রক্তের এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায়
সাধারণত অধিকাংশ মানুষেরাই এলার্জি জনিত সমস্যায় ভুগছেন। কিন্তু এলার্জি সমস্যা দূর করতে পারছেন না? তাহলে কোন ব্যাপার না আজকে আমাদের আর্টিকেলে এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। আপনি ঘরে বসেই এলার্জিজনিত সমস্যা ঘরোয়া উপায়ের মাধ্যমে দূর করতে পারবেন।
এছাড়াও এলার্জির লক্ষণ ও এলার্জির প্রতিকার তাছাড়াও এলার্জি জাতীয় খাবার তালিকা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাহলে দেরি না করে চলুন রক্তের এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিব।
পেইজ সূচিপত্রঃ এলার্জি দূর করার ঘরোয়া টিপস
- এলার্জির লক্ষণ
- ত্বকের এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায়
- চোখের এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায়
- ঠান্ডায় এলাচি দূর করার ঘরোয়া উপায়
- এলার্জি জাতীয় খাবার তালিকা
- এলার্জি নেই এসব খাবার তালিকা
- এলার্জিজনিত নিয়ে কয়েকটি প্রশ্ন ও উত্তর
- শেষ মন্তব্যঃ এলার্জি দূর করার উপায়
এলার্জির লক্ষণ
সাধারণত এলার্জি একরকম হয় না। বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন ধরনের এলার্জিজনিত লক্ষণ দেখা দেয়। এলার্জি জাতীয় সমস্যা যে মানুষের রয়েছে সে মানুষ একমাত্র এ সমস্যাটি বোঝেন। কেননা এলার্জি একটি খুব মারাত্মক রোগ। যা আমাদের শরীরে চুলকানি হয়ে থাকে। এতে করে আমাদের অস্থিরতা সৃষ্টি হয়ে থাকে। সাধারণত আমাদের প্রত্যেকের শরীরে এলার্জি রয়েছে। কারো কম অথবা কারো বেশি।
এলার্জিজনিত সমস্যা সাধারণত যে লক্ষণ গুলো দেখা যায় তা হচ্ছে, শরীরের বিভিন্ন জায়গায় চুলকানো, চোখ চুলকানো, ত্বক চুলকানো, গলা শক্ত হয়ে যাই, শ্বাস-নিঃশ্বাস নিতে কষ্টকর হয়, ঘনঘন হাঁচি হয়ে থাকে, নাক ভরাট, বমি বমি ভাব, রক্তচাপ কমে যায়, মাথা ঘোরা ইত্যাদি। এছাড়াও অনেক ধরনের লক্ষণ দেখা দিতে পারে। আর আমাদের সতর্ক থাকতে হবে এলার্জি জাতীয় খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে।
উপরোক্ত লক্ষণ গুলো দেখা দিলে এলার্জি জাতীয় সমস্যা হতে পারে। তাই এলার্জি জাতীয় সমস্যা দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করতে হবে। তাছাড়াও আপনি এলার্জি জাতীয় সমস্যা দূর করার জন্য ঘরোয়া টিপস অবলম্বন করতে পারেন। তাহলে আপনি এলার্জিজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি লাভ করবেন। তাহলে চলুন এলার্জিজনিত সমস্যা দূর করার জন্য কিছু ঘরোয়া টিপস অবলম্বন করা যাক।
ত্বকের এলাজি দূর করার ঘরোয়া উপায়
অধিকাংশ মানুষেরই ত্বকের এলার্জিজনিত সমস্যা রয়েছে। যার কারণে অনেক ভোগান্তির মধ্যে জীবন পার করতে হয়। আপনি চিকিৎসা করার পরেও এলার্জিজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না। তাহলে আজকে আমাদের আর্টিকেলটি সম্পন্ন করুন। কারণ কিছু ঘরোয়া টিপস অবলম্বন করে এলার্জিজনিত সমস্যা হতে মুক্তি লাভ পাওয়া যাবে। তাহলে দেরি না করে চলুন রক্তের এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
ত্বকের এলার্জিজনিত সমস্যা দূর করার কিছু ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ
টি-ট্রি অয়েলঃ আপনি কি ত্বকের এলার্জিজনিত সমস্যায় ভুগছেন। তাহলে আপনি টি-ট্রি ওয়েল আপনার জন্য। কেননা টি-ট্রি ওয়েলে ত্বকের এলাজি দূর করার জন্য ব্যাপক হারে সহায়তা করে থাকে। এতে রয়েছে আন্টিমাইক্রোবায়াল এবং আন্টি ইনফ্লেমেটারি যা ত্বকের এলার্জি দূর করার জন্য সহায়তা করে থাকে।
আপেল সিডার ভিনেগারঃ অ্যাপেল সিডার ভিনেগারে ত্বকের এলার্জি দূর করার জন্য এতে রয়েছে অ্যাসিটিক অ্যাসিডি। যা ত্বকের চুলকানি জাতীয় এলার্জি দূর করার জন্য সাহায্য করে থাকে। তবে একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। অ্যাপেল সিডার ভিনেগার ব্যবহার করলে এলাজি জাতীয় সমস্যা আছে কিনা। যদি থেকে থাকে তাহলে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
নারকেল তেলঃ নারিকেল তেলে রয়েছে মায়েশ্চারাইজিং উৎপাদন যা ত্বকের এলার্জি জানি তো সমস্যা দূর করার জন্য অবদান রাখে। আপনার যদি অতিরিক্ত মাত্রায় এলে যে যাতে সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে নারিকেল তেল সামান্য পরিমাণে একটি বাটিতে নিয়ে কুসুম গরম করে নিতে হবে। এরপর এলার্জিজনিত স্থানে আধা ঘন্টা থেকে এক ঘন্টা পর্যন্ত রেখে দিন।
অ্যালোভেরা জেলঃ ত্বকের এলার্জি জাতীয় সমস্যা উত্তর করার জন্য অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরি। কেননা অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করার মাধ্যমে ত্বকের জ্বালাপোড়া ও চুলকানি দূর করার সাহায্য করে থাকে।
কোল্ড শাওয়ারঃ এলার্জিজনিত সমস্যা হয়ে থাকলে ঠান্ডা পানিতে গোসল দেওয়ার পরে এলার্জিজনিত সমস্যা দূর করার জন্য সহায়তা করে থাকি।এছাড়াও যদি ত্বকের জ্বালাপোড়া হয়ে থাকে তাহলে আপনি বললেন শীতল ঝরনাতে গোসল করার ফলে আপনার রক্তনালী গুলো সংকুচিত করতে সাহায্য করে থাকে।
চোখের এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায়
আমাদের সমাজে অধিকাংশ মানুষেরই চোখের এলার্জি জনিত সমস্যা রয়েছে। যার কারণে অনেক বিব্রতিকর অবস্থায় পড়তে হয়। চোখ চুলকানো চোখ লাল হয়ে যাই। এতে করে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সম্মুখীন হতে হয়। এলার্জিতে বিভিন্ন সমস্যা দূর করার জন্য কিছু ঘরোয়া টিপস রয়েছে। তাহলে চলুন রক্তে এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
চোখের এলার্জিজনিত সমস্যা দূর করার কয়েকটি ঘরোয়া টিপস সম্পর্কে উল্লেখ করা হলোঃ
গোলাপজলঃ চোখে এলার্জিজনিত সমস্যা দূর করার জন্য চোখে গোলাপ জল দিলে প্রিভেটিভ হিসেবে কাজ করে। এতে চোখের বিভিন্ন সমস্যা দূর করার জন্য সাহায্য করে থাকে। যখনই চোখে এলার্জি লক্ষণ দেখা দিবে তখনই গোলাপজল দুই থেকে তিন ফুটা দিয়ে দিন। দিয়ে কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ করে রাখুন তারপর আস্তে আস্তে এলার্জি জানিতে সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
লবণ পানিঃ এক গ্লাস পানিতে তিন চা চামচ লবণ দিয়ে পানিতে ভালো মতন ফুটিয়ে নিতে হবে এরপর পানিতে ঠান্ডা হয়ে গেলে এক টুকরা পরিষ্কার তুলা দিয়ে পানিতে ভিজে চোখগুলো ধীরে ধীরে মুছে নিন। এতে করে চোখে বিভিন্ন রকম ময়লা বের হয়ে যাবে এবং চুলকানি ও জ্বালাপোড়া থেকে নিরাময় করার জন্য সাহায্য করে থাকবে।
আমলকি ও মধুঃ আমলকি শুকিয়ে নিতে হবে এবং যদি কিনে নেন তাহলে ভালো হবে। আমলকির পাউডার এবং মধু একসঙ্গে মিশ্রিত করে প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন। এতে করে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে এবং এলার্জি জাতীয় সমস্যা থেকে নিরাময় করা সহায়তা করবে।
