নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আজকে আমি আপনাদের জানাতে চলেছি। নিম পাতার উপকারিতা সম্পর্কে অনেকে জানেন এবং অনেকেই জানেন না। নিম পাতার রস খাওয়ার ফলে শরীরের নানান রকম উপকার রয়েছে। নিমপাতা তে রয়েছে ঔষধি গুণাবলী।
যার ফলে নিমপাতা খাওয়া শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তাহলে দেরি না করে চলুন নিম পাতা খাওয়ার ফলে শরীরের কি কি উপকার হয়ে থাকে তার সম্পর্কে জেনে নেই। নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা।
পেইজ সূচিপত্রঃ নিম পাতার রস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
- নিম পাতার রস খাওয়ার নিয়ম
- নিম পাতার রস খেলে কি হয়
- প্রতিদিন কতটুকু নিমপাতা রস খাওয়া উচিত
- নিম পাতার রস খাওয়ার উপকারিতা
- নিম পাতার রস খাওয়ার অপকারিতা
- শেষ মন্তব্যঃ নিম পাতার রসের উপকারিতা ও অপকারিতা
নিম পাতার রস খাওয়ার নিয়ম
নিমপাতা খাওয়ার ফলে শরীরের কি কি উপকারিতা রয়েছে এবং অপকারিতা রয়েছে জানা যেমন জরুরী তেমনি নিম পাতার রস খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কেও জানা জরুরি। কেননা নিমপাতার রস অতিরিক্ত পরিমাণে সেবনের ফলে শরীরের নানান রকমের রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই নিম পাতার রস খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে হবে। তাহলে চলেন নিম পাতার রস খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা।
আরও পড়ুনঃ সকালে খালি পেটে তুলসি পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
আয়ুর্বেদের ভাষামতে যারা প্রতিদিন সকালে খালি পেটে নিম পাতার রস ভালোভাবে মিশ্রণ করে খাবার ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। এবং শরীরের নানান রকম অসুস্থতা হাত থেকে রক্ষা পার সাহায্য করে থাকে। নিম পাতা ১০ থেকে ১২ টি নিয়ে ভালোভাবে মিশ্রিত করে রস তৈরি করে খাবেন। এতে করে ডায়াবেটিক্স রোগীদের ডায়াবেটিস কমানোর সহায়তা করবে।
শুধু নিম পাতায় নয় আপনি চাইলে নিম গাছে বাকোল তোলে রস করে খেতে পারেন। নিম পাতা এবং নিম গাছের বাকল অনেক তিতা হয়ে থাকে যার কারণে রস করে খাওয়ার ফলে শরীরে সমস্ত রোগ থেকে মুক্তি লাভ পাওয়া যায়। আপনি চাইলে নিমপাতা এবং নিম গাছের বাকল রস করে খেতে পারে।
নিম পাতার রস খেলে কি হয়
প্রতিদিন নিম পাতার রস খেলে মানুষের হজমি শক্তি বাড়ানোর সহায়তা করে থাকে। এবং শরীরের অন্যান্য রোগ প্রতিরোধ কমানোর সাহায্য করে। যার জন্য প্রতিদিন সকালে খালি পেটে নিম পাতার রস সেবন করা উচিত। নিমপাতা অনেক তিতা হওয়ার কারণে নিম পাতার রস খেতে চাই না। আর নিমপাতা অনেক তিতা হওয়ার কারণেই মানবদেহের নানান রকমের রোগা থেকে সাহায্য করে থাকে। তাহলে চলুন প্রতিদিন নিম পাতার রস খেলে কি হয় বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা।
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে নিমপাতার রস খেলে শরীরের হাজমি শক্তি বাড়ানো সাদা করে থাকে এবং শরীরের ক্লান্তি দূর করার সাহায্য করে থাকে। এছাড়াও যাদের কাশি হয়ে থাকে নিমপাতা রস খাওয়ার ফলে কাশি থেকে নিরাময় পাওয়া যায়। এবং যাদের কৃমির সমস্যা আছে নিম পাতার রস খাওয়ার ফলে কৃমির দূর করার সহায়তা করে।
