ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায়

আপনি কি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করার জন্য ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আপনি সঠিক জায়গাতে এসেছেন। কেননা আজকে আমাদের আর্টিকেল জুড়ে থাকছে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় এবং কি করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করা যায়। এছাড়াও ত্বককে উজ্জ্বলতা করার জন্য যেসব খাবার খেতে হবে

ত্বকের-উজ্জ্বলতা-বৃদ্ধির-ঘরোয়া-উপায়

যেমন, শসা, টমেটো, গাজর, বিটরুট, পালং শাক, বেদানা, কমলার রস, অ্যালোভেরা ইত্যাদি। এছাড়াও রূপচর্চা করার জন্য কি কি পদক্ষেপ নিতে হবে তার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।তাহলে দেরি না করে চলুন ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

পেইজ সূচিপত্রঃ ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায়

ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করার উপায়

ত্বক উজ্জ্বল করার জন্য স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন এবং সঠিকভাবে ত্বকের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ত্বককে মসৃণ ও উজ্জ্বল করার জন্য সঠিক নিয়ম মেনে করলে ত্বক স্বাস্থ্যকর ও উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে। আপনিও যদি আপনার ত্বকের তৈলাক্ত দূর করতে চান এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে চান তাহলে আপনাকেও ত্বকের সঠিক নিয়ম মেনে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে হবে।

ত্বকের রূপচর্চা সঠিক নিয়ম মেনে করলে ত্বক স্বাস্থ্যকর ও উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার রাখা জরুরী। ত্বকে ধুলোবালি ও অতিরিক্ত তৈলাক্ত জমে না থাকে। এজন্যই সব সময় মুখ পরিষ্কার করে রাখতে হবে। ক্লিনজার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে হবে। এছাড়াও ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখার জন্য ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে ত্বকের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা বাড়ানোর জন্য সাহায্য করে থাকে।

এছাড়াও বেশি করে পানি পান করতে হবে এবং পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে এবং পুষ্টিকর শাকসবজি ফলমূল, ওমেগা-৩ ইত্যাদি খাবার খেতে হবে। সমৃদ্ধ খাবার খেলে ত্বকের ভিতর থেকে সৌন্দর্য রাখার জন্য সাহায্য করবে। এবং এছাড়াও সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সানস্ক্রিন ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরি। এছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমাতে হবে। এবং প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করতে হবে যেমন, লেবুর রস, মধু, দুধের ক্রিম, দই, অ্যালোভেরা ইত্যাদি।

ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায়

ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। আপনি কিভাবে ঘরে বসে আপনার ত্বকের রূপচর্চা করতে পারবেন। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করার জন্য সহজ ও কার্যকরী কিছু ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে নিম্নে তুলে ধরা হলো। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায়।

ত্বকের-উজ্জ্বলতা-বৃদ্ধির-ঘরোয়া-উপায়

ত্বকের রূপচর্চা করার জন্য সহজ ও কার্যকরী ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে নিচে উল্লেখ করা হলোঃ

মধু ও লেবুর রসঃ মধু ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখার জন্য সাহায্য করে থাকে এবং লেবুর রস ত্বকের কালো দাগ দূর করার জন্য সাহায্য করে। এক চা চামচ মধু এবং এর চা চামচ লেবুর রস মিশে ত্বকে ভালোভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। এরপর ১৫ মিনিট পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে করে ত্বকের উজ্জ্বলতা ও কোমল করে থাকে।

দই ও হলুদঃ দই ত্বকের মৃত কোষ দূর করে এবং হলুদ প্রাকৃতিক জীবানু গুলো ধ্বংস করতে সাহায্য করে। এক টেবিল চামচ দই এবং এক চিমটি হলুদ মিশে মুখে লাগাতে হবে। এরপর ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। এতে করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানো সাহায্য করে।

অ্যালোভেরা জেলঃ রাতে ঘুমানোর আগে অ্যালোভেরা বা অ্যালোভরা জেল ত্বকে ভালোভাবে লাগাতে হবে। এতে করে ত্বকের উজ্জ্বলতা ও মসৃণ বাড়ানোর সাহায্য করে।

