অনলাইনে নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম
অনলাইনে নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম/NID কার্ড করতে কি কি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগে এ সমস্ত বিষয় জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গাতে এসেছেন আজকে আমি আপনাদেরকে জানাবো যে অনলাইনে নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম।
তাহলে দেরি না করে চলুন অনলাইনে নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম/NID কার্ড করতে কি কি লাগে এবং কি কি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগে সমস্ত বিষয় নিয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
পেজ সূচিপত্রঃ অনলাইনে নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম
- অনলাইনে নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম/NID কার্ড করতে কি কি লাগে
- NID কার্ড করতে কি কি লাগে
- নতুন ভোটার আইডি কার্ড করতে কত টাকা লাগতে পারে
- নতুন ভোটার হতে কত দিন সময় লাগে
- উপসংহারঃ নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম
অনলাইনে নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম/NID কার্ড করতে কি কি লাগে
কিভাবে অনলাইনের মাধ্যমে নতুন ভোটার আইডি কার্ডের আবেদন করবেন এবং নতুন ভোটার হওয়ার জন্য কি কি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগে সে বিষয় সম্পর্কে জানাবো। এবং আপনি চাইলে ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তাহলে দেরি না করে চলুন অনলাইনে নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিব।
অনলাইনে নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম ২০২৫ নিম্ন তা তুলে ধরা হলোঃ
ধাপ১/অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন
অনলাইনে রেজিস্ট্রেশনঃ অনলাইনে নতুন ভোটার আইডি কার্ড রেজিস্ট্রেশন করতে হলে সর্বপ্রথম Bangladesh NID Application System এই ওয়েবসাইটটিতে প্রবেশ করতে হবে।
নতুন নিবন্ধন করুনঃ নতুন ভোটার আইডি কার্ড নিবন্ধন করার জন্য Apply for New NID এ ক্লিক করুন।
অ্যাকাউন্ট তৈরিঃ অ্যাকাউন্ট তৈরি করার জন্য আপনার নাম, জন্ম তারিখ, মোবাইল নাম্বার এবং ইমেইল দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করুন। এবং একটি ভেরিফিকেশন কোড বা (OTP) আসবে, এবং সেটি দিয়ে নিশ্চিত করতে হবে।
ধাপ২/ফরম পূরণ
ব্যক্তিগত তথ্যঃ আপনার পুরো নাম, জন্মতারিখ, লিঙ্গ, রক্তের গ্রুপ ইত্যাদি সম্পূর্ণ তথ্য পূরণ করতে হবে।
ঠিকানাঃ স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা তথ্য দিতে হবে।
পরিবারের তথ্যঃ পিতা-মাতা, স্বামী/স্ত্রী (যদি থাকে) এনআইডি কার্ডের সম্পূর্ণ নাম্বার প্রদান করতে হবে।
শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ আপনার যদি শিক্ষাগত যোগ্যতার কোন সনদ থেকে থাকে তাহলে প্রদান করুন (যদি থাকে)।
ধাপ৩/প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রদান
জন্ম নিবন্ধন সনদঃ আপনার জন্ম নিবন্ধন (ডিজিটাল) নাম্বার প্রদান করতে হবে।
পিতা মাতা এন আই ডিঃ আপনার পিতা-মাতার এর আইডি কার্ডের স্ক্যান কপি প্রদান করতে হবে।
ঠিকানা প্রমাণঃ আপনার ঠিকানা প্রমাণের জন্য (ইউটিলিটি বিল বা নাগরিক সনদপত্র)
শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র (যদি থাকে)।
রক্তের গ্রুপঃ আপনার রক্তের গ্রুপ কি সেটা প্রদান করতে হবে।
ধাপ৪/নির্ধারিত সময় বায়োমেট্রিক প্রদানের জন্য উপস্থিত
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিয়ে আবেদন জমা দেওয়ার পর একটি অ্যাপোয়েন্টমেন্ট স্লিপ পাবেন। সেই স্লিপটি প্রিন্ট করে নির্দিষ্ট তারিখে নিজস্ব উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে জমা দিতে হবে এবং ছবি তোলা, আঙ্গুলের ছাপ প্রদান, চোখের আইরিস স্ক্যান দিতে হবে।
ধাপ৫/NID কার্ড ডাউনলোড
নির্ধারিত সময়ে বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদানের পর তা যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হলে আপনার মোবাইল ফোনে একটি এসএমএস এর মাধ্যমে নোটিফিকেশন বা কোড আসবে। এবং আপনার আবেদনটি কনফার্ম হয়ে গেলে ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে আপনি চাইলে
আপনি পণ্যরায় এনআইডি আবেদন ওয়েবসাইটে গিয়ে লগইন করে। তারপর আপনি ডাউনলোড এনআইডি অপশনে গিয়ে ডিজিটাল এনআইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
বয়সঃ ১৮ বছর পূর্ণ হলে ভোটার হওয়া জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে ১৬ বছর বয়সে পাক নিবন্ধন করা যায়।
যাচাইঃ আপনি অনলাইনে নতুন তথ্য প্রদানের ক্ষেত্রে তথ্য ভুল প্রদান করলে আবেদন প্রক্রিয়া বাতিল হয়ে যাবে।
আবেদন ফিঃ নতুন নিবন্ধন করার জন্য কোন কি প্রয়োজন নেই। আপনি যদি আবেদনে কাগজপত্র বা তথ্য প্রদানের ক্ষেত্রে তথ্য ভুল দিয়ে থাকলে পরবর্তীতে সংশোধন করার ক্ষেত্রে নতুন ফ্রি প্রযোজ্য হতে পারে।
NID কার্ড করতে কি কি লাগে
NID কার্ড করতে কি কি লাগে/নতুন ভোটার আইডি কার্ড করতে কি কি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগে তা সম্পর্কে আপনারা বিস্তারিত জানতে পারবেন। বাংলাদেশের নতুন ভোটার আইডি কার্ড বা (জাতীয় পরিচয় পত্র) আবেদন করার জন্য আপনাকে নিম্নে লিখিত ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে এবং বিভিন্ন তথ্য প্রদান করতে হবে।
নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম ২০২৫ নিম্নে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পর্কে তুলে ধরা হলোঃ
যোগ্যতা
অবশ্যই আপনাকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
আপনার বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর হতে হবে।
পূর্বের জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্য নেমন্তন করা হয়নি এমন তথ্য প্রমাণাদি।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
জন্ম নিবন্ধন সনদঃ অবশ্যই আপনার জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল (১৭ সংখ্যার) হতে হবে।
শিক্ষাগত যোগ্যতা সনদঃ আপনার যদি পিএসসি, জেএসসি, এসএসসি বা সমমানের সার্টিফিকেট (যদি থাকে)।
পিতা-মাতা এনআইডি কার্ডের ফটোকপিঃ আপনার পিতা ও মাতার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি দিতে হবে।
নাগরিকত্ব সনদঃ স্থানীয় চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর বা মেয়র কাছে থেকে নাগরিকত্ব সনদ পাত্র জমা দিতে হবে।