নিমপাতা ছাড়াও নিম গাছের বাকোল তুলে ভালোভাবে বেটে নিয়ে রস তৈরি করে খেতে পারেন। নিমপাতা এবং নিম গাছের বাকলের রস উভয়ই শরীরের জন্য অত্যান্ত কার্যকারিতা রয়েছে। নিমপাতা এবং নিম গাছের বাকল ঔষধি গুণাবলি ও বটে। শুধু নিম পাতার রস যেতে না পারলে তার সাথে একটু মিষ্টি জাতীয় যেমন মধু দিয়ে খেতে পারেন। এতে করে বোঝা যায় যে নিমপাতা এবং নিম গাছের বাকলের রস খাওয়ার কোন বিকল্প নেই।
প্রতিদিন কতটুকু নিম পাতার রস খাওয়া উচিত
প্রতিদিন কতটুক নিম পাতার রস খাওয়া উচিত তা বিস্তারিত জানাবো। কেননা উপরোক্ত থেকে জেনে আসলাম নিম পাতার রস খাওয়ার নিয়ম এবং নিম পাতার রস খেলে কি হয়। এজন্যই জানতে হবে যে প্রতিদিন কতটুকু নিমপাতা রস খাওয়া উচিত। তাহলে দেরি না করে চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা।
প্রতিদিন সকালে উঠে খালি পেটে ৩ থেকে ৪ টি নিম পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন এবং রস করে খেতে পারেন। নিমপাতা রস প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য বেশিরভাগ নিরাপদ। কেননা অপ্রাপ্তদের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পরিমাণে সেবন করতে হবে। অতিরিক্ত পরিমাণে নিম পাতার রস সেবন করার ফলে কিডনি ও লিভারের ক্ষতি হতে পারে। তাই সাবধানতা অবলম্বন করে নিম পাতার রস সেবন করবেন।
আরও পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় জাফরান খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
নিম পাতার রস বা নিম গাছের বাকল অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়ার ফলে উপকারীর পরিবর্তে অপকারী হওয়ার সম্ভাবনার হয়েছে। তবে নিম পাতা রস বা নিম গাছের বাকল রস করে খাওয়ার আগে নিকটস্থ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায় সেবন করা উচিত। এতে করে ক্ষতি হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
নিম পাতার রস খাওয়ার উপকারিতা
নিম পাতার রস খাওয়ার উপকারিতা। নিম পাতার রসে রয়েছে ঔষধি গুণাবলী। যার ফলে শরীরের নানাবিধ রোগ প্রতিরোধ কমানোর সহায়তা করে থাকে। নিম পাতার রস অনেক তিতা যার কারণে অধিকাংশ মানুষেরাই খেতে পারে না। আর নিম পাতার অধিক তিতা হওয়ার কারণেই নিমপাতার রসে এত গুণাবলী। তাহলে চলুন নিম পাতার রস খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক। নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
নিম পাতার রস খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ
চুলকানি বা খোস পাচড়াঃ নিমপাতা গরম পানির মধ্যে দিয়ে সিদ্ধ করে গোসল করার মাধ্যমে চুলকানি বা খোস পাচড়া দূর করার সহায়তা করে থাকি। এবং আপনি চাইলে নিম পাতা ভালোভাবে বেটে চুলকানি স্থানে ১/২সপ্তাহ ব্যবহার করলে সেটা ভালো হয়ে যায়। এবং আপনি চাইলে নিমপাতা রস করে খেতে পারেন।
কৃমিনাশকঃ কৃমিনাশক রোগের ক্ষেত্রে নিম পাতার রস অত্যান্ত কার্যকারিতা রয়েছে। আপনি এ রোগে আক্রান্ত থাকলে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ৫০ থেকে ৬০ মিলিগ্রাম নিম পাতার রস খাবেন। তবে এই রোগে শিশুরা বেশি মাত্রায় আক্রান্ত হয়ে থাকে। তাই শিশুদের ক্ষেত্রে ১/২ গ্রাম নিম পাতার রস খাবেন। এভাবে ১/২ দুই সপ্তাহ খাওয়াতে থাকবেন।
