মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম। বর্তমান প্রজন্মে সময়ের সাথে সাথে প্রতিনিয়তই আমাদের হাতে থাকা মোবাইল ফোনের উন্নতি হচ্ছে। আমাদের জীবনে প্রায় সকল কাজে এখন মোবাইল ফোনের উপর নির্ভর করছে। যার ফলে দিনের প্রায় অর্ধেক সময়টাই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ব্যয় করা হচ্ছে।

মোবাইল-দিয়ে-ফ্রিল্যান্সিং-করে-টাকা-ইনকাম

এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কিভাবে অনলাইনে মাধ্যমে ইনকাম করা যায় অনেকেই জানতে চান। তাহলে দেরি না করে চলেন মোবাইল দিয়ে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা যায় সে বিষয় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

পেইজ সূচিপত্রঃ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ফ্রিল্যান্সিং করে আয়

ফ্রিল্যান্সিং কী

ফ্রিল্যান্সিং কি বলতে বোঝায় মুক্ত পেশা বা স্বাধীনভাবে অনলাইনে মাধ্যমে কাজ করে অর্থ উপার্জন করাকে ফ্রিল্যান্সিং বলে। ফ্রিল্যান্সিং বলতে অনলাইন থেকে ইনকাম করার একটি মাধ্যম। যা আপনি স্মার্ট ফোন, ল্যাপটপ বা কম্পিউটার এর মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগ দিয়ে ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং করা অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম। ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে অনেক মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করা যায়।

যেমন মনে করুন কনটেন্ট রাইটিং, ওয়েব ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং, এফিলেট মার্কেটিং, up work, ফাইবার, ইত্যাদি। অনেক ধরনের মাধ্যম রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে আপনি ঘরে বসেই অনায়েসে প্রতিমাসে মোটা অংকের টাকা উপার্জন করতে সক্ষম হবেন। নিজের মেধা এবং দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার মাঝে উপার্জন করুন।

আরও পড়ুনঃ ফ্রি কুইজ খেলে টাকা ইনকাম বিকাশ পেমেন্ট

যেমন মনে করুন আপনি একজন চাকরিজীবী বা ব্যবসায়ী আপনাকে সময়মতো অফিস করতে হবে এবং ব্যবসায়ী হলে সময় মত দোকানে বসতে হবে। কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং এর কোন ধরা বাধা নেই কেননা আপনার স্বাধীনতা অনুযায়ী আপনি ফ্রিল্যান্সিং করবেন। এবং এখান থেকে একটিভ ও প্যাসিভ দুই ধরনের ইনকাম করতে পারবেন। আপনার দক্ষতা ও মেধাকে কাজে লাগিয়ে অবসর সময়ে বসে না থেকে ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে উপার্জন করা।

যেভাবে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে উপার্জন করবেন

যেভাবে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে অর্থ উপার্জন করবেন। আপনি আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। কিন্তু প্রায় অধিকাংশ মানুষেরাই বিশ্বাস করতে পারে না যে হাতে থাকা মোবাইল ফোন দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা যায়। আপনি আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনের মাধ্যমে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করবেন সে বিষয়ে সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো। মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম।

মোবাইল-দিয়ে-ফ্রিল্যান্সিং-করে-টাকা-ইনকাম

মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। কিন্তু আপনি যদি প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সার হতে চান তাহলে আপনার ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের প্রয়োজন হবে। কেননা ল্যাপটপ বা কম্পিউটার দিয়ে কাজ করাটা খুব সহজ হয়ে থাকে। তবে মোবাইলে ক্ষেত্রে কিছুটা সময় বেশি লাগে। মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে যে যে মাধ্যমগুলো দিয়ে ইনকাম করা যায় নিম্নে সে বিষয় দেখে নিন।

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে যে উপায়গুলো রয়েছে নিচে তা বর্ণনা করা হলোঃ

  • ব্লগিং
  • কনটেন্ট রাইটিং 
  • ইউটিউব 
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন 
  • ওয়েব ডিজাইন 
  • প্রোডাক্টিভিটি অ্যাপস
  • ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট 
  • সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার 
  • এফিলিয়েট মার্কেটিং 
  • সিপিএ মার্কেটিং 
  • ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং
  • কাস্টমার সাপোর্ট 
  • ট্রান্সলেট করে 
  • অনলাইনে ছবি বিক্রি করে 
  • ফেসবুক মার্কেটিং 
  • ফোরাম পোস্টিং 

উপরোক্ত মাধ্যমগুলির মাধ্যমে আপনি হাতে থাকায় স্মার্টফোন দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। আপনি আপনার অবসর সময়ে বসে না থেকে মেধা এবং দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে ঘরে বসে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করুন। আপনি উপরোক্ত মাধ্যমগুলোর মধ্য কোন বিষয়ে পারদর্শিতা থাকলে সে বিষয় নিয়ে কাজ করা শুরু করে দেন।

