকারী একটি উপাদান। বর্তমান সময়ে সাগরকলা একটি জনপ্রিয় কলা হিসেবে পরিচিত পেয়েছে। কমবেশি আমরা সবাই সাগর কলা খেয়ে থাকে। তাহলে চলুন সাগর কলা খাবার ফলে কি কি উপকারিতা হয় তার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

গর্ভাবস্থায়-বিচি-কলা-খাওয়ার-উপকারিতা-ও-অপকারিতা

কলা খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি করা সহায়তা করে থাকে। তারমধ্যে সবচেয়ে অন্যতম কলাটি হচ্ছে সাগর কলা। তবে সাগরকলা অতিরিক্ত পরিমাণে খাবার ফলে ঠান্ডা ঠান্ডা ভাব লেগে যায়। তাই যাদের কলা খাওয়ার ফলে অল্পতেই ঠান্ডা লেগে যাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। তারা সাগর কলা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

আরও পড়ুনঃ প্রতিদিন সকালে খালি পেটে মধু ও কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা

সাগর কলার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন যার ফলে হৃদয় রোগের মত মারাত্মক রোগ নিরাময় করার জন্য ব্যাপক সহায়তা করে থাকে এই সাগর কলা। এবং আপনি যদি মনে করেন যে আপনার অনেক ক্ষুধা লাগছে তাহলে চট করে সাগরকলা কিনে খেতে পারেন। তাহলে দেখবেন আপনার খোদা নিরাময় করার সহায়তা করছে।

এবং যদি মনে করেন আপনার ডায়রিয়া জনিত সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে আপনি সাগর কলা খাওয়ার ফলে ডায়রিয়া জনিত সমস্যা থেকে সাহায্য কবে থাকবে। তাছাড়াও আপনার যদি অতিরিক্ত পরিমানে ওজন হয়ে থাকে তাহলে আপনি সাগর কলা খেতে পারেন। সাগর কলাতে যে সব উপাদানগুলো রয়েছে তা ওজন কমাতে ব্যাপক সহায়তা করে থাকে। এবং সাগর কলা খাওয়ার ফলে রক্তচাপ ও কিডনি সমস্যা হতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে।

সবরি কলা খাওয়ার উপকারীতা

এখন আমরা সবরি কলা খাওয়ার উপকারীতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেন নিব। উপরোক্ততে সাগর কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে এসেছি। এবং গর্ভাবস্থায় বিচি কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনেছি। চলুন এখন আর কথা না বাড়িয়ে সবরি কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

সবরি কলা খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরের হজমি শক্তির জন্য ব্যাপক হারে সহায়তা করে থাকে। আপনার যদি হজমিশক্তি কম হয়ে থাকে তাহলে সবরি কলা খেতে পারেন। এতে করে আপনার আজমিশক্তির উন্নতি ঘটবে। এছাড়াও সবরি কলা খাওয়ার ফলে শরীরের রক্তচাপ কমানোর সাহায্য করে থাকে। এবং আমাদের শরীর বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার সহয়তা করে।

অতঃপর আমাদের কিডনি সুস্থ রাখার জন্য সবরি কলার ব্যাপক কার্যকারিতা রয়েছে। জন্যই আমাদের শরীর স্বাস্থ্য সুস্থ রাখার জন্য এবং বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য কলা খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। এজন্যই প্রতিদিন নিয়মিত করে কলা খাওয়া উচিত। সবরি কালা হাটে বাজারে গেলে পাওয়া যাবে। আপনি চাইলে সেখান থেকে ক্রয় করে নিয়ে খেতে পারেন।

চাপা কলা খাওয়ার উপকারিতা

ইতিমধ্যে আমরা বিভিন্ন কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে এসেছে। আমরা জানবো চাপা কলা খাওয়ার ফলে কি কি উপকারিতা রয়েছে। চাপা কলার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে নিম্ন হইতে করতে থাকুন। তাহলে চলুন চাপা কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। গর্ভাবস্থায় বিচি কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা।

আপনি যদি উপরোক্ত কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে থাকেন তাহলে চাপা কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে তেমন কিছু জানার প্রয়োজন মনে করছে না। কারণ উপরোক্ত কলাগুলোতে যেসব উপকারিতা রয়েছে চাপা কলার মধ্যেও প্রায় এখন উপকারিতা রয়েছে। তাও বিস্তারিত আপনাদের সাথে শেয়ার করি। কলাতে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ এবং অনেক সুস্বাদু একটি উপাদান।

অধিকাংশ মানুষের হার্টের সমস্যা রয়েছে আর এই হাড়ের সমস্যা দূর করার জন্য নিয়মিত কলা খেতে পারেন। তাহলে দেখবেন আপনার হার্টের সমস্যা দূর করার জন্য ব্যাপক ভূমিকা পালন করবে। এবং আপনার যদি ডায়াবেটিসের সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে কলা খেতে পারেন। কলা খাওয়ার ফলে আপনার ডায়াবেটিক সমস্যা নিয়ন্ত্রণ রাখার সাহায্য করবে। এবং কিডনি বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে দূর করার ব্যাপক অবদান রয়েছে।

যদি মনে করেন আপনার ভিটামিনের অভাব পড়েছে তাহলে আপনি নিয়মিত কলা খেতে পারেন। নিয়মিত কলা খাওয়ার ফলে ভিটামিনের অভাব দূর করার জন্য সহায়তা করবে। এছাড়াও আলসারের সমস্যা হয়ে থাকলে কলা খাওয়ার ফলে আলসারের সমস্যা দূর করার জন্য ব্যাপক ভাবিকা পালন করবে। আমি আশা করছি যে এতক্ষণ আপনার বুঝতে পেরেছেন যে কলা খাওয়ার কি কেউ উপকারিতা রয়েছে।

শেষ কথাঃ গর্ভাবস্থায় বিচি কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

গর্ভাবস্থায় বিচি কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা। সাধারণত আমরা বিভিন্ন রকমের কলা খেয়ে থাকি। কিন্তু কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের তেমন কোন ধারণা নেই। তাই কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের জানা অত্যন্ত জরুরী। কলা খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরের পুষ্টির অভাব দূর করার ব্যাপক সহায়তা করে থাকে। এবং কলা খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে কেননা অতিরক্ত পরিমাণে কলা খাওয়ার ফলে উপকারী পরিবর্তে অপকারী হয়ে যাবে। তাই আমাদের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কেও বিস্তারিত জেনে নেওয়া ভালো।

প্রিয় পাঠকগণ, আমি আশা করছি যে আমাদের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা জানতে পেরেছেন যে গর্ভাবস্থায় বিচি কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা। তাছাড়াও কলার বিভিন্ন প্রকারভেদ এবং কোন কলার কি উপকারিতা রয়েছে। এবং আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকলে কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত বুঝতে পারছেন। আর এরকম নতুন নতুন আপডেট পেতে হলে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করবেন। আপনার কমেন্ট পরবর্তীতে আর্টিকেল লেখার জন্য আমাদের অনুপ্রাণিত করবেন। এতক্ষণ আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ........!!!! 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url