ঠান্ডা পানিঃ চোখের এলার্জি দূর করার জন্য আরেকটি কার্যকারিতা উপায় রয়েছে এটি হচ্ছে ঠান্ডা পানি। চোখ লাল বা চুলকালে অথবা ভুলে গেলে চোখে ঠান্ডা পানি ঝাপটা দিন এতে করে চোখ চুলকানো বা লাল হওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
সানগ্লাসঃ ধুলাবালির জন্য চোখের এলার্জির সমস্যা বেশি দেখা দেয়। আপনি যদি বাসার বাইরে বের হতে চান তাহলে চোখে সানগ্লাস বা চশমা ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো। কেননা রাস্তায় চলাফেরার সময় অনেক ধুলাবালি হয়ে চোখের মধ্যে প্রবেশ করে। তাই সানগ্লাস চশমা ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরী।
ঠান্ডায় এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায়
সারা বছরই নয় শীতের সময় অতিরিক্ত ঠান্ডা লাগার ফলে এলার্জিজনিত সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে থাকেন। যাদের অতিরিক্ত মাত্রায় শীত লাগার কারণে এলার্জিজনিত সমস্যায় পড়ে থাকেন। তাদের জন্য ঠান্ডা এলার্জি দূর করার কিছু ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জেনে নেওয়ার অত্যন্ত জরুরি। কেননা অনেক সময় দেখা যায় যে অতিরিক্ত মাত্রায় ঠান্ডা লাগার ফলে এলার্জিজনিত সমস্যা দেখা দেয়। আর এই জন্য ঠান্ডা এলার্জি দূর করার একটু ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।
ঠান্ডায় এলার্জি দূর করার কিছু ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ
পেয়ারাঃ পেয়ারা একটি সুস্বাদু ও ভিটামিন সি জাতীয় একটি ফল। পেয়ারা কার ফলে শরীরের বিভিন্ন উপকার হয়ে থাকে এবং এলার্জিজনিত সমস্যা হতে দূর করার জন্য ব্যবহারকারী সাহায্য করে থাকে। তাই ঠান্ডার সময় অতিরিক্ত মাত্রায় ঠান্ডা লেগে গেলে যদি এলার্জি সমস্যায়ভাবে থাকেন তাহলে পেয়ারা খান।
লেবুর শরবত বা লেবু চাঃ ঠান্ডার সময় অতিরিক্ত মাত্রায় শীত লাগার কারণে যদি এলার্জি জাতীয় সমস্যা পড়ে থাকেন তাহলে লেবুর শরবত বা লেবু চা খেতে পারেন। এতে করে আপনার অতিরিক্ত ঠান্ডায় এলার্জি হাওয়া থেকে বিরত রাখবে।
ঘি সেবনঃ ঠান্ডা জনিত এলার্জি দূর করার জন্য ঘি খাওয়া একটি দুর্দান্ত মাধ্যম। আপনার যদি ঠান্ডা জনিত এলার্জি হয়ে থাকে তাহলে খাবারের সঙ্গে এক চা চামচ ঘি খেতে পারেন এতে করে আপনার ঠান্ডা জনিত এলার্জি দূর করতে সাহায্য করে থাকবে।
কালোজিরাঃ কালোজিরা খাবার ফলে মরণ ব্যতীত সব ধরনের উপকারিতা পাওয়া যায় এ কালোজিরাতে। তাই আপনার যদি ঠান্ডা জনিত এলার্জি হয়ে থাকে তাহলে কালোজিরা চিবিয়ে খেতে পারেন এবং কালোজিরার বড়ি বা কালোজিরার ভর্তা করে খেতে পারেন। এতে করে আপনার ঠান্ডা জনিত এলার্জি দূর করার জন্য ব্যাপক সহায়তা করে থাকবে।
শুধু মধুঃ আপনার যদি ঠান্ডায় এলার্জিজনিত সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে মধু খেতে পারেন। তাহলে আপনার ঠান্ডায় এলার্জিজনিত সমস্যা হতে নিরাময় করবে। মধু খাওয়ার পরিমাণ হচ্ছে ২ চা চামচ মধু খেতে হবে।
উপরোক্ত বর্ণনা অনুযায়ী আমরা জেনে আসলাম এলার্জির হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কিছু ঘরোয়া টিপস সম্পর্কে। কিন্তু এখন আমাদের জানতে হবে যে কি কি খাবারে এলার্জি রয়েছে এবং কি কি খাবারে এলার্জি নাই এসব সম্পর্কে জানা আমাদের অত্যন্ত জরুরী। তাহলে বিস্তারিত জানতে নিচের অংশটুকু থেকে পড়তে থাকুন।