আরও পড়ুনঃ প্রতিদিন সকালে কিসমিস ও খেজুর খাওয়ার উপকারিতা
ত্বক সৌন্দর্যঃ ত্বক সৌন্দর্য করার জন্য নিমপাতা অত্যন্ত ভূমিকা রাখে। নিমপাতা ভালোভাবে থেঁতে করে ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বকের ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকনাশক দূর হয়ে যাবে।
দাঁতের রোগঃ প্রাচীনকাল থেকেই নিম গাছের ডাল দিয়ে মেসওয়াক করার প্রচলন রয়েছে। দাঁতের অতিরিক্ত ব্যথা, দাঁতের পচন, দাঁতের রক্তপাত এসবের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নিম গাছের ডাল দিয়ে মেসওয়াক করবেন। তাহলে দাঁতের রোগ থেকে মুক্তি লাভ করবেন।
ডায়াবেটিকসঃ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নিম পাতার রস খাওয়া অত্যান্ত জরুরি। কেননা নিম পাতার রস খাওয়ার ফলে রক্তের সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণ ঢাকা সহায়তা করে থাকে। প্রতিদিন সকালে ১০ থেকে ১২টি কচি নিমপাতা এবং ৫টি গোলমরিচ একত্রে মিশ্রণ করে সেবন করবেন। এতে করে ডায়াবেটিক কমানোর হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
অতিরিক্ত চুল পড়াঃ অতিরিক্ত চুল পড়ার ক্ষেত্রে নিমপাতা ভালোভাবে বেটে নিয়ে চুলে ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। এরপর আধাঘন্টা থেকে এক ঘন্টা পর্যন্ত এখন। এরপর ভালোভাবে শ্যাম্পু দিয়ে পুরো মাথা ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। এইভাবে প্রতি সপ্তাহে একবার নিম পাতা চলে ব্যবহার করুন। চুল পড়া কমে যাবে এবং চুল নরম ও কোমল হয়ে যাবে।
আরও পড়ুনঃ খালি পেটে কাঁচা ছোলা ও কিসমিস খাওয়ার নিয়ম
উকুন নিরাশঃ নিম পাতা ব্যবহার করলে উকুন নিরাশ হতে সহায়তা করে থাকে। কচি কচি নিমপাতা ভালোভাবে বেটে নিয়ে সমস্ত মাথায় লাগিয়ে দিন। এরপর ঘন্টাখানিক রাখুন। এরপর পুরো মাথা সাবান বা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। পরিষ্কার চিরুনি দিয়ে মাথা আঁচড়ান। এইভাবে সপ্তাহ দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করুন।
খুশকি নিরাশঃ খুশকি নিরাময় করার জন্য নিমপাতা থেঁতে করে পুরোপুরি মাথায় লাগিয়ে দিন। তাছাড়াও নির্দিষ্ট পরিমাণে পানির মধ্যে নিমপাতা দিয়ে গরম করে নিন। গরম করা হয়ে গেলে গরম করা নিম পাতার পানি দিয়ে সমস্ত মাথা ধুয়ে ফেলুন।খুশকি দূর হওয়া না পর্যন্ত প্রতি সপ্তাহে তিন থেকে চার বার ব্যবহার করুন।
ওজন কমাতেঃ ওজন কমানোর জন্য বিশেষ করে তলপেট এর চর্বি কমানোর জন্য প্রতিদিন সকালে খালি পেটে নিম পাতার রস সেবন করুন। এইভাবে আপনি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে নিম পাতার রস ৩/৪ সেবন করুন দেখবেন আপনার ওজন কমে যাচ্ছে।
রক্ত পরিষ্কার করার সাহায্যঃ রক্ত পরিষ্কার করার জন্য নিম পাতার রস প্রতিদিন সকালে খালি পেটে সেবন করন। নিমপাতা রক্ত পরিষ্কার করার পাশাপাশি রক্তের শর্করার মাত্রা কমানোর সাহায্য করে থাকে। এবং রক্ত দ্রুত চলাচল করার সাহায্য করে এবং হৃদপিন্ডের অতি স্বাভাবিক রাখার সহায়তা করে থাকে।
ঠান্ডা জনিত বুকের ব্যথাঃ অনেক সময় ঠান্ডা লাগার কারণে বুকে কফ জমে যাই সে ক্ষেত্রে নিম পাতার রস এবং উসকো গরম পানিতে মিশে দিনে ২/৩ বার সেবন করলে ঠান্ডা জনিত বুকের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এবং নিম পাতার রস গর্ভবতী মহিলাদের জন্য নিষিদ্ধ।