বেসন বা গোলাপজলঃ বেসন ত্বকের অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাব শোষণ করে এবং গোলাপজল ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। বেসন ও গোলাপজল মিশিয়ে মুখে লাগাতে হবে। এরপর শুকিয়ে গেলে হালকা ঘষে বা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

আলুর রসঃ আলুর রস ত্বকের কালো দাগ দূর করার জন্য সাহায্য করে থাকে। কাঁচা আলুর রস মুখে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে করে ত্বকের কালো দাগ দূর করার জন্য সাহায্য করে থাকবে।

নারকেল তেলঃ ত্বকে নারিকেল তেল ম্যাসাজ করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা ও নরম করতে সাহায্য করে। নারিকেলের তেল রাতে ঘুমানোর আগে ব্যবহার করা যেতে পারে।

চিনি ও মধুঃ চিনি ত্বকের মৃত কোষ দূর করার জন্য সাহায্য করে এবং মধু আর্দ্রতা বজায় রাখার জন্য সাহায্য করে। চিনি ও মধু ব্যবহার করলে আপনার ত্বকের মৃত কোষ ও ত্বকের আদ্রতা বাড়ানোর জন্য সাহায্য করবে।

গোলাপজল স্প্রেঃ গোলাপজল ত্বককে ঠান্ডা করে এবং ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ধরে রাখার জন্য সাহায্য করে থাকে। তাই নিয়মিত প্রতিদিন গোলাপ জল স্প্রে ব্যবহার করলে ত্বক ঠান্ডা থাকে ও ত্বকেন সৌন্দর্য ধরে রাখার জন্য সাহায্য করবে।

পর্যাপ্ত পানি পানঃ ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করলে শরীরের বিষাক্ত পদার্থ গুলো বের হয়ে যাবে। প্রতিদিন অন্তত একবার ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করতে হবে।

ঘুম ও খাদ্যাভ্যাসঃ ত্বকের সৌন্দর্য বজায় রাখার জন্য এবং বনের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নিয়মিত ঘুমাতে হবে। এবং পুষ্টিকর খাবার প্রতিনিয়ত খেতে হবে। যেমন ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবারগুলো খেতে হবে এবং ভিটামিন যুক্ত ফলমূল খেতে হবে। তাহলে ত্বক স্বাভাবিকভাবে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। 

এভাবে আপনি চাইলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে পারেন। এছাড়াও আপনাকে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করার জন্য ঘরোয়া উপায় গুলো মেনে চললে আপনার ত্বক সৌন্দর্য ও মসৃণ হবে। আপনি আপনার ত্বক ও স্বাস্থ্য দীর্ঘদিন ধরে বজায় রাখার জন্য উপরের ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করতে পারেন। তাহলে আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত ফল উপভোগ করতে পারবেন।

কি খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করা যায়

ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করার জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। শুধু ত্বক নয় পুষ্টিকর খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যর জন্য খুবই উপকারী। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করার জন্য যেসব স্বাস্থ্যকর খাবার রয়েছে তা নিম্নে বিস্তারিত তুলে ধরা হলো।

কি খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতে বৃদ্ধি করা যায় তা নিয়ে নিম্নে উল্লেখ করা হলোঃ

কমলা ও লেবুঃ ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল ত্বকের কোলাজেন উৎপাদন করার জন্য সাহায্য করে থাকে এবং আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখার জন্য সহায়তা করে।

গাজরঃ বেটা-ক্যারোটিন সমৃদ্ধ খাবার হলো গাজর যা ত্বকের ক্ষতি হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে এবং প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা বাড়ানোর জন্য সহায়তা করে থাকে।

পালং শাকঃ আন্টি অক্সিডেন্ট এবং আয়রন সমৃদ্ধ একটি সবজি পালং শাক। পালংশাক খাওয়ার ফলে রক্ত সঞ্চালন ভালো রাখার সাহায্য করে এবং ত্বকে সতেজ রাখার জন্য সহায়তা করে।