কিভাবে ব্লগিং করে আয় করবেন

কিভাবে ব্লগিং করে আয় করবেন আজকে আমরা এ বিষয়ে সম্পর্কে আপনাদের সাথে শেয়ার করব। মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম। আপনি অবসর সময় বসে থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ব্লগিং করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। তাহলে চলুন কিভাবে ব্লগিং করে আয় করা সম্ভব সে বিষয় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। 

কিভাবে ব্লগিং শুরু করবেন বুঝতে পারছেন না। চিন্তার কোন কারণ নেই আমি আপনাদেরকে বুঝিয়ে বলছি। বর্তমান সময়ে ব্লগিং করার মাধ্যমে ইনকাম করার জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। কেননা বর্তমান সময়ে ওয়েবসাইট ব্লগিংয়ের উপর জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। যারা এক বা একাধিক ব্লগিং ওয়েবসাইট রয়েছে তারাই মূলত কনটেন্ট গুলো অন্যদের কাছে থেকে লেখে নেই। যদি আপনি এই বিষয়ে একটি পারদর্শিতা হয়ে থাকেন তাহলে আপনিও 

আরও পড়ুনঃ  ব্লগিং করে কি ভাবে প্রতিমাসে ২০-৩০ হাজার টাকা ইনকাম করবেন

আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোন দিয়ে ব্লগিং করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাও আবার ঘরে বসে থেকেই করা সম্ভব। প্রতি মাসে আপনি ব্লগিং করার মাধ্যমে ভালো পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হবেন। তাই আপনিও বসে না থেকে ব্লগিং করার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা শুরু করেন। 

ইউটিউব থেকে যেভাবে আয় করবেন

ইউটিউব থেকে যেভাবে আয় করবেন তা নিয়ে আমাদের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পারবেন। মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম। আপনি কিভাবে ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করবেন তা বুঝতে পারছেন না? কোন ব্যাপার না আমি আপনাকে বুঝিয়ে বলছি। তাহলে চলুন নিম্নে ইউটিউব থেকে কিভাবে আয় করা যায় তা জেনে নেওয়া যাক।

মোবাইল ফোন দিয়ে ভিডিও এডিটিং করার সবচেয়ে ভালো সফটওয়্যার গুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলোঃ

  • Kine Master
  • Power Director

আপনি আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোন দিয়ে ইউটিউবিং করে মাসের লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করতে সক্ষম হবেন। ইউটিউবিং করে মাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করার জন্য প্রথমে আপনাকে যা করতে হবে তাহলে। ইউটিউবে গিয়ে আপনি একটি চ্যানেল ক্রিয়েট করে নিবেন। ক্রিয়েট করা হয়ে গেলে আপনি আপনি যে বিষয়ে পারদর্শী তারপর একটি ভিডিও তৈরি করে নিবেন এবং আপনার ইউটিউব চ্যানেলে পাবলিশ করবেন।

যদি মনে করেন আপনি ঘুরতে খুবই ভালোবাসেন সে ক্ষেত্রে আপনি বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানের সৌন্দর্যময় জায়গা ভিডিও ধারণ করে। আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলে পাবলিশ করতে পারেন। এতে করে আপনার ফলোয়াররা সেই ভিডিওটি দেখতে এবং আপনি সেখান থেকে ডলার ইনকাম করতে সক্ষম হবেন। এভাবে আপনি ইউটিউবিং করে মোটামুটি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

গ্রাফিক ডিজাইন করে উপার্জনের সহজ মাধ্যম

গ্রাফিক ডিজাইন করে উপার্জনের সহজ মাধ্যম গুলি নিয়ে আজকে আমি আপনাদেরকে জানাবো। যে কিভাবে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে গ্রাফিক ডিজাইন করে ইনকাম করতে পারবেন। মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম। আপনারা জানলে কিছুটা অবাক হবেন যে মোবাইল দিয়ে গ্রাফিক ডিজাইন করে ইনকাম করা সম্ভব।

মোবাইল-দিয়ে-ফ্রিল্যান্সিং-করে-টাকা-ইনকাম

আপনি যদি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে গ্রাফিক ডিজাইন করে ইনকাম করতে পারবেন। কিন্তু প্রফেশনাল গ্রাফিক ডিজাইনার হতে হলে আপনার অবশ্যই ল্যাপটপ বা কম্পিউটার থাকতে হবে। কেননা গ্রাফিক ডিজাইন অত্যন্ত জনপ্রিয়। তবে আপনি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে গ্রাফিক ডিজাইন নিয়ে কাজ করতে পারবেন যেমন। লোগো ডিজাইন,ব্যানার ডিজাইন, ভেক্টর ডিজাইন, পিএনজি ডিজাইন ইত্যাদি। 