এলার্জি জাতীয় খাবার তালিকা
আমাদের সমাজে অধিকাংশ মানুষের এলার্জিজনিত সমস্যা রয়েছে। এবং বিভিন্ন খাবার ফলে এলার্জি রয়েছে। কিন্তু সেসব খাবার পুষ্টিকর এবং শরীরের জন্য অনেক ভালো। এতে করে আমরা কিছু দুশ্চিন্তাই পড়ে যায়। যার কারণে আমাদের শরীরের পুষ্টিকর চাহিদা পূরণ হয় না। তবে যে খাবার খাওয়ার ফলে শরীরের বিভিন্ন সমস্যা বা এলার্জিজনিত সমস্যা হতে পারে সেসব খাবার থেকে বিরত থাকাই উচিত। তাহলে চলো এলার্জি জাতীয় খাবার তালিকা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
এলার্জিজনিত কিছু খাবার তালিকা সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত তুলে ধরা হলোঃ
- >দুধ।
- >গম।
- >ডিম।
- >সয়া।
- >বাদাম।
- >সামুদ্রিক মাছ।
- >চিনা বাদাম।
- >পুঁইশাক।
- >বেগুন।
- >সিম।
- >কদু।
- >গাজর।
- >টমেটো।
- >ফুলকপি।
- >লাল আলু।
- >বাঁধাকপি।
- >কুমড়া।
- >পেঁপে।
- >কচু শাক।
- >পালংশাক ইত্যাদি।
উপরোক্ত ফল বা সবজি খাওয়ার ফলে শরীরের এলার্জিজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই এসব ফল বা সবজি খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। সাধারণত এইসব খাবার কে এলার্জিজনিত সমস্যায় সৃষ্টি করা হিসেবে বিবেচিত করা হয়ে থাকে। ইতিমধ্য আমরা জানলাম যে কি কি খাবার এলার্জিজনিত সমস্যা হয়ে থাকে। এখন কি কি খাবারে এলার্জি নেই এসব জানতে নিচের অংশ থেকে পড়তে থাকুন।
এলার্জি নেই এসব খাবার তালিকা
উপরোক্ত বর্ণনা অনুযায়ী আমরা জেনে আসলাম কি কি খাবারে এলার্জিজনিত সমস্যা সাধারণত হয়ে থাকে। এখন আমাদের জানতে হবে কি কি খাবারে এলার্জি জানি তো সমস্যা নেই। তাহলে দেরি না করে চলুন কি কি খাবারে এলার্জি জনিত সমস্যা নেই সেসব খাবার তালিকা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
এলার্জি নেই সেসব খাবার তালিকা সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত তুলে ধরা হলোঃ
- >কলা।
- >টক জাতীয় খাবার।
- >লেবু।
- > শসা।
- >গাজর।
- >গ্রিন টি।
- >আদা চা।
- >ক্যাস্টর অয়েল
- >দই।
- >টক দই।
- >মধু।
- >আদা।
- >আনারস।
- >পেঁয়াজ।
- >হলুদ।
- >কমলা ইত্যাদি।
উপরোক্ত বর্ণনা অনুযায়ী ছাড়াও অনেক ধরনের খাবার খাওয়ার ফলে এলার্জিজনিত সমস্যা হয় না। কোন কোন খাবারে এলার্জি নেই বিস্তারিত তুলে না ধরার জন্য দুঃখিত। তবে আপনার যদি শরীরে এলার্জি থেকে থাকে তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন যে কোন খাবার খেলে এলার্জি হচ্ছে কোন খাবার খেলে এলার্জি হচ্ছে না।
এলার্জিজনিত নিয়ে কয়েকটি প্রশ্ন ও উত্তর
আপনাদের মনে এলার্জিজনিত সমস্যা নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে। তাই আপনাদের কথা বিবেক বিবেচনা করে এই আর্টিকেলের মধ্যে এলার্জি সম্পর্কিত প্রশ্ন ও তার উত্তর সম্পর্কে নিম্ন তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। তাহলে চলুন বেশি দেরি না করে এলার্জিজনিত সমস্যা নিয়ে প্রশ্ন ও উত্তর সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
এলার্জিজনিত সমস্যা নিয়ে নিম্নে প্রশ্ন ও উত্তর তুলে ধরা হলোঃ
প্রশ্নঃ কি খেলে এলার্জি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়?