ঠিকানা প্রমাণ পত্রঃ ইউটিলিটি বিল (বিদ্যুৎ বিল,গ্যাস বিল,পানি বিল)বা বাড়ি ভাড়ার রশিদ এবং হোল্ডিং ট্যাক্স রসিদ প্রদান করতে হবে।
রক্তের গ্রুপ সনদঃ আপনার রক্তের গ্রুপ পরীক্ষার রিপোর্ট।
স্বামী/স্ত্রী এনআইডি কার্ডের ফটোকপিঃ বিবাহিতদের জন্য প্রযোজ্য।
কাবিননামার ফটোকপিঃ বিবাহিতদের জন্য প্রযোজ্য।
প্রবাসীঃ আপনি যদি প্রবাসী হয়ে থাকেন তাহলে পাসপোর্ট এর ফটোকপি প্রদান করতে হবে।
পূর্বে ভোটার হননি মরমে অঙ্গীকারনামাঃ আপনার বয়স বেশি হলে এটি প্রযোজ্য হবে।
নতুন ভোটার আইডি কার্ড করতে কত টাকা লাগতে পারে
নতুন ভোটার আইডি কার্ড করতে কত টাকা লাগে অনেকে জানতে চান। কিন্তু নতুন ভোটার আইডি কার্ড করতে টাকার প্রয়োজন হয় না সম্পূর্ণই বিনামূল্যে প্রদান করে থাকে। তবে ভোটার নিবন্ধন করার জন্য যেসব কাগজপত্র প্রয়োজন পড়ে তার ফটোকপি দেওয়ার জন্য কিছু সংখ্যক টাকার প্রয়োজন পড়ে।
এছাড়াও আপনার বাড়ির চৌকিদারী ট্যাক্স পরিশোধ করার ক্ষেত্রে কিছু টাকা খরচ হয়। তাছাড়া নতুন ভোটার আইডি কার্ড করতে তেমন কোন টাকা খরচ হয় না। এটি সম্পূর্ণ সরকার বিনামূল্য প্রদান করে থাকে। অনলাইনে বা অফলাইনে দুই মাধ্যমে বিনামূল্যে নতুন ভোটার আইডি কার্ড নিমন্ত্রণ করতে পারবেন।
তবে আপনার ভোটার আইডি কার্ড হারিয়ে গেলে বা সংশোধন করবেন সেক্ষেত্রে কিছু চার্জ প্রযোজ্য হতে পারে। এছাড়া নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার জন্য তেমন কোন টাকা লাগেনা। আগে আশা করছি আপনি এতক্ষণ বুঝতে পেরেছেন যে নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার জন্য কোন টাকা লাগে কিনা।
নতুন ভোটার হতে কতদিন সময় লাগে
আপনাদের মনে অনেকেরই প্রশ্ন জেগে থাকে যে নতুন ভোটার হতে কতদিন সময় লাগে। নতুন ভোটার হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রধান সম্পন্ন করার পর থেকে তিন মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। তবে সাধারণত নতুন ভোটার আবেদন করার পর এক মাসের মধ্যেই এসএমএসের মাধ্যমে এনআইডি কার্ডের নাম্বার জানিয়ে দেওয়া হয়ে থাকে।
তবে নতুন ভোটার আবেদন করার পর কিছু ক্ষেত্রে তিন মাসের সময় লাগতে পারে বা লেগে যাই। যারা মাসের মধ্যে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করেছে তাদেরটা তাদের মোবাইল নাম্বারে এসএমএস করার মাধ্যমে ভোটার আইডি নাম্বার প্রদান করে থাকে।
উপসংহারঃ নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম
অনলাইনের মাধ্যমে আপনি কিভাবে নতুন ভোটার আইডি কার্ড করবেন সে সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে এবং কি কি প্রয়োজনে কাগজপত্র প্রয়োজন পড়ে তার সম্পর্কেও আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়াও আলোচনা করা হয়েছে নতুন ভোটার আইডি কার্ড করতে কতদিন সময় লাগে এবং নতুন ভোটার আইডি কার্ড করতে কত টাকা লাগে।
প্রিয় পাঠক, আজকে আমাদের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি জানতে পেরেছেন যে কিভাবে অনলাইনে নতুন ভোটার আইডি কার্ডের আবেদন করতে হয়। এবং নতুন ভোটার আইডি কার্ড করতে কি কি কাগজপত্র প্রয়োজনীয়। এতক্ষণ ধৈর্য সহকারে আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ..........!!!!!!🥰
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url