আরও পড়ুনঃ  বাংলাদেশী অ্যাপ প্রতিদিন 1000 টাকা আয় পেমেন্ট বিকাশ

এ ধরনের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে গ্রাফিক্স ডিজাইন করে ইনকাম করতে পারবেন। তবে আপনি যদি খুবই ভালো পরিমানে গ্রাফিক ডিজাইন করার মাধ্যমে ইনকাম করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার ল্যাপটপ ও কম্পিউটার প্রয়োজন। তবে মোবাইল ফোনে গ্রাফিক ডিজাইন করার জন্য নিম্নে ওয়েব সাইট বা অ্যাপস ব্যবহার করতে হবে।যেমনঃ

  • Canva Pro
  • Pixlab
  • PicsArt
  • Camtasia
  • Adobe Photoshop Touch ইত্যাদি। 

উপরোক্ত ওয়েবসাইট বা অ্যাপস এর বাইরে ও বিভিন্ন ধরনের রয়েছে। সেগুলোর মাধ্যমে আপনি মোবাইল ফোন ব্যবহার করে গ্রাফিক ডিজাইন করে ইনকাম করতে পারবেন।

কিভাবে ওয়েব ডিজাইন করে আয় করবেন

কিভাবে ওয়েব ডিজাইন করে আয় করবেন তা নিয়ে আমি বিস্তারিত আপনাদেরকে জানাবো। মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ওয়েব ডিজাইন করে ইনকাম করাও সম্ভব। তাহলে চলুন দেরি না করে কিভাবে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ওয়েব ডিজাইন করে ইনকাম করা যায় সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

আপনার হাতে থাকা স্মার্ট ফোন দিয়ে ওয়েব ডিজাইন করে খুব সহজেই উপার্জন করতে সক্ষম হবেন। আপনি আপনার হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে ওয়েব ডিজাইন করতে পারবেন। আর যদি মনে করেন যে প্রফেশনাল ভাবে ওয়েব ডিজাইন করবেন তাহলে আপনার অবশ্যই ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের প্রয়োজন পড়বে। 

আরও পড়ুনঃ ইতালিতে কৃষি ভিসা বেতন ও কাজের মান কেমন

কেননা ওয়েব ডিজাইন একটু কঠিন। তাই ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের প্রয়োজন পড়বে। আপনি মোবাইল দিয়ে ওয়েব ডিজাইন করার বেসিক কিছু বিষয়গুলো প্রয়োজন পড়বে তা নিম্নে দেওয়া হলোঃ

  • Programming Hero
  • Free Code Camp
  • Solo Learn
  • W3 Schools

উপরোক্ত অ্যাপস মোবাইল দিয়ে ওয়েব ডিজাইন করার জন্য অ্যাপস গুলো গুগল প্লে স্টোর থেকে ইন্সটল করে নিবেন।

সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হয়ে উপার্জন

সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হয়ে যেভাবে আপনি উপার্জন করবেন। ধরুন আপনি একটি মোবাইল ফোন কিনবেন বা কিনতে চান। আপনিতো চিন্তাভাবনা করেই মোবাইল ফোনটি কিনবেন তাই না। যে কোন কোম্পানির মোবাইল ফোন ভালো। মোবাইল ফোনের মান কেমন। তার মূল্য কত। মোবাইল ফোনের ব্যাটারি হেলথ কেমন এবং রেম ও রম কত। সবকিছু যাচাই-বাছাই করেই তো আপনি মোবাইল ফোনটা কিনবেন।

কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে কি আপনিতো জানেন না যে কোন মোবাইল ফোনটি ভালো এক কথায় বলতে গেলে মোবাইল সম্পর্কে আপনার কোন আইডিয়াই নেই। সে ক্ষেত্রে আপনি কি করতে পারেন যে মোবাইল ফোনটি আপনার পছন্দ হয়েছে সেটার ফেসবুক পেজে মেসেজ দিয়ে সেই মোবাইল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। কিন্তু এখানে একটি মজার বিষয়টি হচ্ছে সেই কোম্পানির ফেসবুক পেজ থেকে

যে মেসেজটি আপনাকে প্রদান করেছে সেটি কে দিচ্ছে। এটিও তো একজন মানুষ হাতে টাইপ করে আপনার প্রশ্নের জবাব দিচ্ছে। এবং তাকে সেই কোম্পানির মালিক বেতন দিয়ে রাখছে। তার কাজই শুধু আপনার মত যারা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিয়ে মোবাইল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাই। তাদের প্রশ্নের জবাব দেওয়াটাই তার মুলকাজ। এখন ভাবুন আপনি চাইলে সেই কাজটা হাতে থাকা মোবাইল ফোন দিয়ে আপনিও করতে পারবেন। অতঃপর আপনি এইভাবে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারিং করে ইনকাম করতে পারবেন।

আরও পড়ুনঃ ইউটিউব মনিটাইজেশন পলিসি ২০২৪

মোবাইল ফোন ব্যবহার করে আসলে কী ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করা যায়? আপনাদের মনের মধ্যে লুকিয়ে থাকা কিছু প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্নঃ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আসলেই কি ফ্রিল্যান্সিং করে উপার্জন করা সম্ভব?