উত্তরঃ এলার্জি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ভিটামিন চেয়ে যুক্ত খাবার খেতে হবে। যেমন কমলা, মালটা, লেবু, স্ট্রবেরি, কাঁচামরিচ ও পেয়ারা ইত্যাদি ধরনের খাবার খেতে হবে। এছাড়াও টক দই, দই, মধু কালোজিরা, পেঁয়াজ ইত্যাদি।
প্রশ্নঃ এলার্জি থেকে কি কি রোগ হতে পারে?
উত্তরঃ এলার্জি থেকে সাধারণত খাদ্য এলার্জি, খড় জ্বর, এটোপিক ডার্মাটাইটিস, এলার্জিজনিত হাপানি, হাঁচি, কাশি, নাক দিয়ে পানি পড়া, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি ধরনের রোগ হতে পারে।
প্রশ্নঃ এলার্জি কি চিরতরে দূর করা যায়?
উত্তরঃ সাধারণত এলার্জি চিরতরে দূর করার কোন প্রতিকার নেই। প্রত্যেক মানুষের শরীরে এলার্জি রয়েছে। কারো শরীরে বেশি অথবা কারো শরীরে কম। তবে অতিরিক্ত মাত্রায় এলার্জি হয়ে থাকলে তা তাৎক্ষণিক নিরাময় করার জন্য প্রতিকার রয়েছে।
প্রশ্নঃ ত্বকের এলার্জি প্রতিরোধ করে কোন ভিটামিন?
উত্তরঃ ত্বকের এলার্জি দূর করার জন্য ভিটামিন ডি সহায়তা করে থাকে।
প্রশ্নঃ এলার্জির হওয়ার লক্ষণ কি কি?
উত্তরঃ এলার্জি হওয়ার লক্ষণ সাধারণত হাঁচি,কাশি, শ্বাসকষ্ট, চোখ লাল, শরীর চুলকানো, জ্বালাপোড়া, অতিরিক্ত মাত্রায় শরীর চুলকানো, পেট ব্যাথা, রক্তচাপ কমে যাওয়া ইত্যাদি।
শেষ মন্তব্যঃ এলার্জি দূর করার উপায়
সাধারণত আমাদের শরীরে কমবেশি সবারি এলার্জিজনিত সমস্যায় ভোগে থাকি। কারো শরীরে বেশি কথা বা কারো শরীরে কম। কিন্তু যাদের শরীরে অতিরিক্ত পরিমানে এলার্জিজনিত সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য এলার্জি নিরাময় করার জন্য কিছু ঘরোয়া টিপস সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেছি। উপরোক্ত ঘরোয়া টিপস অবলম্বন করে থাকলে আপনিও এলার্জি থেকে মুক্তি লাভ পাবেন।
প্রিয় পাঠক, আজকে আমাদের আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনি জানতে পারলেন যে এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে। এছাড়াও চোখের এলার্জি, ত্বকের এলার্জি এবং ঠান্ডা এলার্জির জনিত সম্পর্কে জানতে পারলেন। এছাড়াও যে যে খাবারে এলার্জি রয়েছে সেসব খাবার তালিকা। এবং যে যে খাবারে এলার্জি নেই সেসব খাবার সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেছি। এতক্ষন আমাদের আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ.....
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url