আরও পড়ুনঃ প্রতিদিন সকালে খালি পেটে মধু ও কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
পোকা-মাকড়ের কামড়ঃ অনেক সময় দেখা যায় যে পোকামাকড়ে কামড় দিয়েছে বা হুল ফুটিয়েছে সে ক্ষেত্রে ক্ষতস্থানে নিম পাতার রস ব্যবহার করলে ব্যথা কমানোর সাহায্য করে থাকে।
জন্ডিসঃ জন্ডিজে আক্রান্ত হইলে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে নিমপাতার রস এবং মধু একসাথে মিশিয়ে ২৫/৩০ ফোটা সেবন করুন। জন্ডিস নিরাময় করার জন্য ২/৩ সপ্তাহ সেবন করুন।
ভাইরাস জাতীয় রোগঃ ভাইরাস জাতীয় রোগ নিরাময় করার জন্য নিমপাতা গুরুত্ব অপরীসিম। ভাইরাস জাতীয় রোগ যেমন চিকেন পক্স, চর্মরোগ, হাম ইত্যাদি রোগ দেখা দিলে নিমপাতা বেটে নিয়ে লাগালে নিরাময় হয়ে যায়। এছাড়াও নিমপাতা পানিতে দিয়ে সিদ্ধ করে গোসল করার মাধ্যমে শরীরের চুলকানি ও ত্বকের জ্বালাপোড়া নিরাময় করার সাহায্য করে থাকে।
বাত ব্যাথাঃ বাতের ব্যথা দূর করার জন্য নিমের বীজ ও নিম গাছে বাকোলের তেল ব্যাথা স্থানে ম্যাসাজ করলে বাত ব্যাথা দূর করতে সহায়তা করে থাকে।
চোখ চুলকানিঃ চোখের চুলকানি নিরাময় করার জন্য নিম পাতা পানিতে দিয়ে সিদ্ধ করে নিয়ে পানিতে ঠান্ডা করে নিন। এরপর পানিতে ঠান্ডা হয়ে গেলে পানি চোখে ঝাপটা দিন। তাহলে দেখবেন চোখের চুলকানি কমে যাবে। তাই নিমপাতা চোখের চুলকানি কমানোর সাহায্য করে থাকে।
ত্বকের ব্রণ দূর করাঃ ত্বকের ব্রন দূর করার জন্য নিম পাতা থেঁতিয়ে নিয়ে ত্বকে লাগিয়ে নিন। এরপর আধা ঘন্টা থেকে এক ঘন্টার মত দিয়ে রাখুন। তারপর ভালোভাবে ত্বক ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের ব্রন দূর করার জন্য এটি একটি কার্যকরী পদ্ধতি।
ডায়রিয়াঃ ডায়রিয়া নিরাময় করার জন্য দিনে ৩/৪ বার নিম পাতার রস করে খাওয়ার ফলে দেখবেন ডাইরিয়া নিয়ে রামায় হয়ে গিয়েছে। ডাইরিয়া নিরাময় করার জন্য নিম পাতার রস অত্যন্ত কার্যকারি।
এলার্জি নিরাময়ঃ এলার্জি নিরাময় করার জন্য কচি কচি নিমপাতা পানিতে দিয়ে ফুটিয়ে গোসল করে নিতে হবে। এছাড়াও আপনি চাইলে নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ একত্রে মিশ্রণ করে শরীরে লাগাতে পারেন। এইভাবে ৩/৪ মাস ব্যবহার করুন। দেখবেন আপনার এলার্জি নিরাময় হয়ে গেছে এটি একটি কার্যকর পদ্ধতি।
আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশী অ্যাপ প্রতিদিন 1000 টাকা আয় পেমেন্ট বিকাশ
একজিমা বা ফোঁড়াঃ একজিমা বা ফোড়া হয়ে থাকলে কচি কচি নিমপাতা ভালোভাবে থেঁতে করে নিবেন এবং ত্বকের যেসব জায়গায় সমস্যা রয়েছে সেগুলো জায়গাতে ভালোভাবে লাগিয়ে দেন। এভাবে ৩/৪ মাস ব্যবহার করুন দেখবেন আপনার রোগ নিরাময় হয়ে গিয়েছে।
উপরোক্ত বর্ণনাতে নিম পাতার রস খাওয়ার ফলে উপকারিতা রয়েছে। আপনি যদি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে নিম পাতার রস এমন করে থাকেন তাহলে উপরোক্ত সমস্যা হতে মুক্তি লাভ পাওয়ার সহায়তা করে থাকে।
নিম পাতার রস খাওয়ার অপকারিতা