টমেটোঃ টমেটোতে থাকা লাইসোপিন ত্বকে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি হাত থেকে রক্ষা করার জন্য সাহায্য করে এবং উজ্জ্বল ত্বক ঢাকা সহায়তা করে।

আমন্ড এবং আখরোটঃ ভিটামিন-ই এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার যা ত্বকে মসৃণ ও ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখে।

চিয়া সিড ও ফ্ল্যাক্স সিডঃ চিয়া সিড ও ফ্ল্যাক্স সিড ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।

ডিমঃ ডিমে রয়েছে বায়োটিন যা ত্বকের কোষ পুনঃ গঠন করতে সাহায্য করে থাকে।

মাছঃ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার যা ত্বককে ভিতর থেকে পুষ্টি যোগানোর জন্য সাহায্য করে থাকে।

ডাল ও ছোলাঃ ডাল ও ছোলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রোটিন যা ত্বকে সতেজ রাখার জন্য সাহায্য করে থাকে।

পানিঃ ত্বক ও শরীর স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা যা ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখার জন্য সহায়তা করে।

গ্রিন টিঃ গ্রিন টিতে রয়েছে আন্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা ত্বকের বার্ধক্য প্রতিরোধ করার জন্য সাহায্য করে থাকে।

নারিকেল পানিঃ নারিকেল পানি এটি একটি হাইড্রেটিং পানীয় যা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে।

দইঃ প্রোবায়েটিক সমৃদ্ধ খাবার একটি দই যা হজম শক্তি উন্নত করে এবং ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য সাহায্য করে থাকে।

দুধঃ দুধ খাওয়ার ফলে শরীরের পুষ্টি উৎপাদন যুগানোর সাহায্য করে থাকে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানো সহায়তা করে থাকে।

হলুদঃ হলুদে আন্টি ইনফ্লেমেটরি গুণাবলীতে রয়েছে যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর জন্য সাহায্য করে থাকে।

আদাঃ আদা খাবার ফলে শরীরের রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দেও সাহায্য করে থাকে এবং ত্বককে সতেজ রাখার জন্য সহায়তা করে।

ডার্ক চকোলেটঃ ডার্ক চকোলেটে থাকা আন্টি অ্যাক্সিডেন্ট ত্বকে মসৃণ ও ত্বকের তৈলাক্ত দূর করার সাহায্য করে থাকে।

তাজা ফলের রসঃ বিট, গাজর, আপেলের রস, কমলার রস ইত্যাদি এসব তাজা ফলের রস খাবার ফলে শরীরের বিভিন্ন ধরনের উপকার করার জন্য সাহায্য করে থাকে এবং ত্বকে সৌন্দর্য বজায় রাখার জন্য সহায়তা করে থাকে।

প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কি খেলে ত্বক ফর্সা হয়

প্রতিদিন সকালে খালি পেটে নিয়মিত করে কি খাবার ফলে ত্বক ফর্সা ও উজ্জ্বলতা বেশি পাওয়া যায়। সকালে খালি পেটে কিছু স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে ত্বক ফর্সা ও উজ্জ্বলতা বা স্বাস্থবান হতে পারবেন। নিম্নের খাবারগুলো খাবার মাধ্যমে ত্বকের ভেতর থেকে পুষ্টি উৎপাদন বৃদ্ধি করার সহায়তা করে এবং বিষাক্ত পদার্থ গুলো দূর করতে সাহায্য করে। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায়। সকালে খালি পেটে কি খেলে ত্বক ফর্সা হয় তার সম্পর্কে নিম্নে জেনে নেওয়া যাক।

ত্বকের-উজ্জ্বলতা-বৃদ্ধির-ঘরোয়া-উপায়

প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কি খেলে ত্বক ফর্সা হয় তা উল্লেখ করা হলোঃ

লেবু পানি ও মধুঃ গরম পানিতে এক চা চামচ লেবুর রস এবং এক চা চামচ মধু মিশিয়ে খাবার ফলে ত্বকের উজ্জ্বলাতে বৃদ্ধি করার জন্য সাহায্য করে।