উত্তরঃ জ্বি হ্যাঁ, অবশ্যই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করা সম্ভব। মোবাইল ফোন ব্যবহার করার মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। যেমনঃ- ইউটিউব, ফেসবুক মার্কেটিং, কনটেন্ট রাইটিং, ব্লগিং, গ্রাফিক ডিজাইন ইত্যাদি।

প্রশ্নঃ বর্তমান সময়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর কোনটি?

উত্তরঃ বর্তমান সময়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মটি হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। কেননা অনলাইনে প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রভাব রয়েছে। আপনি যেকোনো কিছু করার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রয়োজন পড়ে থাকে। তাই ফ্রিল্যান্সিংয়ের অন্যতম প্লাটফর্মটি ডিজিটাল মার্কেটিং। 

প্রশ্নঃ ফ্রিল্যান্সিং শিখতে কত টাকা লাগে?

উত্তরঃ দেশ থেকেই ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ নিয়ে এর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে পারবেন এবং এখান থেকে বিদেশী মুদ্রা আয় করতে পারবেন। সরকারের নতুন এই প্রকল্পে শুরু হয়েছে। সেখান থেকে চাইলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন। এবং আপনি যদি চান যেকোনো আইটি প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখবেন সেক্ষেত্রে আইটি প্রতিষ্ঠানের চার্জ প্রযোজ্য।

প্রশ্নঃ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কি আসলেই ডিজিটাল মার্কেটিং শিখা যায়?

উত্তরঃ হ্যাঁ, অবশ্যই আপনি চাইলে মোবাইল ফোনের মাধ্যমেও ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারবেন। যেমনঃ- কনটেন্ট রাইটিং, ফেসবুক মার্কেটিং, instagram মার্কেটিং, এফিলিয়েট মার্কেটিং ইত্যাদি।

প্রশ্নঃ কত দিনের মধ্যে ফ্রিল্যান্সিং শেখা যায়?

উত্তরঃ আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর টি ভালোভাবে বুঝতে পারেন তাহলে তিন থেকে চার মাসের মধ্যে প্রোগ্রামিং বা ডিবাগিং স্কিল রয়েছে সফটওয়্যার জ্ঞান রয়েছে। মাধ্যমে আপনি ৪ থেকে ৫ ঘন্টা প্র্যাকটিস করলেই হয়ে যাবে।

প্রশ্নঃ ফ্রিল্যান্সিং করতে কি কি দক্ষতা প্রয়োজন হবে?

উত্তরঃ ফ্রিল্যান্সিং করতে আপনার বুদ্ধিমত্তা, দক্ষতা বা অভিজ্ঞতার প্রয়োজন। এবং অনলাইনে মাধ্যমে পচার প্রচারণা করে মার্কেটিং করতে হবে। তার ওপর ডিফেন্ড করে আপনাকে কাজ দিয়ে থাকবে।

প্রশ্নঃ ফ্রিল্যান্সিং করে কি বালকের গঠন করা যায়?

উত্তরঃ হ্যাঁ অবশ্যই আপনি চাইলে ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে ভালো ক্যারিয়ার গঠন করতে পারবেন।

প্রশ্নঃ নতুনদের জন্য কোন ডিজিটাল মার্কেটিংটি ভালো হবে?

উত্তরঃ নতুনদের জন্য ওয়েবসাইট ব্লগিং, ফেসবুক মার্কেটিং, এফিলেট মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং, ইউটিউব ইত্যাদি।

শেষ মন্তব্যঃ কিভাবে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করা যায়

আপনারা ইতিপূর্বে জেনেছেন যে কিভাবে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা যায়। মোবাইল ফোন দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার অনেক মাধ্যম রয়েছে। সে মাধ্যমগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। আপনি চাইলে ঘরে বসে থেকে মোবাইল ফোন দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে প্রতিমাসে মোটা অংকের টাকা ইনকাম করতে পারবেন। মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম।

প্রিয় পাঠকগণ, আজকে আমাদের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন যে কিভাবে হাতে থাকা স্মার্ট ফোন দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে অর্থ উপার্জন করা যায়। আজকে আমাদের আর্টিকেলটি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করতে ভুলবেন না। কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে আমাদেরকে আরো নিত্য নতুন আর্টিকেল লেখার উৎসাহিত করবেন। এতক্ষণ ধৈর্য সহকারে আমাদের আর্টিকেলটি পরে আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ......!!!!

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url