নিম পাতার রসের উপকারিতা সম্পর্কে এতক্ষণ আমরা জেনে আসলাম এখন আমরা জানবো নিম পাতার রসের অপকারিতা। নিমপাতা রসের বেশ উপকারে রয়েছে। কিন্তু অতিরিক্ত মাত্রায় নিমপাতা জীবনের ফলে শরীরের অপকারিতা ও রয়েছে। নিমপাতা উপকারিতা ও অপকারিতা। তাহলে চলুন নিম পাতার অতিরিক্ত সে মনের ফলে কি কি অপকারিতা হতে পারে তা সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।
নিম পাতার রসের অপকারিতা সম্পর্কে নিম্নে কয়েকটি তুলে ধরা হলোঃ
- গর্ভবতী মহিলাদের অতিরিক্ত নিম পাতার রস খাওয়ার ফলে গর্ভপাতের কারণ হয়ে যেতে পারে। তাই গর্ভবতী মহিলাদের নিম পাতার রস উপযোগী নায়। তবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবনযোগ্য।
- শিশু বাচ্চাদের জন্য নিম পাতার রস অতিরিক্ত মাত্রা সেবন করা উচিত নয়। শিশু বাচ্চাদের মতো রয়েছে রে-সিন্ড্রোমের উপসর্গের কারণ হয়ে থাকতে পারে।
- যাদের অল্পতেই ক্লান্তির কারণ হয়ে থাকে তাদের জন্য নিম পাতার রস খাওয়া উচিত নয়। নিম পাতার রস খাওয়ার ফলে তাদের অসুস্থতার হার বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই নিম পাতা রস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
- খালি পেটে অতিরিক্ত মাত্রায় নিম পাতার রস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এতে করে উপকারে পরিবর্তে অপকার হয়ে যেতে পারে। তাই খালি পেটে অতিরিক্ত মাত্রায় নিম পাতার রস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
- নিম পাতার রস খাওয়ার পরে মাথা ব্যাথা বা ডায়রিয়া এমনকি বমি বমি ভাব হয়ে থাকলে নিমপাতা রস না খাওয়াই ভালো। এতে করে শরীর ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
- যেকোনো অপারেশন হয়ে থাকলে তার দুই সপ্তাহ আগে থেকে নিম পাতার রস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
- যেসব মহিলাদের নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য নিম পাতার রস খাওয়া উচিত নয়।
প্রতিদিন নিয়মিতভাবে নিমপাতার রস সেবন করুন। অতিরিক্ত মাত্রায় সেবন করার ফলে শরীরের বিভিন্ন সমস্যা বা রোগ দেখা দিতে পারে। তাই অতিরিক্ত মাত্রায় সে বন্যা করাই উচিত।
শেষ মন্তব্যঃ নিম পাতার রসের উপকারিতা ও অপকারিতা
নিমপাতা রসের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমাদের আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। প্রতিদিন সকালে নিমপাতা সেবনে ফলে শরীরের নানান রোগ নিরাময় করার সাহায্য করে থাকে। তাই নিম পাতার রস শরীরের জন্য খুবই উপকারী। নিম পাতার রস ঔষধি গুণাবলী ও বটে। তাই আমাদের শরীর স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য নিম পাতার রস সেবন করা উচিত। নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা।
প্রিয় পাঠক, আজকে আমাদের আর্টিকেল পড়ার মাধ্যমে বুঝতে পেরেছেন যে নিম পাতা রস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা। নিম পাতার রস প্রতিদিন কতটুকু খাবেন। এবং নিম পাতার রস কেন খাবেন। নিম পাতার রস খাওয়ার নিয়ম। সমস্ত বিষয় নিয়ে আজকে আমাদের আর্টিকেল জুড়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আমি আশা করছি যে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছে। এতক্ষণ আমাদের আর্টিকেল পড়ে সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ.......!!!
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url