আমলকির জুসঃ আমলকি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, খাবার যা খাওয়ার ফলে শরীরের কোলাজেন উৎপাদন বাড়ানোর সহায়তা করে এবং ত্বক ফর্সা রাখতে সাহায্য করে থাকে। এবং আমলকি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে থাকে।

শসা বা শসার পানিঃ শসা বা শসা রস খাবার ফলে শরীরের আদ্রতা বজায় রাখার জন্য সাহায্য করে এবং ত্বকের হাইড্রেটেড হয়ে থাকে এবং ত্বককে উজ্জ্বলতা করার জন্য সাহায্য করে।

অ্যালোভেরার জুসঃ অ্যালোভেরার জুস সকালে খালি পেটে খাবার ফলে শরীরের বা ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখার জন্য সাহায্য করে থাকে।

মিশ্রিত পানিঃ তুলসী পাতা, পুদিনা পাতা, আদা এবং লেবুর রস দিয়ে যদি মিশ্রিত করে সকালে খালি পেটে খাওয়া যায় তাহলে শরীরের ক্ষতিকারক পদার্থ গুলো দূর করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করা সাহায্য করে।

গাজর বা বিটের জুসঃ গাজরে এবং বিটে থাকা আন্টি অ্যাক্সিডেন্ট ত্বকের ক্ষতিকর দিকগুলো ধ্বংস করা সহায়তা করে এবং প্রাকৃতিকভাবে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর জন্য সাহায্য করে থাকে।

গ্রিন টিঃ প্রতিদিন সকালে নিয়মিত করে গ্রিন টি খেলে গ্রিন টি তে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরববাহ করে থাকে এবং ত্বকের বার্ধক্য রোধ এবং ফর্সা করার জন্য সাহায্য করে।

দুধ ও হলুদঃ গরম দুধে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খাবার ফলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং শরীরের ভিতর থেকে পুষ্টি উৎপাদন বাড়ানো সাহায্য করে।

বাদাম ভেজানো পানিঃ প্রতিদিন সকালে বাদাম ভেদানো পানি খেলে ত্বকের ভিটামিন ই এর পুষ্টি উৎপাদন পাওয়া যায় যার ফলে ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখার জন্য সাহায্য করে থাকে।

পানিঃ প্রতিদিন সকালে খালি পেটে দুই গ্লাস পানি পান করলে শরীরের বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা বয়ে আনতে সাহায্য করে এবং ত্বকের প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার জন্য সাহায্য করে থাকে।

উপরোক্ত খাবারগুলো আপনি প্রতিদিন নিয়মিত করে সকালে খালি পেটে খাওয়ার ফলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা পাওয়া যায় এবং এছাড়াও শরীরের স্বাস্থ্যকর হয়। তাছাড়াও ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখার জন্য সহায়তা করে থাকে।

শেষ কথাঃ কি ভাবে ঘরোয়া উপায়ে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করা যায়

আপনি যদি ত্বকের উজ্জ্বলতা পেতে চান তাহলে উপরোক্ত ঘরোয়া উপায় গুলো ব্যবহার করে আপনি আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে পারবেন এবং দীর্ঘ সময় ধরে রাখতে পারবেন। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের খাবার খাবার ফলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় এবং দীর্ঘ সময় ত্বক উজ্জ্বল থাকবে। এবং এছাড়াও প্রতিদিন সকালে নিয়মিত করে খাবার খাওয়ার ফলে আপনি আপনার ত্বকে উজ্জ্বলতা করতে পারবেন।

প্রিয় পাঠক, আমি আশা করছি যে আমাদের আর্টিকেলে মাধ্যমে আপনি জানতে পেরেছেন কিভাবে ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করে ত্বককে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করা যায়। তাই আপনিও যদি আপনার ত্বক উজ্জ্বলতা করতে চান তাহলে উপরোক্ত পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করতে পারে। এতক্ষণ ধৈর্য সহকারে আমাদের এ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ.....!!!!❤️

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url